Ruqyah Shariah
Back to the Sunnah...
Hotline : 01711 532 483
রুকইয়াহ কী?
রুকইয়াহ অর্থ ঝাড়ফুঁক করা, মন্ত্র পড়া, তাবিজ-কবচ, মাদুলি ইত্যাদি। আর রুকইয়াহ শারইয়্যাহ (رقيةشرعية) মানে শরিয়াত সম্মত রুকইয়াহ, কোরআনের আয়াত অথবা হাদিসে বর্ণিত দোয়া দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা। তবে স্বাভাবিকভাবে ‘রুকইয়া’ শব্দটি দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা বুঝায়। এই ঝাড়ফুঁক সরাসরি কারো ওপর হতে পারে, অথবা কোনো পানি বা খাদ্যের ওপর করে সেটা খাওয়া অথবা ব্যাবহার করা হতে পারে। এক্ষেত্রে রুকইয়ার পানি, অথবা রুকইয়ার গোসল ইত্যাদি পরিভাষা ব্যবহার হয়। আর সবগুলোই সালাফে সালেহিন থেক ে বর্নিত আছে। রুকইয়ার বিধানঃ
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রুকইয়াতে যদি শিরক না থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৫৪৪) বিশুদ্ধ আক্বিদাঃ
উলামায়ে কিরামের মতে রুকইয়া করার পূর্বে এই আক্বিদা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া উচিত ‘রুকইয়া বা ঝাড়ফুঁকের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই, সব ক্ষমতা আল্লাহ তা’আলার, আল্লাহ চাইলে শিফা হবে, নইলে নয়।’ রুকইয়া প্রকারভেদঃ
বিভিন্ন ভাবে রুকইয়া করা হয়, যেমনঃ দোয়া বা আয়াত পড়ে ফুঁ দেয়া হয়, মাথায় বা আক্রান্ত স্থানে হাত রেখে দোয়া/আয়াত পড়া হয়। এছাড়া পানি, তেল, খাদ্য বা অন্য কিছুতে দোয়া অথবা আয়াত পড়ে ফুঁদিয়ে খাওয়া ও ব্যাবহার করা হয়। পূর্বশর্তঃ
রুকইয়া করে উপকার পেতে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন। নিয়্যাত (কেন রুকইয়া করছেন, সেজন্য নির্দিষ্টভাবে নিয়াত করা)
ইয়াক্বিন (এব্যাপারে ইয়াকিন রাখা যে, আল্লাহর কালামে শিফা আছে)
মেহনত (অনেক কষ্ট হলেও, সুস্থ হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে রুকইয়া চালিয়ে যাওয়া)।
লক্ষণীয়ঃ রুকইয়ার ফায়দা ঠিকমতো পাওয়ার জন্য দৈনন্দিনের ফরজ অবশ্যই পালন করতে হবে, পাশাপাশি সুন্নাতের প্রতিও যত্নবান হতে হবে। যথাসম্ভব গুনাহ থেকে বাঁচতে হবে। (মেয়েদের জন্য পর্দার বিধানও ফরজ) ঘরে কোনো প্রাণীর ছবি / ভাস্কর্য রাখা যাবেনা। আর সুরক্ষার জন্য সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন আমলগুলো অবশ্যই করতে হবে। আর ইতিমধ্যে শারীরিক ক্ষতি হয়ে গেলে, সেটা রিকোভার করার জন্য রুকইয়ার পাশাপাশি ডাক্তারের চিকিৎসাও চালিয়ে যেতে হবে।
Hotline : 01711 532 483
Ruqyah...
*যাদু এবং বদনজর থেকে বাঁচার উপায়* ▬▬▬▬▬▬▬▬ নিম্নে যাদু ও বদনজর থেকে বাঁচার কতিপয় উপায় তুলে ধরা হল: ◼ *১) আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলঃ* সকল প্রকার বালা-মুছিবত থেকে বেঁচে থাকা এবং যাবতীয় উদ্দেশ্য পূরণের জন্য সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল আল্লাহর প্রতি ভরসা। আল্লাহ্ বলেন, وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلىَ اللهِ فَهُوَ حَسْبُهُ “যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করবে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট হবে।” (সূরা ত্বালাক- ৩)
◼ *২) আল্লাহর নির্দেশের বাস্তবায়ন ও নিষেধ থেকে দূরে থাকাঃ* যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ নিষেধের হেফাযত করবে, সে অনুযায়ী চলবে আল্লাহ্ তাকে দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার, সম্পদ সর্বদিক থেকে হেফাযত করবেন। রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেন,“তুমি আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চল আল্লাহ্ তোমাকে হেফাযত করবেন।” (তিরমিযী)
◼ *৩) অধিকহারে আল্লাহর যিকির করাঃ* যেমন- কুরআন তেলাওয়াত, সুবহানাল্লাহ্, আল হামদুলিল্লাহ্, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি বেশী বেশী বলা, অধিকহারে ইস্তেগফার করা, নবী (ছাঃ)এর উপর বেশী করে দরূদ পাঠ… ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে বান্দা নিজেকে সুরক্ষিত করতে পারে।
🔶 *নির্দিষ্টভাবে যে সকল দু’আ কালামের মাধ্যমে যাদু, বান, টোনা, বদ নযর, জ্বিন, শয়তান ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নিম্নরূপঃ*
🔹 ক) নিদ্রা যাওয়ার আগে আয়াতাল কুরসী (সূরা বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত) পাঠ করা। যে ব্যক্তি রাতে তা পাঠ করে, তার জন্য সকাল পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন হেফাযতকারী ফেরেশতা নিয়োগ থাকে, ফলে শয়তান তার নিকটবর্তী হতে পারে না। (ছহীহ বুখারী)
🔹 খ) সূরা বাক্বারা পাঠ করা। যে গৃহে এই সূরা পাঠ করা হয় সেখান থেকে শয়তান পলায়ন করে। (মুসলিম)
🔹 গ) সূরা বাক্বারার শেষের দু’আয়াত পাঠ করা। যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাক্বারার শেষের দুটি আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য এ দুটিই যথেষ্ট হবে। অর্থাৎ- সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে। (ছহীহ বুখারী)
🔹 ঘ) সকাল-সন্ধার নির্ধারিত দু’আ সমূহ পাঠ করা। গৃহে প্রবেশ, গৃহ থেকে বের হওয়া, সোওয়ারীতে আরোহণ করা প্রভৃতি সময়ে নির্দিষ্ট দু’আ পাঠ করা।
🔹 ঙ) শিশুদেরকে ঝাড়-ফুঁক করা। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) হাসান ও হুসাইন (রাঃ)কে ঝাড়-ফুঁক করতেন। তিনি বলতেন,
أُعِيْذُكُماَ بِكَلِماَتِ اللهِ التاَّمَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطاَنٍ وَهاَمَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ
“আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণী সমূহের মাধ্যমে আমি তোমাদের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করছি সকল প্রকার শয়তান থেকে, বিষধর প্রাণীর অনিষ্ট থেকে এবং সকল প্রকার বদ নযর থেকে।” (বুখারী)
🔹 চ) সূর্যাস্তের সময় শিশুদেরকে বাড়ীর বাইরে যেতে বাধা দেয়া। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যখন সন্ধা হয় তখন তোমাদের শিশুদেরকে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত রাখ। কেননা এই সময়ে শয়তানের দল বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। যখন রাতের একটি প্রহর অতিবাহিত হবে তখন (শিশুদেরকে) ছেড়ে দিতে বাধা নেই।” (বুখারী ও মুসলিম)
🔹 ছ) বাসস্থানকে ক্রুশ, মূর্তি, প্রাণীর ছবি, কুকুর থেকে পবিত্র করা। কেননা এসব বস্তু যে গৃহে থাকে সেখানে ফেরেস্তা প্রবেশ করে না। এমনিভাবে গান-বাদ্যের সরঞ্জাম থেকেও গৃহকে পবিত্র রাখা। ▬▬▬▬▬▬ মূলঃ ফাহাদ বিন সুলাইমান আল কাজী السحر والعين والرقية منهما
এছাড়াও যাদু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর নিন্মুক্ত আমল গুলো করলে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়ঃ
এক যাদু আক্রান্ত হওয়ার পর করণীয় বিষয় দু‘প্রকার। প্রথমত: সম্ভব হলে জায়িজ পদ্ধতিতে ঐ যাদু নষ্ট করে দেওয়া এবং যাদুর তাবিজ, গিঁট ইত্যাদি খুজে বের করে ধ্বংস করা। যাদু আক্রান্ত ব্যক্তির মুক্তির এটাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। দ্বিতীয়ত: রুকিয়া শারিয়াহ। যেমন: ক. সাতটি সবুজ বরই (কুল) পাতা পিষে তাতে গোসল করা যায় পরিমাণ পানি দিবে এবং আউযবিল্লাহ পড়ে তাতে সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা আরাফের ১১৭-১২২ আয়াত, সূরা ইউনুসের ৭৯-৮২ আয়াত, সূরা ত্ব-হার ৬৫-৭০ আয়াত, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়বে (শুধু সামনে নিয়ে পড়লে চলবে, ফুঁক দেয়া প্রয়োজন নেই)। এসব পড়া শেষ হলে ঐ পানি থেকে তিনবার পান করবে এবং বাকী পানি দিয়ে গোসল করে নিবে। এতে ইনশাআল্লাহ যাদুর অনিষ্টতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। প্রয়োজনে এ কাজ দু‘বার তিনবার বা তার চেয়ে বেশী করবে। যাদুর অনিষ্টতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ ব্যবস্থাটি খুবই কার্যকর ও বহু পরীক্ষিত। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দুরত্ব সৃষ্টির যাদুতেও এ ব্যবস্থা খুবই কার্যকর। (ফতাওয়া ইবনে বায ৩/২৭৯, ফতহুল মজীদ ৩৪৬ পৃষ্ঠা, আস্-সারিম আল বাততার ১০৯-১১৭ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)।
খ. সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা বাকারার শেষ দু‘আয়াত, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস প্রত্যেকটি তিনবার পড়ে আক্রান্ত স্থানে ফুঁক দিবে এবং ডান হাত দ্বারা তাতে মাসেহ করবে। (ফতহুল বারী ৯/৬২, মুসলিম ৮/১৭২৩ ফতহুল বারী ১০/২০৮ দ্রষ্টব্য)
গ. নিম্মোক্ত দোয়াগুলো বার বার পড়া:
১. আক্রান্ত ব্যক্তির উদ্দেশ্য অন্য কেউ এ দোয়া এক সাথে ৭ বার পড়বে: أسأل الله العظيم ربّ العرش العظيم أن يشفيك (তিরমিযী ২/৪১০, আবু দাউদ ৩/১৮৭)
২. আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই আক্রান্ত স্থানে হাত রেখে তিনবার بسم الله বলে এ দোয়া ৭ বার পড়বে: أعوذ بالله وقدرته من شر ما أجد وأحاذر (সহীহ মুসলিম ৪/১৭)
৩. আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে বা অন্য কেউ তার উদ্দেশ্য এ দোয়া যতবার ইচ্ছা পড়বে: اللهم رب الناس أذهب البأس واشف أنت الشافي لا شفاء إلا شفاؤك شفاءً لا يغادر سقماً “আল্লাহুম্মা, রাব্বান নাস! আযহিবিল বা’স। ওয়াশফি, আনতাশ শাফি। লা শিফাআ ইল্লা শিফাউক। শিফাআন লা য়ুগাদিরু সাকামা।” (ফতহুল বারী ১০/২০৬, মুসলিম ৪/১৭২১) ৪. আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে যত বার ইচ্ছা এ দোয়া পড়বে: أعوذ بكلمات الله التامّة من كلّ شيطان وهامّة ومن كل عين لامّة (ফতহুল বারী ৬/৪০৮)
৫. আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে যত বার ইচ্ছা এ দোয়া পড়বে: أعوذ بكلمات الله التامّات من شر ما خلق (সহীহ মুসলিম ৪/১৭২৮)
৬. আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে যত বার ইচ্ছা এ দোয়া পড়বে: أعوذ بكلمات الله التامّات من غضبه وعقابه وشر عباده ومن همزات الشياطين وأن يحضرون (আবু দাউদ, তিরমিযী ৩/১৭১)
৭. আক্রান্ত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে অন্য কেউ যত বার ইচ্ছা এ দোয়া পড়বে: بسم الله أرقيك من كل شيء يؤذيك ومن شر كل نفس أو عين حاسد الله يشفيك بسم الله أرقيك “বিসমিল্লাহি আরক্বিক মিন কুল্লি শাইয়িন য়ুযিক। ওয়া মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসিদিন; আল্লাহু ইয়াশফিক। বিসমিল্লাহি আরক্বিক।” (সহীহ মুসলিম ৪/১৭১৮)
উপর্যুক্ত দোয়াগুলো যাদু, চোখ লাগা, জ্বিনের আছরসহ সকল প্রকার থেকে রোগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক।
দুই যাদুর প্রভাব নষ্ট করার জন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে হিজামা করানো।
তিন বিভিন্ন লতা-পাতা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক বস্তু থেকে তৈরি তথা হারবাল এবং এলোপ্যথিক ও হোমিও ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা করা। তবে শর্ত হচ্ছে এ ওষুধগুলোর ব্যবহার শরীয়ত কর্তৃক বৈধ হতে হবে। প্রাকৃতিক ওষুধগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হচ্ছে: মধু, কালি জিরা, যমযমের পানি, বৃষ্টির পানি, রুকিয়া করা পানি, অ্যাপল সিডার ভিনেগার, সানা পাতা/সোনামুখীর রস পান, আজওয়া খেজুর ও জায়তুন তেল তথা অলিভ অয়েল। রুকিয়ার গোসল, কুরআন তেলাওয়াত করা, কুরআন তেলাওয়াত শোনা, অঙ্গ ধোয়া পানি, পরিচ্ছন্নতা, সুগন্ধ ও আতর ব্যবহারও প্রাকৃতিক চিকিৎসার অন্তর্ভূক্ত।
বদনজর আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
• শরীরে জ্বর থাকা কিন্তু থার্মোমিটারে না ওঠা, এ ধরনের অন্য কোন অসুখ থাকা কিন্তু মেডিকেল টেস্টে ধরা না পড়া।
• একের পর এক রকমারি সব অসুখ লেগে থাকা, একটা অসুখ ভালো হতে না হতেই আরেক টা শুরু হওয়া।
• সাধারণ রোগ ব্যাধি (সর্দি-কাশি জ্বর ডায়রিয়া ইত্যাদি) দেখা দিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও তা ভালো না হওয়া, ওষুধ কাজ না করা।
• পড়াশোনা বা কাজে মন না বসা। নামাজ-জিকরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা কিছুতেই মনোযোগ দিতে না পারা।
• প্রায়শই শরীর দুর্বল থাকা, বমি বমি ভাব লাগা।
• সব সময় ঘুম ঘুম ভাব, সারাদিন হাই ওঠা।
• চেহারা মলিন ফ্যাকাসে বা হলুদ হয়ে যাওয়া । চেহারায় লাল ছোপ ছোপ দাগ হয়ে থাকা।
• ক্ষুধামন্দা, খাবারে রুচি না পাওয়া ।
• অহেতুক মেজাজ বিগড়ে থাকা ।
• বুক ধড়ফড় করা, দমবন্ধ বা অস্বস্তি লাগা ।
• কাঁধ ভারী হয়ে থাকা । অহেতুক মাথা ঝিম ধরে থাকা ।
• পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া । এজন্য ওষুধ খেয়ে তেমন ফায়দা না হওয়া।
• অতিরিক্ত চুল পড়া । এজন্য ওষুধ বা শ্যাম্পু ব্যবহারে তেমন ফায়দা না হওয়া।
• হাত পায়ে মাঝেমধ্যেই ব্যথা করা । কিংবা পুরো শরীরে ব্যথা দৌড়ে বেড়ানো।
• শরীরের বিভিন্ন জায়গায়, গোশতে গুটলির মতো অনুভব করা।
• কোন কারন ছাড়াই কান্না আসা।
• আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা করতে ভাল না লাগা।
• ব্যাবসা চাকুরী আয়-রোজগারের ঝামেলা লেগে থাকা । কোন ভাবেই উন্নতি না হওয়া।
• যে কাজে ভাল দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেটা করতে গেলেই ঝামেলা বাধা, কিংবা অসুস্থ হয়ে যাওয়া ।
• স্বপ্নের মাঝে বোরখা পরা কাউকে দেখা, যার শুধু চোখ খোলা থাকে কিংবা লাল চোখ ওয়ালা মানুষ দেখা ।
• স্বপ্নে মরা মানুষ দেখা অথবা নিজেকে মৃত অবস্থায় দেখা ।
জিন-আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
নিদ্রাবস্থার লক্ষণ সমূহ:
* নিদ্রাহীনতা : সারারাত ঘুম হয়না, হলেও খুব কম।
* উদ্বিগ্নতা : এজন্য রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যায়।
* ঘনঘন বোবায় ধরা : ঘুমের সময় কেউ চেপে ধরেছে এমন অনূভূত হওয়া, নড়াচড়া করতে না পারা। কারও এই সমস্যা স্বপ্নের মধ্যেও হতে পারে।
* ঘুমের মাঝে প্রায়ই চিৎকার করা, গোঙানো, হাসি-কান্না করা।
* ঘুমের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করা বা দৌড় দেওয়া। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন।
* স্বপ্নে কোনো প্রানীকে অক্রমণ বা ধাওয়া করতে দেখা। বিশেষত কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, উট, গরু, মহিষ, বাঘ, সিংহ, শিয়াল, সাপ বা এই ধরনের হিং¯্র প্রাণী। যদি স্বপ্নে সবসময় দুইটা বা তিনটা প্রানী আক্রমণ করতে আসছে দেখে তাহলে বুঝতে হবে সাথে দুইটা বা তিনটা জিন আছে।
* স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোনো জায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা।
* স্বপ্নে কোনো গোরস্থান, পরিত্যক্ত জায়গা, নদী অথবা মরুভুমির সড়ক দেখা। এটি জিনের পাশাপাশি জাদু আক্রান্ত হওয়ারও ইঙ্গিত বহন করে। আর স্বপ্নে একই জায়গা বারবার দেখলে সেখানে জাদুর জিনিসগুলো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
* বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা । যেমন: অনেক লম্বা, খুবই খাটো, বা খুব কালো কুচকুচে কউকে দেখা।
* স্বপ্নে জিন-ভ‚ত দেখা।
* অন্যান্য ভয়ানক স্বপ্ন দেখা।
* ঘুমের মধ্যে এরকম অনুভব করা যে, কেউ একজন শরীর স্পর্শ করছে বা সঙ্গম করতে চাচ্ছে। যদি মানুষটাকে সর্বদা বিশেষ কোনো চিহ্নসহ দেখা যায়, যেমন: গলায় ক্রুশ ঝুলানো অবস্থায় দেখা গেলে বুঝতে হবে আক্রমনকারী জিনটা খ্রিষ্টান। যদি সবসময় পুরুষ কাউকে দেখা যায়, তবে বোঝা যাবে, অক্রমনকারী জিনটা পুরুষ।
জাগ্রত অবস্থার লক্ষণ :
* ইবাদাত বিমুখতা: নামাজ তিলাওয়াত, যিকির-আযকার থেকে আগ্রহ উঠে যাওয়া। মোট কথা, দিন দিন আল্লাহর থেকে দূরে সরে যাওয়া।
* দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথা। (চোখ, কান, দাঁত ইত্যাদির সমস্যার কারণে নয়; এমনিই মাথার এক পাশে অথবা উভয় দিকে ব্যথা করা, আর এজন্য ওষুধ খেয়েও তেমন ফায়দা না পাওয়া)
* মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকা, কিছুতেই মন না বসা।
* খুব সামান্য কোনো কারণেই যখন-তখন রেগে যাওয়া কিংবা কান্নাকাটি করা।
* বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া।
* হঠাৎ অজ্ঞান বা বেহুশ হয়ে যাওয়া, দাঁতে-দাঁত লেগে ফিট হয়ে যাওয়া। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
জিনের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
রুকাইয়ার সময় নিচের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে বুঝবেন রোগী জিন দ্বারা আক্রান্ত
• হাত দিয়ে চোখ মুখ ঢাকতে চেষ্টা করা বা অদ্ভুত ভাবে এদিক ওদিক তাকানো।
• বার বার পুরো শরীর জোরে জোরে কেঁপে ওঠা।
• কোন অঙ্গ অস্বাভাবিক নড়াচড়া করা বা শরীরে কোন জায়গার পেশির অস্বাভাবিক লাফানো।
• ঘুমানো শুরু করা।
• চিৎকার দিয়ে উঠে বারবার থামতে বলা।
• কারো নাম ঠিকানা বলতে শুরু করা বা গালিগালাজ করা।
• দাঁতে দাঁত লেগে নিথর হয়ে যাওয়া বা অচেতন হয়ে যাওয়া।
এরকম কিছু হলে বোঝা যাবে রোগীর সাথে জিন আছে সে ক্ষেত্রে রুকাইয়া চালিয়ে যেতে হবে হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই কথা বলবে অথবা এখান থেকে পালাবে, কথা বলুক অথবা চুপ থাকুক আপনি পড়া থামিয়ে দেবেন না মনে মনে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন এবং কুরআন পড়তে থাকুন যদি কখনো রোগী নিশ্চল হয়ে যায় এক্ষেত্রে আপনার কাজ হবে তিলাওয়াত করতে থাকা একটু পরে ইনশাআল্লাহ জ্ঞান ফিরবে, তবে চাইলে মুখে পানির ছিটা দিতে পারেন।
বাড়িতে জিনের সমস্যা থাকলে করনীয়
অনেক বাড়িতে অস্বাভাবিক কিছু সমস্যা দেখা যায় যেমন
• বিভিন্ন ছায়া বা আকৃতি দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা।
• রাতে অথবা কেউ যখন বাড়িতে থাকে না তখন রান্নাঘর অন্যান্য কামরা বাসা থেকে আওয়াজ আসা।
• ফাঁকা ঘর বা ছাদ থেকে বাড়ির লোকদের নাম ধরে ডাকছে এমনটা শোনা।
• বাহিরে বা অন্য জায়গায় অবস্থান করছে এমন কাউকে বাড়িতে দেখতে পাওয়া।
• অকারনে টয়লেটের ঝরনা চালু হওয়া লাইট ফ্যান অন অফ হওয়া দরজা-জানালা বারবার খোলা বন্ধ হওয়া।
• নিজেরা না করলেও জিনিসপত্র বারবার লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া এক জায়গার জিনিস অন্য জায়গায় পাওয়া।
• অকারণে গ্লাস বা আয়না ভেঙ্গে যাওয়া।
• অদ্ভুতভাবে জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়া।
• ঘুমের সময় কাঁথা-কম্বল টান দিয়ে বিরক্ত করা।
• রাতে বাড়ির আশপাশের কুকুরগুলো অতিরিক্ত ঘেউ ঘেউ করা ইত্যাদি।
বিয়ে ভাঙ্গার জাদুর কিছু লক্ষণ
• মাথা ব্যথা ওষুধ খেয়েও তেমন ফায়দা না হওয়া।
• প্রায় সময়ই মানসিক অশান্তিতে থাকা বিশেষত বিকেল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত একটুতেই রেগে যাওয়া।
• ঘুমের মধ্যে শান্তি না পাওয়া ঠিকমত ঘুমাতে না পারা আর ঘুম থেকে উঠার পর অনেকক্ষণ কষ্ট হওয়া।
• প্রায় সময় পেট ব্যথা থাকা।
• ব্যাক পেইন বিশেষত মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা হওয়া।
• বিয়ের কথাবার্তা শুরু হলে অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
• বিয়ের প্রস্তাব দেয় তাকে খারাপ মনে হয় তার ব্যাপারে অনর্থক সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া।
• বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও বিয়ের ব্যাপারে একদমই আগ্রহ না থাকা।
বিয়ে আটকে রাখার যাদু করতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরাসরি জিনের সাহায্য নেওয়া হয় এজন্য উল্লেখিত লক্ষণগুলোর পাশাপাশি জিন দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কিছু লক্ষণ মিলে যেতে পারে।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এই লক্ষণগুলোর কয়েকটি যদি বিবাহিত কারো মাঝে দেখা যায় তবে এটা সম্পর্ক বিচ্ছেদের জাদু হিসেবে কাজ করতে পারে সুতরাং অবহেলা না করে রুকইয়াহ করতে হবে, দুঃখজনক হলেও সত্য এই শয়তানের প্রচলন আমাদের দেশে অনেক বেশি, আল্লাহ হেফাজত করুন।
সম্পর্ক বিচ্ছেদ ঘটানোর জাদুর লক্ষণ
• স্বামী বাইরে থাকলে ভালো থাকে কিন্তু বাড়িতে প্রবেশ করলে দুজনের কোন একজনের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
• খুব বেশি সন্দেহ প্রবন হয়ে যায়।
• ছোট ছোট বিষয়ে ছাড় দিতে চায় না একটুতেই ঝগড়া বেধে যায়।
• স্ত্রী দেখতে যতই সুন্দর হোক স্বামীর কাছে খারাপ লাগে স্ত্রী সাজগোজ করলে বিরক্ত লাগে।
• স্বামীর ভালো কথাবার্তা বা সুন্দর আচরণ ও স্ত্রীর কাছে বিরক্তিকর মনে হয়।
• স্বামীর ব্যবহৃত জিনিস বা বসার জায়গা স্ত্রী অপছন্দ করে।
• অন্যদের সাথে আচরণ স্বাভাবিক থাকলেও স্বামী-স্ত্রী কথা বলতে গেলেই ঝামেলা বেধে যায়।
• এরকম ঘটনা যদি সচরাচর ঘটতেই থাকে তবে বুঝতে হবে কোন একটা সমস্যা আছে আর হা প্রত্যেকের ক্ষেত্রে সব লক্ষণই মিলবে ব্যাপারটা এমন নয় তবে সমস্যা থাকলে অন্তত দুই তিনটা মিলে যাওয়ার কথা আর সঙ্গত কারণেই জিন আক্রান্ত হওয়ার কিছু লক্ষণ ও মিলতে পারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য রুকাইয়া করে দেখতে হবে।
বশ করার জাদুর লক্ষণ
• সব সময় স্ত্রীর চিন্তা মাথায় ঘোড়া অন্য কিছুতে মন দিতে না পারা।
• সব সময় স্ত্রীকে দেখতে ইচ্ছে হওয়া বাড়ির বাইরে থাকতে না পারা বাড়িতে থাকলে সারাদিন স্ত্রীর পিছু পিছু ঘোড়া।
• যখন তখন স্ত্রী সঙ্গে শুধু সঙ্গম করতে ইচ্ছে হওয়া সারাদিন এই চিন্তা মাথায় ঘোরা সহবাসের ব্যাপারে অধৈর্য হয়ে যাওয়া।
• বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই কারো প্রতি অতিরিক্ত অনুরক্ত হয়ে যাওয়া।
• যাকে পছন্দ করতেন না বা পাত্তা দিতেন না হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই তার প্রতি তীব্র ভালো লাগার শুরু হয়ে যাওয়া।
• কোন বাছবিচার ছাড়াই স্ত্রীর কথা অন্ধের মত মানতে শুরু করা পড়ে যদিও বা কখনো এটা বুঝতে পারে তারপরও অজানা কারণে তার প্রতি নিজেকে বাধ্য মনে হওয়া।
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে প্রচলিত জাদু গুলোর মধ্যে এই জাদুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উল্টাপাল্টা প্রভাব হয় কারণ যাদুর পানীয় তৈরি বেশ কঠিন কাজ আর বশ করার জাদুতে সাধারণত জাদুর পানীয় ব্যবহার হয়। ফলে বেশির ভাগই এখানে ভুল করে আর বিভিন্ন ক্ষতি হয়ে যায় যেমন :
• কখনো আসক্ত হওয়ার বদলে বিরক্তিকর মনোভাব বেড়ে যায় এমনকি অনেক সময় মেয়ে মানুষের প্রতি চরম বিরক্ত হয়ে যায়।
• এই বিপরীত প্রভাবের জন্য কেউ হুট করে বউকে তালাক দিয়ে দেয়।
• কখনো স্ত্রী বাদে বাকি সবাই- যেমন ভাই বোন বাবা মা সবার প্রতি বিদ্বেষী হয়ে যায়।
• এই জাদুর প্রভাবে মানুষ কখনো একজন পাগল হয়ে যায়। কেউ একদম পাগল না হলেও প্রায় পাগলের মত আচরণ করে।
• এর প্রভাবে কখনও মারাত্মক অসুখে আক্রান্ত হয়ে যায় তখন কাজকর্ম তো দূরের কথা বিছানা থেকে উঠতে পারেনা এজন্য ডাক্তারের চিকিৎসা করেও তেমন কোনো উপকার হয় না।
এই জঘন্য জাদুর কারণে এমনিও অনেক উল্টাপাল্টা ঘটনা ঘটে থাকে।
এই জাদুর ক্ষেত্রে সাধারণত জাদুর পানিও মিষ্টি কোন দ্রব্যের উপর মন্ত্র পড়ে ফু দিয়ে সেটা খাওয়ানো হয়। হাঁটাচলার রাস্তায় জাদুর পানীয় ঢেলে দেওয়া হয়, যা অতিক্রম করলে জাদু আক্রান্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আশা করা যায় সেলফ রুকইয়াহ খুব ভালোভাবে যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।
পাগল বানানো বা পড়ালেখা নষ্টের জাদু
পাগল বানানোর জাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।
• পড়ালেখায় আগে ভালো থাকলেও হুট করে সবকিছুতে ধ্বস নামা। পরীক্ষা আসলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
• এক জায়গায় অল্পক্ষণ থাকলেই অধৈর্য হয়ে যাওয়া কোন কাজ ধীর-স্থিরভাবে করতে না পারা।
• কাজকর্ম কথাবার্তায় ভুলভ্রান্তি বেড়ে যাওয়া ওয়াসওয়াসা বেড়ে যাওয়া।
• নিজের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে অতিরিক্ত উদাসীন থাকা অকারণে ময়লা বা ছেড়া জামা কাপড় পড়তে ইচ্ছা হওয়া।
• চোখের অবস্থা অস্বাভাবিক বা অসুন্দর হয়ে যাওয়া।
• কোন কারন ছাড়াই হাঁটতে থাকা হঠাৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া অথবা কার্যত না করলেও বারবার এমন ইচ্ছা জাগা।
• মাঝেমধ্যে একদম পাগলের মত আচরণ করা বিশেষত প্রতিদিন বিকেলের পর, পূর্নিমা কিংবা অমাবস্যার রাতে।
• ঠিকমতো ঘুমাতে না পারা।
• সামান্য ঘুমালেও ভীতিকর স্বপ্ন দেখা, কেউ তাকে ধাওয়া করছে অথবা অদৃশ্য থেকে কেউ ডাকছে।
• স্বপ্নে যা দেখে এটা জাগ্রত অবস্থায়ও ঘটতে পারে উদাহরণস্বরূপ এরকম মনে হওয়া যে কেউ তাকে ডাকছে অথচ অন্যরা কিছু শুনতে পাইনি।
এগুলোর পাশাপাশি জিন আক্রান্ত হওয়ার কিছু লক্ষণ এর সাথে মিল পাওয়া যেতে পারে।
অসুস্থ বানানো বা হত্যা করার জাদু
অসুস্থ বানানোর যাদু তে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
• শরীরের কোন অঙ্গে সব সময় ব্যথা থাকা।
• কোন অঙ্গ একেবারে অচল হয়ে যাওয়া।
• পুরো শরীর নিশ্চল হয়ে যাওয়া।
• মাঝেমধ্যেই শরীর ঝাঁকুনি বা খিচুঁনি দিয়ে বেহুশ হয়ে যাওয়া।
• কোন ইন্দ্রিয় শক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া।(যেমন: স্বাদ বা গন্ধ বুঝতে না পারা।
• প্রচন্ড অসুস্থতায় ভোগা, অন্যদিকে আবার মেডিকেলের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কিছু ধরা না পড়া।
• কিছুই খেতে না পারা আর খেলেও দিনদিন অস্বাভাবিক স্বাস্থ্যহানি ঘটে।
• এখানে একটা প্রশ্ন আসতে পারে সমস্যা তো শারীরিক অসুখ-বিসুখ এর কারণে হতে পারে তাহলে কেউ যাদু করেছে নাকি এমনি অসুখের কারণে এমনটা হচ্ছে তা বোঝার উপায় কি ?
• যাদু-টোনা বা জিনের কারণে এসব হলে সাধারণত ডাক্তারের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য কোনো উপকার হয় না। ল্যাবটেষ্ট এক্সপ্রেস সিটি স্ক্যানে বিশেষ কোন রোগ ধরা পড়ে না তবে অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন জাদু আক্রান্ত থাকতে-থাকতে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় যেমন ভাবে এক রোগ থেকে একাধিক রোগ হয়ে যায় এক্ষেত্রে ডায়াগনস্টিক টেস্টে ধরা পড়লেও পরতে পারে।
ইস্তিহাযা বা অনিয়মিত স্রাব এর সমস্যা
ইস্তিহাযার জাদুর লক্ষণ
• মাসিক স্রাব ৩দিনের কম বা ১০ দিনের বেশি হওয়া, আর এরকম সমস্যা কয়েক মাস হওয়া।
• সর্বদা স্রাব প্রবাহিত হওয়া।
• স্রাব একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়া (বয়সের কারণে নয়)।
• সাদাস্রাব।
• স্রাবের সময় অতিরিক্ত ব্যথা-বেদনা থাকা।
• ঠিকমতো ঘুম না হওয়া ঘনঘন বোবায় ধরা বা বাজে স্বপ্ন দেখা।
• শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা হওয়া বিশেষত ব্যাক পেইন, কিংবা লজ্জাস্থানে ব্যথা, অধিকাংশ সময়ই মাথা ব্যথা করা।
সহবাসে অক্ষম করার জাদু
সহবাসে অক্ষম এর জাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
পুরুষের ক্ষেত্রে :
• বিয়ের পূর্বে সুস্থ থাকলেও বিয়ের পর ক্রমশ যৌন মিলনের সব ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে সম্পূর্ণ শারীরিক সুস্থতা থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীর সাথে সহবাসে হঠাৎ অক্ষম হয়ে পড়ে।
• মিলন পূর্ব সময় স্বাভাবিক থাকলেও মিলনের সময় পুরুষাঙ্গ দুর্বল নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
• সহবাসের সময় বা এর কিছুক্ষণ পূর্বে যৌন অনুভূতি হারিয়ে ফেলে।
নারীদের ক্ষেত্রে :
• কুমারী মেয়েকে বিয়ের পরও অকুমারী মনে হয়, এতে স্বামীর মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয় কিন্তু এই যাদুর চিকিৎসা করে যাদু নষ্ট হওয়ার পর আর এমন মনে হয় না।
• স্ত্রী তার স্বামীকে কাছে আসতে অনিচ্ছা নিয়ে বাধা দেয়।
• সহবাসের সময় বা এর কিছুক্ষন পূর্বেই যৌন অনুভূতি হারিয়ে ফেলে।
• স্বামী কাছে আসতে চাইলে অনিচ্ছায় দুই উরু একত্রিত করে ফেলে।
• কেবল সহবাসের সময় জরায়ু থেকে রক্ত বের হয়।
• (এমনিতে জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ)
• সহবাসের সময় তার স্বামী যৌনাঙ্গের মধ্যে মাংসের প্রতিবন্ধকতা পায়, ফলে সহবাস সফল হয় না।
এছাড়া উভয় ক্ষেত্রেই জিন আক্রান্ত হওয়ার কিছু লক্ষণ মিলে যেতে পারে।
গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জাদু
এই জাদুতে আক্রান্ত হবার কিছু লক্ষণ
• মানসিক অশান্তিতে থাকা, বিশেষত বিকেল থেকে মধ্যরাত।
• বুকের মধ্যে শক্ত বা ভারী অনুভব হওয়া।
• সহজেই সবকিছু ভুলে যাওয়া। মন ভোলার সমস্যা বেড়ে যাওয়া।
• মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা।
• ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা থাকা ঠিকভাবে ঘুমাতে না পারা।
• ঘুমালেও ভয়ঙ্কর সব স্বপ্ন দেখা।
• হ্যালুসিনেশন বেড়ে যাওয়া।
• এছাড়াও এই জাদুতে অনেক সময় জিনের সাহায্য নেওয়া হয়, তাই জিন আক্রান্ত হওয়ার কিছু লক্ষণও মিলে যেতে পারে।
ওয়াসওয়াসা রোগ
ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
• কারণে অকারণে সর্বদা চিন্তিত থাকা। মাথায় বিক্ষিপ্ত চিন্তা ঘোরাঘুরি করার কারণে দৈনন্দিন কাজ সালাত ইবাদতে মনোযোগ দিতে না পারা।
• হঠাৎ আচার আচরণ পরিবর্তন হওয়া। এক ধরনের উদাস ভাব চলে আসা। কোন কিছুই ভালো না লাগা।
• অজু গোসল অথবা সালাতের বিশুদ্ধতা নিয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকা। বারবার মনে হয়, আমার ওযু ঠিক মতো হচ্ছে না, গোসল ভালোমতো হয়নি কিংবা সালাতের দোয়া কালাম ঠিকমতো হচ্ছে না।
• পরিষ্কার পরিছন্নতা অথবা পরনের কাপড় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা।
• টয়লেট বা গোসলখানায় অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা।
• অজু গোসল বা শৌচকর্ম সময় এক অঙ্গ বারবার ধোয়া, এরপরও তৃপ্ত হতে না পারা।
• বারবার মনে হওয়া ওযু ভেঙ্গে যাচ্ছে অথবা প্রস্রাবের ফোটা পড়ছে অথবা সব সময় এমন মনে হয় যে পেছন থেকে বায়ু বের হচ্ছে, বিশেষত সালাতের সময় এই অনুভূতি হওয়া কিন্তু নিশ্চিত হতে না পারা।
• মুরুব্বী উস্তাদ বায়োজেষ্ঠ দের সামনে বসলে অথবা বড়দের সাথে কথা বলতে লাগলে মনে হওয়া যে ভেতর থেকে কেউ বেয়াদবির জন্য উস্কে দিচ্ছে।
• আল্লাহ তাআলা রাসূল (সাঃ) অথবা ইসলামের ব্যাপারে বারবার মাথায় অবমাননাকর চিন্তা আসা।
• এরকম মনে হয় যে কানের কাছে কেউ ফিসফিস করছে, আপনি কুফরি করছেন বা কাফের হয়ে যাচ্ছেন।
• মাঝেমধ্যে কোন অদ্ভুত শব্দ বা কন্ঠ শুনতে পাওয়া অন্যদিকে অবস্থা এমন হয় যে কারো সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করলে ভাবে আপনি পাগল হয়ে যাচ্ছেন।
• সালাতের রাকাত ভুলে যাওয়া কিংবা অন্য আরকান গুলোর ব্যাপারে দ্বিধায় ভোগা। যেমন: সাজদা একটা দিয়েছেন নাকি দুইটা দিয়েছেন এসব ব্যাপারে সন্দেহ জায়গা আর এমনটা প্রায়শই ঘটতে থাকা।
• রুকু-সিজদা দীর্ঘায়িত করতে না পারা, জলদি উঠে যাওয়া। অবস্থা গুরুতর হলে সালাতে রুকু সেজদার সময় মনের মধ্যে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি কিংবা দেব-দেবীর মূর্তি ভেসে উঠে।
• প্রিয় মানুষদের নিয়ে বাজে স্বপ্ন দেখা।
• স্বপ্নে নোংরা ময়লা পায়খানা ইত্যাদি দেখা।
• ওয়াসওয়াসা সমস্যা বেশি দিন পুরনো হয়ে গেলে বা বেড়ে গেলে এটা বিভিন্ন মানসিক অথবা শারীরিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হয়, যার মধ্যে প্রস্রাবের ইনফেকশন এবং শুচিবায়ু বা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার অন্যতম। এক্ষেত্রে ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্ত হওয়ার পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
যদি জিন আসর করে তাড়াবেন কিভাবে? ----------------------------------------
কখনো যদি হঠাৎ করে কাউকে জিনে পেয়ে বসে তাহলে ভয় না পেয়ে সাহস করে এই আয়াত গুলো তার কানের কাছে উচ্চস্বরে পরতে হবে। ইংশা আল্লাহ জিন চলে যাবে। যিনি পড়বেন জিন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
তবে যারা সাহস বা হিম্মত রাখেন না তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ইংশা আল্লাহ।
জিন তাড়ানোর রুকইয়াহ'র আয়াতসমূহঃ
.
(১) সূরা ফাতিহা ১-৭
.
ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ® ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ® ﻣَﺎﻟِﻚِ ﻳَﻮْﻡِ ﺍﻟﺪِّﻳﻦِ ® ﺇِﻳَّﺎﻙَ ﻧَﻌْﺒُﺪُ ﻭَﺇِﻳَّﺎﻙَ ﻧَﺴْﺘَﻌِﻴﻦُ
ﺍﻫْﺪِﻧَﺎ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁَ ﺍﻟْﻤُﺴْﺘَﻘِﻴﻢَ ® ﺻِﺮَﺍﻁَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻤْﺖَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻏَﻴْﺮِ ﺍﻟْﻤَﻐْﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦَ.
.
(২) সূরা বাক্বারা ১-৫, ৬৩-৬৪, ১৬৩-১৬৪, ২৫৫-২৫৭, ২৮৫-২৮৬
.
১-৫
ﺍﻟﻢ ® ﺫَٰﻟِﻚَ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏُ ﻟَﺎ ﺭَﻳْﺐَ ۛ ﻓِﻴﻪِ ۛ ﻫُﺪً ﻟِﻠْﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ ® ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺑِﺎﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﻳُﻘِﻴﻤُﻮﻥَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﻣِﻤَّﺎ ﺭَﺯَﻗْﻨَﺎﻫُﻢْ ﻳُﻨْﻔِﻘُﻮﻥَ ® ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺑِﻤَﺎ ﺃُﻧْﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻭَﻣَﺎ ﺃُﻧْﺰِﻝَ ﻣِﻦْ ﻗَﺒْﻠِﻚَ ﻭَﺑِﺎﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ ﻫُﻢْ ﻳُﻮﻗِﻨُﻮﻥَ ® ﺃُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﻋَﻠَﻰٰ ﻫُﺪًﻯ ﻣِﻦْ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ ۖ ﻭَﺃُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻤُﻔْﻠِﺤُﻮﻥَ.
.
৬৩-৬৪
ﻭَﺇِﺫْ ﺃَﺧَﺬْﻧَﺎ ﻣِﻴﺜَﺎﻗَﻜُﻢْ ﻭَﺭَﻓَﻌْﻨَﺎ ﻓَﻮْﻗَﻜُﻢُ ﺍﻟﻄُّﻮﺭَ ﺧُﺬُﻭﺍ ﻣَﺎ ﺁﺗَﻴْﻨَﺎﻛُﻢْ ﺑِﻘُﻮَّﺓٍ ﻭَﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ ﻣَﺎ ﻓِﻴﻪِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﺘَّﻘُﻮﻥَ ® ﺛُﻢَّ ﺗَﻮَﻟَّﻴْﺘُﻢْ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِ ﺫَٰﻟِﻚَ ۖ ﻓَﻠَﻮْﻟَﺎ ﻓَﻀْﻞُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻭَﺭَﺣْﻤَﺘُﻪُ ﻟَﻜُﻨْﺘُﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﺎﺳِﺮِﻳﻦَ.
.
১৬৩-১৬৪
ﻭَﺇِﻟَٰﻬُﻜُﻢْ ﺇِﻟَٰﻪٌ ﻭَﺍﺣِﺪٌ ۖ ﻟَﺎ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ ® ﺇِﻥَّ ﻓِﻲ ﺧَﻠْﻖِ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﺍﺧْﺘِﻠَﺎﻑِ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻭَﺍﻟﻨَّﻬَﺎﺭِ ﻭَﺍﻟْﻔُﻠْﻚِ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺒَﺤْﺮِ ﺑِﻤَﺎ ﻳَﻨْﻔَﻊُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧْﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﻣِﻦْ ﻣَﺎﺀٍ ﻓَﺄَﺣْﻴَﺎ ﺑِﻪِ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺑَﻌْﺪَ ﻣَﻮْﺗِﻬَﺎ ﻭَﺑَﺚَّ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺩَﺍﺑَّﺔٍ ﻭَﺗَﺼْﺮِﻳﻒِ ﺍﻟﺮِّﻳَﺎﺡِ ﻭَﺍﻟﺴَّﺤَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺴَﺨَّﺮِ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻟَﺂﻳَﺎﺕٍ ﻟِﻘَﻮْﻡٍ ﻳَﻌْﻘِﻠُﻮﻥَ.
.
২৫৫-২৫৮
® ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻲُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮﻡُ ۚ ﻟَﺎ ﺗَﺄْﺧُﺬُﻩُ ﺳِﻨَﺔٌ ﻭَﻟَﺎ ﻧَﻮْﻡٌ ۚ ﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ۗ ﻣَﻦْ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻋِﻨْﺪَﻩُ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﺈِﺫْﻧِﻪِ ۚ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠْﻔَﻬُﻢْ ۖ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺤِﻴﻄُﻮﻥَ ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ﻣِﻦْ ﻋِﻠْﻤِﻪِ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﻤَﺎ ﺷَﺎﺀَ ۚ ﻭَﺳِﻊَ ﻛُﺮْﺳِﻴُّﻪُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ۖ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺌُﻮﺩُﻩُ ﺣِﻔْﻈُﻬُﻤَﺎ ۚ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲُّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢُ ® ﻟَﺎ ﺇِﻛْﺮَﺍﻩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪِّﻳﻦِ ۖ ﻗَﺪْ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﺍﻟﺮُّﺷْﺪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻐَﻲِّ ۚ ﻓَﻤَﻦْ ﻳَﻜْﻔُﺮْ ﺑِﺎﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕِ ﻭَﻳُﺆْﻣِﻦْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻘَﺪِ ﺍﺳْﺘَﻤْﺴَﻚَ ﺑِﺎﻟْﻌُﺮْﻭَﺓِ ﺍﻟْﻮُﺛْﻘَﻰٰ ﻟَﺎ ﺍﻧْﻔِﺼَﺎﻡَ ﻟَﻬَﺎ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤِﻴﻊٌ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ® ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟِﻲُّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻳُﺨْﺮِﺟُﻬُﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻈُّﻠُﻤَﺎﺕِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻨُّﻮﺭِ ۖ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺅُﻫُﻢُ ﺍﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕُ ﻳُﺨْﺮِﺟُﻮﻧَﻬُﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨُّﻮﺭِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻈُّﻠُﻤَﺎﺕِ ۗ ﺃُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ۖ ﻫُﻢْ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺧَﺎﻟِﺪُﻭﻥَ.
.
২৮৫-২৮৬
® ﺁﻣَﻦَ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝُ ﺑِﻤَﺎ ﺃُﻧْﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻣِﻦْ ﺭَﺑِّﻪِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ۚ ﻛُﻞٌّ ﺁﻣَﻦَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺘِﻪِ ﻭَﻛُﺘُﺒِﻪِ ﻭَﺭُﺳُﻠِﻪِ ﻟَﺎ ﻧُﻔَﺮِّﻕُ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﺣَﺪٍ ﻣِﻦْ ﺭُﺳُﻠِﻪِ ۚ ﻭَﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺳَﻤِﻌْﻨَﺎ ﻭَﺃَﻃَﻌْﻨَﺎ ۖ ﻏُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺍﻟْﻤَﺼِﻴﺮُ ® ﻳُﻜَﻠِّﻒُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻧَﻔْﺴًﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻭُﺳْﻌَﻬَﺎ ۚ ﻟَﻬَﺎ ﻣَﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖْ ﻭَﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺍﻛْﺘَﺴَﺒَﺖْ ۗ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺆَﺍﺧِﺬْﻧَﺎ ﺇِﻥْ ﻧَﺴِﻴﻨَﺎ ﺃَﻭْ ﺃَﺧْﻄَﺄْﻧَﺎ ۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺤْﻤِﻞْ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺇِﺻْﺮًﺍ ﻛَﻤَﺎ ﺣَﻤَﻠْﺘَﻪُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦْ ﻗَﺒْﻠِﻨَﺎ ۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺤَﻤِّﻠْﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﺎ ﻃَﺎﻗَﺔَ ﻟَﻨَﺎ ﺑِﻪِ ۖ ﻭَﺍﻋْﻒُ ﻋَﻨَّﺎ ﻭَﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨَﺎ ۚ ﺃَﻧْﺖَ ﻣَﻮْﻟَﺎﻧَﺎ ﻓَﺎﻧْﺼُﺮْﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻘَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮِﻳﻦَ.
.
(৩) সূরা আলে ইমরান ১৮-১৯
.
ﺷَﻬِﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﻭَﺍﻟْﻤَﻠَﺎﺋِﻜَﺔُ ﻭَﺃُﻭﻟُﻮ ﺍﻟْﻌِﻠْﻢِ ﻗَﺎﺋِﻤًﺎ ﺑِﺎﻟْﻘِﺴْﻂِ ۚ ﻟَﺎ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ ® ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺪِّﻳﻦَ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﺈِﺳْﻠَﺎﻡُ ۗ ﻭَﻣَﺎ ﺍﺧْﺘَﻠَﻒَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃُﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِ ﻣَﺎ ﺟَﺎﺀَﻫُﻢُ ﺍﻟْﻌِﻠْﻢُ ﺑَﻐْﻴًﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ۗ ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﻜْﻔُﺮْ ﺑِﺂﻳَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺳَﺮِﻳﻊُ ﺍﻟْﺤِﺴَﺎﺏِ.
.
(৪) সূরা আ'রাফ ৫৪-৫৬, ১১৭-১২২
.
ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻓِﻲ ﺳِﺘَّﺔِ ﺃَﻳَّﺎﻡٍ ﺛُﻢَّ ﺍﺳْﺘَﻮَﻯٰ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﻳُﻐْﺸِﻲ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞَ ﺍﻟﻨَّﻬَﺎﺭَ ﻳَﻄْﻠُﺒُﻪُ ﺣَﺜِﻴﺜًﺎ ﻭَﺍﻟﺸَّﻤْﺲَ ﻭَﺍﻟْﻘَﻤَﺮَ ﻭَﺍﻟﻨُّﺠُﻮﻡَ ﻣُﺴَﺨَّﺮَﺍﺕٍ ﺑِﺄَﻣْﺮِﻩِ ۗ ﺃَﻟَﺎ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺨَﻠْﻖُ ﻭَﺍﻟْﺄَﻣْﺮُ ۗ ﺗَﺒَﺎﺭَﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ® ﺍﺩْﻋُﻮﺍ ﺭَﺑَّﻜُﻢْ ﺗَﻀَﺮُّﻋًﺎ ﻭَﺧُﻔْﻴَﺔً ۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻤُﻌْﺘَﺪِﻳﻦَ ® ﻭَﻟَﺎ ﺗُﻔْﺴِﺪُﻭﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺑَﻌْﺪَ ﺇِﺻْﻠَﺎﺣِﻬَﺎ ﻭَﺍﺩْﻋُﻮﻩُ ﺧَﻮْﻓًﺎ ﻭَﻃَﻤَﻌًﺎ ۚ ﺇِﻥَّ ﺭَﺣْﻤَﺖَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻗَﺮِﻳﺐٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺤْﺴِﻨِﻴﻦَ.
.
১১৭-১২২
.
ﻭَﺃَﻭْﺣَﻴْﻨَﺎ ﺇِﻟَﻰٰ ﻣُﻮﺳَﻰٰ ﺃَﻥْ ﺃَﻟْﻖِ ﻋَﺼَﺎﻙَ ۖ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻫِﻲَ ﺗَﻠْﻘَﻒُ ﻣَﺎ ﻳَﺄْﻓِﻜُﻮﻥَ ® ﻓَﻮَﻗَﻊَ ﺍﻟْﺤَﻖُّ ﻭَﺑَﻄَﻞَ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ® ﻓَﻐُﻠِﺒُﻮﺍ ﻫُﻨَﺎﻟِﻚَ ﻭَﺍﻧْﻘَﻠَﺒُﻮﺍ ﺻَﺎﻏِﺮِﻳﻦَ ® ﻭَﺃُﻟْﻘِﻲَ ﺍﻟﺴَّﺤَﺮَﺓُ ﺳَﺎﺟِﺪِﻳﻦَ ® ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺁﻣَﻨَّﺎ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ® ﺭَﺏِّ ﻣُﻮﺳَﻰٰ ﻭَﻫَﺎﺭُﻭﻥَ.
.
(৫) সূরা ইউনুস ৮১-৮২
.
ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺃَﻟْﻘَﻮْﺍ ﻗَﺎﻝَ ﻣُﻮﺳَﻰٰ ﻣَﺎ ﺟِﺌْﺘُﻢْ ﺑِﻪِ ﺍﻟﺴِّﺤْﺮُ ۖ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺳَﻴُﺒْﻄِﻠُﻪُ ۖ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﺎ ﻳُﺼْﻠِﺢُ ﻋَﻤَﻞَ ﺍﻟْﻤُﻔْﺴِﺪِﻳﻦَ
® ﻭَﻳُﺤِﻖُّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﺤَﻖَّ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺗِﻪِ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺮِﻩَ ﺍﻟْﻤُﺠْﺮِﻣُﻮﻥَ.
.
(৬) সূরা ত্বহা ৬৯
.
ﻭَﺃَﻟْﻖِ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﻳَﻤِﻴﻨِﻚَ ﺗَﻠْﻘَﻒْ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌُﻮﺍ ۖ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺻَﻨَﻌُﻮﺍ ﻛَﻴْﺪُ ﺳَﺎﺣِﺮٍ ۖ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﻔْﻠِﺢُ ﺍﻟﺴَّﺎﺣِﺮُ ﺣَﻴْﺚُ ﺃَﺗَﻰٰ
.
(৭) সূরা মু'মিনূন ১১৬-১১৮
.
ﻓَﺘَﻌَﺎﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﻤَﻠِﻚُ ﺍﻟْﺤَﻖُّ ۖ ﻟَﺎ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻜَﺮِﻳﻢِ ® ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﺪْﻉُ ﻣَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻟَٰﻬًﺎ ﺁﺧَﺮَ ﻟَﺎ ﺑُﺮْﻫَﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﺑِﻪِ ﻓَﺈِﻧَّﻤَﺎ ﺣِﺴَﺎﺑُﻪُ ﻋِﻨْﺪَ ﺭَﺑِّﻪِ ۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﻔْﻠِﺢُ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮُﻭﻥَ ® ﻭَﻗُﻞْ ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻭَﺍﺭْﺣَﻢْ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟﺮَّﺍﺣِﻤِﻴﻦَ.
.
(৮) সূরা সাফফাত ১-১০
.
ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻓَّﺎﺕِ ﺻَﻔًّﺎ ® ﻓَﺎﻟﺰَّﺍﺟِﺮَﺍﺕِ ﺯَﺟْﺮًﺍ ® ﻓَﺎﻟﺘَّﺎﻟِﻴَﺎﺕِ ﺫِﻛْﺮًﺍ ® ﺇِﻥَّ ﺇِﻟَٰﻬَﻜُﻢْ ﻟَﻮَﺍﺣِﺪٌ ® ﺭَﺏُّ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻭَﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻤَﺸَﺎﺭِﻕِ ® ﺇِﻧَّﺎ ﺯَﻳَّﻨَّﺎ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀَ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺑِﺰِﻳﻨَﺔٍ ﺍﻟْﻜَﻮَﺍﻛِﺐِ ® ﻭَﺣِﻔْﻈًﺎ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻴْﻄَﺎﻥٍ ﻣَﺎﺭِﺩٍ ® ﻟَﺎ ﻳَﺴَّﻤَّﻌُﻮﻥَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﻠَﺈِ ﺍﻟْﺄَﻋْﻠَﻰٰ ﻭَﻳُﻘْﺬَﻓُﻮﻥَ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺟَﺎﻧِﺐٍ ® ﺩُﺣُﻮﺭًﺍ ۖ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﻭَﺍﺻِﺐٌ ® ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﻦْ ﺧَﻄِﻒَ ﺍﻟْﺨَﻄْﻔَﺔَ ﻓَﺄَﺗْﺒَﻌَﻪُ ﺷِﻬَﺎﺏٌ ﺛَﺎﻗِﺐٌ.
.
(৯) সূরা আহক্বাফ ২৯-৩২
.
ﻭَﺇِﺫْ ﺻَﺮَﻓْﻨَﺎ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻧَﻔَﺮًﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠِﻦِّ ﻳَﺴْﺘَﻤِﻌُﻮﻥَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥَ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺣَﻀَﺮُﻭﻩُ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺃَﻧْﺼِﺘُﻮﺍ ۖ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻗُﻀِﻲَ ﻭَﻟَّﻮْﺍ ﺇِﻟَﻰٰ ﻗَﻮْﻣِﻬِﻢْ ﻣُﻨْﺬِﺭِﻳﻦَ ® ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻳَﺎ ﻗَﻮْﻣَﻨَﺎ ﺇِﻧَّﺎ ﺳَﻤِﻌْﻨَﺎ ﻛِﺘَﺎﺑًﺎ ﺃُﻧْﺰِﻝَ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِ ﻣُﻮﺳَﻰٰ ﻣُﺼَﺪِّﻗًﺎ ﻟِﻤَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﻳَﺪَﻳْﻪِ ﻳَﻬْﺪِﻱ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﺇِﻟَﻰٰ ﻃَﺮِﻳﻖٍ ﻣُﺴْﺘَﻘِﻴﻢٍ ® ﻳَﺎ ﻗَﻮْﻣَﻨَﺎ ﺃَﺟِﻴﺒُﻮﺍ ﺩَﺍﻋِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺁﻣِﻨُﻮﺍ ﺑِﻪِ ﻳَﻐْﻔِﺮْ ﻟَﻜُﻢْ ﻣِﻦْ ﺫُﻧُﻮﺑِﻜُﻢْ ﻭَﻳُﺠِﺮْﻛُﻢْ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏٍ ﺃَﻟِﻴﻢٍ ® ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﺎ ﻳُﺠِﺐْ ﺩَﺍﻋِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑِﻤُﻌْﺠِﺰٍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻟَﻴْﺲَ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﺩُﻭﻧِﻪِ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺀُ ۚ ﺃُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﻓِﻲ ﺿَﻠَﺎﻝٍ ﻣُﺒِﻴﻦٍ.
.
(১০) সূরা রহমান ৩৩-৩৬
.
ﻳَﺎ ﻣَﻌْﺸَﺮَ ﺍﻟْﺠِﻦِّ ﻭَﺍﻟْﺈِﻧْﺲِ ﺇِﻥِ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺘُﻢْ ﺃَﻥْ ﺗَﻨْﻔُﺬُﻭﺍ ﻣِﻦْ ﺃَﻗْﻄَﺎﺭِ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻓَﺎﻧْﻔُﺬُﻭﺍ ۚ ﻟَﺎ ﺗَﻨْﻔُﺬُﻭﻥَ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﺴُﻠْﻄَﺎﻥٍ ® ﻓَﺒِﺄَﻱِّ ﺁﻟَﺎﺀِ ﺭَﺑِّﻜُﻤَﺎ ﺗُﻜَﺬِّﺑَﺎﻥِ ® ﻳُﺮْﺳَﻞُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻤَﺎ ﺷُﻮَﺍﻅٌ ﻣِﻦْ ﻧَﺎﺭٍ ﻭَﻧُﺤَﺎﺱٌ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﻨْﺘَﺼِﺮَﺍﻥِ ® ﻓَﺒِﺄَﻱِّ ﺁﻟَﺎﺀِ ﺭَﺑِّﻜُﻤَﺎ ﺗُﻜَﺬِّﺑَﺎﻥِ.
.
(১১) সূরা হাশর ১২-২৪
.
ﻟَﺌِﻦْ ﺃُﺧْﺮِﺟُﻮﺍ ﻟَﺎ ﻳَﺨْﺮُﺟُﻮﻥَ ﻣَﻌَﻬُﻢْ ﻭَﻟَﺌِﻦْ ﻗُﻮﺗِﻠُﻮﺍ ﻟَﺎ ﻳَﻨْﺼُﺮُﻭﻧَﻬُﻢْ ﻭَﻟَﺌِﻦْ ﻧَﺼَﺮُﻭﻫُﻢْ ﻟَﻴُﻮَﻟُّﻦَّ ﺍﻟْﺄَﺩْﺑَﺎﺭَ ﺛُﻢَّ ﻟَﺎ ﻳُﻨْﺼَﺮُﻭﻥَ ® ﻟَﺄَﻧْﺘُﻢْ ﺃَﺷَﺪُّ ﺭَﻫْﺒَﺔً ﻓِﻲ ﺻُﺪُﻭﺭِﻫِﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﺫَٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﻮْﻡٌ ﻟَﺎ ﻳَﻔْﻘَﻬُﻮﻥَ ® ﻳُﻘَﺎﺗِﻠُﻮﻧَﻜُﻢْ ﺟَﻤِﻴﻌًﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻓِﻲ ﻗُﺮًﻯ ﻣُﺤَﺼَّﻨَﺔٍ ﺃَﻭْ ﻣِﻦْ ﻭَﺭَﺍﺀِ ﺟُﺪُﺭٍ ۚ ﺑَﺄْﺳُﻬُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﺷَﺪِﻳﺪٌ ۚ ﺗَﺤْﺴَﺒُﻬُﻢْ ﺟَﻤِﻴﻌًﺎ ﻭَﻗُﻠُﻮﺑُﻬُﻢْ ﺷَﺘَّﻰٰ ۚ ﺫَٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﻮْﻡٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻘِﻠُﻮﻥَ ® ﻛَﻤَﺜَﻞِ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦْ ﻗَﺒْﻠِﻬِﻢْ ﻗَﺮِﻳﺒًﺎ ۖ ﺫَﺍﻗُﻮﺍ ﻭَﺑَﺎﻝَ ﺃَﻣْﺮِﻫِﻢْ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ ® ﻛَﻤَﺜَﻞِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﺇِﺫْ ﻗَﺎﻝَ ﻟِﻠْﺈِﻧْﺴَﺎﻥِ ﺍﻛْﻔُﺮْ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻛَﻔَﺮَ ﻗَﺎﻝَ ﺇِﻧِّﻲ ﺑَﺮِﻱﺀٌ ﻣِﻨْﻚَ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺧَﺎﻑُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺭَﺏَّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ® ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺎﻗِﺒَﺘَﻬُﻤَﺎ ﺃَﻧَّﻬُﻤَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﺧَﺎﻟِﺪَﻳْﻦِ ﻓِﻴﻬَﺎ ۚ ﻭَﺫَٰﻟِﻚَ ﺟَﺰَﺍﺀُ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ ® ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻟْﺘَﻨْﻈُﺮْ ﻧَﻔْﺲٌ ﻣَﺎ ﻗَﺪَّﻣَﺖْ ﻟِﻐَﺪٍ ۖ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺧَﺒِﻴﺮٌ ﺑِﻤَﺎ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ® ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻜُﻮﻧُﻮﺍ ﻛَﺎﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻧَﺴُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻓَﺄَﻧْﺴَﺎﻫُﻢْ ﺃَﻧْﻔُﺴَﻬُﻢْ ۚ ﺃُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻔَﺎﺳِﻘُﻮﻥَ ® ﻟَﺎ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻱ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ۚ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻔَﺎﺋِﺰُﻭﻥَ ® ﻟَﻮْ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨَﺎ ﻫَٰﺬَﺍ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥَ ﻋَﻠَﻰٰ ﺟَﺒَﻞٍ ﻟَﺮَﺃَﻳْﺘَﻪُ ﺧَﺎﺷِﻌًﺎ ﻣُﺘَﺼَﺪِّﻋًﺎ ﻣِﻦْ ﺧَﺸْﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻭَﺗِﻠْﻚَ ﺍﻟْﺄَﻣْﺜَﺎﻝُ ﻧَﻀْﺮِﺑُﻬَﺎ ﻟِﻠﻨَّﺎﺱِ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﻳَﺘَﻔَﻜَّﺮُﻭﻥَ ® ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﺎ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ۖ ﻋَﺎﻟِﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ۖ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ ® ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﺎ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﻤَﻠِﻚُ ﺍﻟْﻘُﺪُّﻭﺱُ ﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡُ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻦُ ﺍﻟْﻤُﻬَﻴْﻤِﻦُ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰُ ﺍﻟْﺠَﺒَّﺎﺭُ ﺍﻟْﻤُﺘَﻜَﺒِّﺮُ ۚ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻤَّﺎ ﻳُﺸْﺮِﻛُﻮﻥَ ® ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﻖُ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺉُ ﺍﻟْﻤُﺼَﻮِّﺭُ ۖ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺄَﺳْﻤَﺎﺀُ ﺍﻟْﺤُﺴْﻨَﻰٰ ۚ ﻳُﺴَﺒِّﺢُ ﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ۖ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ.
.
(১২) সূরা জ্বিন ১-৯
.
ﻗُﻞْ ﺃُﻭﺣِﻲَ ﺇِﻟَﻲَّ ﺃَﻧَّﻪُ ﺍﺳْﺘَﻤَﻊَ ﻧَﻔَﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠِﻦِّ ﻓَﻘَﺎﻟُﻮﺍ ﺇِﻧَّﺎ ﺳَﻤِﻌْﻨَﺎ ﻗُﺮْﺁﻧًﺎ ﻋَﺠَﺒًﺎ ® ﻳَﻬْﺪِﻱ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺮُّﺷْﺪِ ﻓَﺂﻣَﻨَّﺎ ﺑِﻪِ ۖ ﻭَﻟَﻦْ ﻧُﺸْﺮِﻙَ ﺑِﺮَﺑِّﻨَﺎ ﺃَﺣَﺪًﺍ ® ﻭَﺃَﻧَّﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰٰ ﺟَﺪُّ ﺭَﺑِّﻨَﺎ ﻣَﺎ ﺍﺗَّﺨَﺬَ ﺻَﺎﺣِﺒَﺔً ﻭَﻟَﺎ ﻭَﻟَﺪًﺍ ® ﻭَﺃَﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﺳَﻔِﻴﻬُﻨَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺷَﻄَﻄًﺎ ® ﻭَﺃَﻧَّﺎ ﻇَﻨَﻨَّﺎ ﺃَﻥْ ﻟَﻦْ ﺗَﻘُﻮﻝَ ﺍﻟْﺈِﻧْﺲُ ﻭَﺍﻟْﺠِﻦُّ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻛَﺬِﺑًﺎ ® ﻭَﺃَﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﺭِﺟَﺎﻝٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺈِﻧْﺲِ ﻳَﻌُﻮﺫُﻭﻥَ ﺑِﺮِﺟَﺎﻝٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠِﻦِّ ﻓَﺰَﺍﺩُﻭﻫُﻢْ ﺭَﻫَﻘًﺎ ® ﻭَﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻇَﻨُّﻮﺍ ﻛَﻤَﺎ ﻇَﻨَﻨْﺘُﻢْ ﺃَﻥْ ﻟَﻦْ ﻳَﺒْﻌَﺚَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣَﺪًﺍ ® ﻭَﺃَﻧَّﺎ ﻟَﻤَﺴْﻨَﺎ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀَ ﻓَﻮَﺟَﺪْﻧَﺎﻫَﺎ ﻣُﻠِﺌَﺖْ ﺣَﺮَﺳًﺎ ﺷَﺪِﻳﺪًﺍ ﻭَﺷُﻬُﺒًﺎ ® ﻭَﺃَﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻧَﻘْﻌُﺪُ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻣَﻘَﺎﻋِﺪَ ﻟِﻠﺴَّﻤْﻊِ ۖ ﻓَﻤَﻦْ ﻳَﺴْﺘَﻤِﻊِ ﺍﻟْﺂﻥَ ﻳَﺠِﺪْ ﻟَﻪُ ﺷِﻬَﺎﺑًﺎ ﺭَﺻَﺪًﺍ.
.
(১৩) সূরা হুমাযাহ
.
ﻭَﻳْﻞٌ ﻟِﻜُﻞِّ ﻫُﻤَﺰَﺓٍ ﻟُﻤَﺰَﺓٍ ® ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺟَﻤَﻊَ ﻣَﺎﻟًﺎ ﻭَﻋَﺪَّﺩَﻩُ © ﻳَﺤْﺴَﺐُ ﺃَﻥَّ ﻣَﺎﻟَﻪُ ﺃَﺧْﻠَﺪَﻩُ ® ﻛَﻠَّﺎ ۖ ﻟَﻴُﻨْﺒَﺬَﻥَّ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤُﻄَﻤَﺔِ ® ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺩْﺭَﺍﻙَ ﻣَﺎ ﺍﻟْﺤُﻄَﻤَﺔُ ® ﻧَﺎﺭُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻤُﻮﻗَﺪَﺓُ ® ﺍﻟَّﺘِﻲ ﺗَﻄَّﻠِﻊُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺄَﻓْﺌِﺪَﺓِ ® ﺇِﻧَّﻬَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻣُﺆْﺻَﺪَﺓٌ ® ﻓِﻲ ﻋَﻤَﺪٍ ﻣُﻤَﺪَّﺩَﺓٍ.
.
(১৪) সূরা ইখলাস
.
ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣَﺪٌ ® ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ ® ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻮﻟَﺪْ ® ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَﻪُ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺃَﺣَﺪٌ.
.
(১৫) সূরা ফালাক্ব
.
ﻗُﻞْ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟْﻔَﻠَﻖِ ® ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ ® ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻏَﺎﺳِﻖٍ ﺇِﺫَﺍ ﻭَﻗَﺐَ ® ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﻨَّﻔَّﺎﺛَﺎﺕِ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻌُﻘَﺪِ ® ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺣَﺎﺳِﺪٍ ﺇِﺫَﺍ ﺣَﺴَﺪَ.
.
(১৬) সূরা নাস
.
ﻗُﻞْ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ® ﻣَﻠِﻚِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ® ﺇِﻟَٰﻪِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ® ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟْﻮَﺳْﻮَﺍﺱِ ﺍﻟْﺨَﻨَّﺎﺱِ ® ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﻮَﺳْﻮِﺱُ ﻓِﻲ ﺻُﺪُﻭﺭِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ® ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠِﻨَّﺔِ ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺱِ.