Hotline : 01711-532483
Screenshot
Our Services

হিজামা কি ?

1409
surgery
Read More Button

কাপিং (Cupping) খুব সহজ কথায় একটা প্রসিডিউর বা থেরাপি। কাপিং এর অনেক ধরণ রয়েছে। ড্রাই কাপিং, ওয়েট কাপিং, মেডিসিনাল কাপিং, মুভিং কাপিং, সিলিকন কাপিং এরকম আরও নানা ধরন, নানা নামে কাপিং বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত হয়। কাপিং এর প্রথম ধাপটি সব ধরনের কাপিং এর বেলাতেই একদম এক। যেখানে বিশেষ ধরণের কাপ সদৃশ ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করে ত্বকের উপর প্রথমে নেগেটিভ সাকশান দেয়া হয়।

read more
pain site 2

কি কি রোগের চিকিৎসা হয়

Read More Button

মাইগ্রেনের ব্যথা (Migraine), স্মৃতিহীনতা (Parkinson's disease), উচ্চরক্তচাপ (High Blood Pressure), ঘুমজনিত সমস্যা (insomnia), দূষিত রক্ত পরিষ্কারকরণ (Purify Blood), জয়েন্টের ব্যথা (Gout Pain), বাতের ব্যথা (Arthritis), পায়ের তালুর ব্যথা(heel pain), হাঁটু ব্যথা (Knee Pain),

read more
49204538_223286405244498_5175836767395250176_n

সুন্নাহ পয়েন্টে হিজামা কী এবং কেন ?

Read More Button

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজামা করার হাদিস গুলো যদি আমরা পর্যালোচনা করতে যাই তাহলে দেখা যাবে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজামা পয়েন্টগুলো ছিল: • ১. ঘাড়ের ৭ নাম্বার হাড়ের স্পাইনের উপর (কাহিল এরিয়া) • ২. ঘাড়ের দুই পাশে, কানের ঠিক পেছনের জায়গাটায়। (আখদায়িন এরিয়া) • ৩. দুইটা স্ক্যাপুলার বা, সোল্ডার ব্লেডের মাঝের জায়গা • ৪. মাথায় সবচেয়ে উঁচু জায়গাটায় (ভার্টেক্স)

read more
1200px-Cupping_set,_London,_England_Wellcome_L0057395

কিভাবে ব্যথা কমে

Read More Button

হিজামা সবচেয়ে বেশি উপকারী যেকোন ধরনের ব্যথা উপশমে। হোক সে ব্যথা নতুন বা পুরানো! কিংবা হোক তা শরীরের যেকোন জায়গায়!! হিজামা শেষে ব্যথা কমতেই সবার কমন প্রশ্ন - "কিভাবে ব্যথা কমলো !!!" আসুন জানি ব্যাপারটা কী ..... * কোন একটি প্রদাহজনিত প্যাথলজিক প্রসেস যখন আমাদের শরীরে শুরু হয় তখন আক্রান্ত স্থানে অনেক গুলো পরিবর্তন হয়।

read more
Sunnah Date_jil Hajj

চাঁদের সাথে হিজামা (কাপিং) এর সম্পর্ক !

হযরত আবু হুরাইরা (রা) আনহু রা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে কেউ ১৭, ১৯ বা ২১ দিনের (ইসলামী, চন্দ্র মাস) হিজামা (কাপিং) সঞ্চালন করে তারপর এটি প্রত্যেক রোগের জন্য একটি প্রতিকার।"
[সহীহ সুন্নাহ আবু দাউদ]

অর্থাৎ যদি কেউ চাঁদের তারিখে হিজামা করায় তা সব রোগের প্রতিষেধক। এখন আসুন দেখি সায়েন্স কি বলে।

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় চাঁদ এবং হিজামার মধ্যে সম্পর্ক:

চাঁদ পৃথিবীতে জীবের জীবনী রহসের আশ্চর্য পাথেয়। চাঁদ মানুষ, পশুজগত ইত্যাদির প্রজনন সহ জীবন ধারণে ভূমিকা রাখে। চাঁদ বিভিন্ন গ্রহাণু থেকে আসা হাজার হাজার জুল তাপ গ্রহণ করে যা আমাদের গ্রহকে আঘাত থেকে বাঁচায়।

ইসলামী বিজ্ঞানে চাঁদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সুস্থতায় চাঁদের ভূমিকার কথা বারবার বলা হয়েছে।

হিজামার জন্য সর্বোত্তম দিনগুলি চাঁদের ১৭ তারিখ থেকে ২১ দিনের পর পাঁচ দিন পূর্ণ চাঁদের পরিপূর্ণ দশায় শরীরের রক্তের হিউমাস / জীবাণু পানি চাঁদের প্রভাবে চলে আসে হিজামা করার স্তরে। ঠিক যেমন এই সময় টাতে জোয়ার ভাটা হয় তেমনি তা সকল প্রাণিকে আকর্ষণ করে। প্রমাণস্বরুপ এ সময় টাতে মানুষ এর শরীর উদ্দীপিত হয়, চুরি ডাকাতি, অন্যায় কাজ বেড়ে যায়।

এভাবে যখন আরবি চন্দ্র মাস শেষ করে (১৭ ~ ২৭), রক্ত ​, রক্তের অবশিষ্টাংশ এবং হিউমেরাস (পুরাতন এবং মৃত রক্ত ​​কোষ) কাঁধের ব্লেড এলাকায় (সার্কভিক্যাল ) এবং শরীরের অন্যান্য অংশে চামড়ার সর্ব উপরের স্তরে আসতে পারে।

হিজামা/কাপিং রক্ত ​​থেকে বর্জ্য অপসারণ, ভারসাম্য পুনরুদ্ধার, এবং শরীরের ক্ষতিকারক বর্জ্য নিষ্কাশিত করা সম্ভব হয়।

এটি উল্লেখ্য যে তারিখটি নির্বিশেষে, রোগীদের উপর জরুরি অবস্থায় পালন করার জন্য নয়, প্রয়োজনে রোগী তার রোগের জন্য যে কোন সময়েই এ চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে।

আনাস বিন মালেক রা. থেকে বর্ণিত রাসুল (স:) বলেন, “আবহাওয়া যখন খুব গরম হয়, তখন হিজামা (কাপিং)থেরাপির সাহায্য নাও, আক্রোশ বা রাগান্বিত অবস্থায় তোমরা রক্ত প্রবাহিত হতে
দিও না, ইহা যেন হত্যার শামিল।” [হাকিম বর্ণিত মুসতাদারক এবং ইমাম আয যাহাবী একমত
(৪/২১২)]

read more
images (3)
সুন্নাহ পয়েন্ট গুলোতে হিজামা করালে

মাথার মধ্যভাগ কে আরবিতে বলা হয় ইয়াফুখ। (Yafukh)
এই পয়েন্ট টি সাধারণত সব মানসিক, মানসিক ব্যাধির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে মাথাব্যাথা, মৃগী, নিউরোলজিকাল এবং এনড’করিনের মত রোগের জন্যও কার্যকরী।
আব্দুল্লাহ বিন রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু বলেছেন যে, নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তার মাথায় (ইয়াফূখে) হিজামাহ গ্রহণ করেন এবং তিনি মক্কা যাওয়ার পথে ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। [ইবনে-ই-মাজা]

ঘাড় বরাবর মাথার ঠিক পিছনের পয়েন্টি হল কামাদুয়া (Qamahduah)।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম নিজে এই পয়েন্টে করেছেন এবং তিনি বলেছেন, "তোমরা এই জায়গাটা তে হিজামা করাও কারণ এটি ৭২ ধরনের রোগের চিকিৎসা করে" - [তিবরানী]

এই পয়েন্টে কাপিং থেরাপিতে ৭২ টি রোগ রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, ব্যাকপেইন এবং পেট ব্যথা। এটি অগ্ন্যাশয়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হজম প্রণালীর সামগ্রিক দক্ষতা বাড়ায়।

আবু দাউদ থেকে বর্ণিত যে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু বলেছেন, নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তার পেছনে হিজামাহ ব্যবহার করেছেন দুর্বলতার কারণে।

পায়ের পাতার উপরের পয়েন্ট:

এই অংশটি প্রচলিতভাবে ফুলে যাওয়ার জন্য, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথা, ফুসকুড়ি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়। অমনোযোগীতা, অস্থিরতা, হাঁপানি, ADD/ADHD, এবং মৃগীরোগের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত যে, ইহরাম অবস্থায় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এ অংশে হিজামা নিয়েছিলেন। - [আবু দাউদ]

read more
service4

Science Behind Hijama

**নাইট্রিক অক্সাইড থিওরি**

নাইট্রিক অক্সাইড কী?

নাইট্রিক অক্সাইড একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যৌগ যা শরীরে রাসায়নিক বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে। এটা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খুব দরকারি। আমাদের রক্তনালিগুলোর ভেতরের লেয়ারে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়। এছাড়াও মস্তিষ্কে ও শ্বেত রক্তকনিকাতেও এটা তৈরি হয়। এটার কাজের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন 'miracle molecule'।

নাইট্রিক অক্সাইড এর এত এত শারিরবৃত্তীয় ফাংশান থাকার পরও এটা আবিষ্কার হয়েছে এই ১৯৯৮ সালে। আর এই রিসার্চের কারনেই তিনজন আমেরিকান ফিজিশিয়ান পেয়েছিলেন নোবেল পুরস্কার।

* এটি একটি শক্তিশালী জিনেটিক রেগুলেটর!

আমাদের শরীরে যে ৫০ ট্রিলিয়ল কোষ আছে এই কোষগুলোর একটির সাথে আরেকটির যোগাযোগ করার মাধ্যম হচ্ছে এই নাইট্রিক অক্সাইড গ্যাস।

*♦স্বাভাবিক অবস্থায় শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের কাজ কী?

আমাদের শরীর যখন পরিমিত মাত্রায় নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে তখন আমাদের ব্লাড প্রেশার কম থাকে, পুরুষাঙ্গের ভাল ইরেকশান হয়, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুকি কম থাকে, গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রনে থাকে।

•ব্রেন ও শরীরের স্নায়ুকোষ গুলোর মাঝে ট্রান্সমিটার এর কাজ করার মাধ্যমে এটা স্মৃতিশক্তি ও আচরণ এ সাহায্য করে।

•এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

•ক্যান্সার সেল এর এ্যাপোপটোসিস (কোষের স্বাভাবিক ফিজিওলজিক্যাল মৃত্যু) ও সুস্থ কোষের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।

•রক্তনালীর সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে।

•ইনফ্ল্যামেশান কমায়।

•ঘুমের গভীরতা নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ঘুমের কোয়ালিটি নিশ্চিত করে

•ঘ্রাণশক্তি রেগুলেট করে

•কষ্ট/ ব্যাথার সহ্যক্ষমতা ও শারীরিক সক্ষমতা বাড়ায়

•পাকস্থলীর মোটিলিটি নিয়ন্ত্রণ করে।

নাইট্রিক অক্সাইড লেভেল কমে গেলে ঠিক এর বিপরীত অবস্থা হয়।

* নাইট্রিক অক্সাইড কমে গেলে কী ফলাফল হতে পারে?

১। এন্ডোথেলিয়াল ডিসফাংশান ও হাইপারটেনশান (HTN, হাই ব্লাড প্রেশার)-

হাই প্রেশারের রোগীরা যে নাইট্রোগ্লিসারিন ট্যাবলেট বা স্প্রে ইউজ করে তা নাইট্রিক অক্সাইডে কনভার্ট হয়, তারপর হাইপ্রেশার নিয়ন্ত্রন করে।

২। কার্ডিও ভাস্কুলার ডিজিজ, হার্ট ব্লক, এ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস

৩। যৌন সমস্যা (ইরেক্টাইল ডিসফাংশান, লিবিডো বা যৌনাকাংক্ষা কমে যাওয়া):
পুরুষাঙ্গের ইরেকশান নাইট্রিক অক্সাইডের ওপর নির্ভর করে।

৪। ইনসোমনিয়া বা বা ঘুম না আসা
৫। ফ্যাটিগ বা অল্প কাজেই দূর্বল লাগা
৬। এ্যাংজাইটি, টেনশান
৭। ডিপ্রেশান
৮। ডায়াবেটিস

 * নাইট্রিক অক্সাইড কমে যাওয়ার কারন কী?

•ধুমপান:
মজার ব্যাপার হচ্ছে সিগারেট স্মোকে নাইট্রিক অক্সাইড থাকে যা সরাসরি রক্তে মিশে গিয়ে ব্লাড ভেসেলকে রিল্যাক্স করার কথা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে স্মোক এর মধ্যকার কিছু মলিকিউল অক্সিডেন্ট ইনডিউসড এন্ডোথেলিয়াল ট্রমা করে রিল্যাক্সেশান করে। আর স্মোকের মধ্যকার নাইট্রিক অক্সাইডকে ডিগ্রেডেশান করে দেয়। তাই স্মোকিং রক্তনালীকে পার্মানেন্টলি ড্যামেজ করে ও ফ্যাট ডিপোজিশান করে। তাই সিগারেট খেলে একটা টেমপোরারি রিল্যাক্সেশান হয় ঠিকই, কিন্তু এটাই পরবর্তীতে হাইপারটেনশান করে।

[রিসার্চ দেখুন:
Cigarette smoke containing superoxide (O2−·), nitric oxide (·NO), and peroxynitrite (ONOO−) induces oxidant stress and impairs endothelium-dependent vasodilation through ·NO degradation to peroxynitrite and causes activation of platelets and macrophages and lipid peroxidation. Vitamin C protects the vessel from oxidant-induced impairment of endothelium-dependent relaxations by scavenging superoxide, which in turn prevents ·NO degradation, lipid peroxidation, and platelet and neutrophil activation. Results of O2−·-induced lipid peroxidation: LO·, lipid alkoxyl radical; LOO·, lipid peroxyl radical; and eNOS, endothelial NO synthase]

ঠিক একই কারণে স্মোকিং/ ধুমপান নাইট্রিক অক্সাইড ডিগ্রেডেশান করে ইরেক্টাইল ডিসফাংশান করে যৌন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

•মাউথওয়াশ ব্যবহার:
মাউথওয়াশ মুখের ভাল ব্যাকটেরিয়াকেও মেরে ফেলে, তাই ন্যাচারালি নাইট্রিক অক্সাইড প্রডাকশান কমে যায়।

•বয়স
বয়স বাড়ার সাথে সাথে নাইট্রিক অক্সাইড প্রডাকশান কমতে থাকে।

•স্থূলতা
মোটা হয়ে গেলে , কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে অর্থাৎ শিরার ভেতরের (এন্ডোথেলিয়ামে) লেয়ারে ফ্যাট ডিপোজিশান হলে কমে যায়।

•কায়িক শ্রম 
ব্যায়াম বা কায়িক শ্রম কম করলে নাইট্রিক অক্সাইড প্রডাকশান কমে যায়।


 * শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করার কী কী উপায় আছে?

আমাদের শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করার তিনটি উপায় আছেঃ-

•নাইট্রেট- নাইট্রাইট- নাইট্রিক অক্সাইড pathway:

যখন আমরা নাইট্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাই তখন এই নাইট্রেট পরিবর্তিত হয়ে নাইট্রাইট ও পরে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়। আমরা যখন খাবার খাই, তখন চর্বন ও জিভের নাড়াচাড়ার কারনে, এরপর পাকস্থলিতে ও অন্ত্রে খাবারের সাথে লালা ও জিভের উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার মিশ্রন ঘটে। এই ব্যাক্টেরিয়াই
সাইট্রুলিন – আরজিনিন – নাইট্রিক অক্সাইড – সাইট্রুলিন পাথওয়ে।

•আমরা যখন সাইট্রুলিন সমৃদ্ধ খাবার খাই তখন এটা আরজিনিন এ কনভার্ট হয় যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি এর পূর্বাবস্থা। আরজিনিন থেকেই পরে নাইট্রিক অক্সাইড সিনথেসিস হয়।

•হিজামা বা ওয়েট কাপিং থেরাপী:

হিজামা করার সময় যে ছোট ছোট স্ক্র্যাচ করা হয় এগুলো স্কিনের ঠিক নীচের বেইসমেন্ট মেম্ব্রেন এর ক্যাপিলারি গুলো পাংচার করে। এটা এতই সুক্ষ যে ব্যাথাই লাগে না। একটু সুড়সুড়ির মত অনুভুতি হয়। এই ক্যাপিলারি বা ছোট ছোট blood vessel গুলো পাংচারের ফলে এর এন্ডোথেলিয়াম থেকে নিঃসৃত হয় নাইট্রিক অক্সাইড। এই নাইট্রিক অক্সাইডই মূলত রোগ নিরাময়ের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

 হিজামাতে কিভাবে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়?

হিজামাকে স্কিন সারফেসের ওপর ছোট ছোট স্কিন ডীপ স্ক্র্যাচ করা হয়। এই স্ক্র্যাচ গুল এতই সুক্ষ যে এটা শুধু স্কিন ও স্কিনের বেইজমেন্ট মেমব্রেনের মধ্যকার ক্যাপিলারি গুলোকে ইনজুরি করে। এর ফলে ইনফ্ল্যামেশান শুরু হয়। আর এই ইনফ্ল্যামেটরি মেডিয়েটরস এর মধ্যে একটা হচ্ছে নাইট্রিক অক্সাইড।

read more
1-blood-clot-on-plaster-sem-steve-gschmeissner

টক্সিন (Toxin)

টক্সিনঃ আপনার নিরব ঘাতক
টক্সিন কি?
টক্সিন হল জৈব বিষ, যা মানব দেহে প্রতিমুহূর্তে তৈরী হয়। আবার শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থায় মল, মূত্র, ঘামের সাথে বেড়িয়ে যায়, এমনকি নিঃশ্বাসের সাথেও টক্সিন রিলিজ হয়। কোন কারনে যদি দেহে জমতে থাকে তবে যত রকম রোগ যাতনার সৃষ্টি করে।
টক্সিন কিভাবে উৎপন্ন হয়?
আমাদের শরীরে যে বর্জ্য উৎপন্ন হয়, তা মল, মূত্র, ঘাম, নিশ্বাস ইত্যাদির সাথে দেহ থেকে নিষ্কাশিত হয়, যদি উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমান নিষ্কাশিত বর্জ্যের থেকে বেশি হয় তবে কিছু পরিমান করে ঐ দূষিত পদার্থ দেহে জমতে জমতে টক্সিনে পরিনত হয়। এই টক্সিন জমলে কি ধরনের অসুবিধা হয়?
টক্সিন জমতে থাকলে প্রাথমিক ভাবে empty heat অর্থাৎ অপ্রয়োজনীয় তাপ বাড়তে থাকে, বদহজম, ক্লান্তি, জ্বর, বমিভাব, মাথাধরা বা ঘোরার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে, প্রত্যেকেরই একই symptom দেখা যাবে তার কোন মানে নেই, শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা অনুযায়ী রকমফের হয়। যদি বহুদিন ধরে টক্সিন জমতে থাকে, তবে আমাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি পুষ্টির অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সুগার, প্রেসার, হার্টের রোগ, কিডনী সমস্যা, চোখের রোগ, চর্ম রোগ, মোটাপন, হাঁটু-কোমর ব্যথা ইত্যাদি বিবিধ স্থায়ি সমস্যা একে একে চেপে ধরে, যার সহজ কোন প্রতিকার নেই। রোগী যখন ডাক্তারবাবুর কাছে যাবেন প্রাথমিকভাবে উপসর্গাদি কিছুটা কমলেও স্থায়িভাবে সারতে চায়না, ফলে চিকিৎসা চলতেই থাকে বন্ধ করা যায়না। প্রয়োজনে ওষুধের ডোজ / পরিমান বাড়তে থাকে এমনকি রোগ লক্ষণগুলিও বাড়তে পারে, কারন শরীরে জমে থাকা টক্সিনের পরিমান ইতিমধ্যে আরও বেড়েছে।
কিভাবে বোঝা যাবে শরীরে টক্সিন জমছে?
আমাদের চুল, দাঁড়ি, নখ যেমন ধীরে ধীরে বাড়ে, টক্সিনও ধীরে ধীরে জমা হতে থাকে, বেশ কিছুটা জমার পড়ে উপসর্গগুলি চোখে পড়ে, যাকে রোগী প্রাথমিকভাবে উপেক্ষা করে। যথেষ্ট পরিমানে জমলে অনেক সময় একই ধরনের টক্সিন অনুগুলি পরষ্পর যুক্ত হয়ে ক্রিষ্টাল তৈরী করে অর্থাৎ দলা পাকিয়ে থাকে, ফলে ঐ অঞ্চলে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, চাপ দিলে ব্যথা অনুভব হয়, বেশিরভাগ সময়ে রোগি নিজেও ঐ ব্যথায় ওয়াকিবহাল থাকেনা, ডাক্তারবাবু চাপ দিলে তখন বলে ব্যথা লাগছে। কখনো বা জায়গাটা ফুলে ওঠে এমনিতেই ব্যথা করতে থাকে। কোথায় কি ধরনের টক্সিন জমছে তার ওপর রোগ লক্ষণ নির্ভর করে। উল্লিখিত রোগ সমুহ সবই টক্সিন জমার লক্ষন। কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ইত্যাদি কয়েকটি হল টক্সিনের উদাহরন, আরও বহু রকমের টক্সিন শরীরে জমে গিয়ে বিবিধ শারীরিক এমনকি মানসিক রোগের কারন হয়ে থাকে।
টক্সিন কি প্রত্যেকের শরীরেই জমে?
মল-মূত্র যেমন দেহে সৃষ্টি হয়, তেমনই টক্সিনের সৃষ্টিও অবশ্যম্ভাবি, তবে যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা বা খেলাধূলা (outdoor) করেন, তাজা শাকসব্জী ফলাদি খান, তাঁদের টক্সিন জমার হার অনেক কমে যায়। যাঁরা ফাষ্ট ফুড খান অথবা মদ বা সিগারেট বা অন্য ক্ষতিকর নেশায় অভ্যস্ত বা ব্রেন ওয়ার্ক বেশী করেন তাঁদের টক্সিন জমার মাত্রা বহুগুন বেশি। বাসি খাবার, দূষিত বাতাস বা বন্ধ ঘরের বাতাসও টক্সিনের ভাল উৎস। সমীক্ষায় দেখা যায় গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারিদের শরীরে টক্সিনের মাত্রা কম, তাঁদের রোগ ভোগের হার কম, বিশেষ উল্লিখত রোগের রুগিরা বেশিরভাগই শহুড়ে।
টক্সিন শরীরের ঠিক কোথায় জমতে থাকে?
সারা দেহেই টক্সিন জমতে পারে, তবে তার বিভিন্ন রূপ হতে পারে। ‘ইউরিক অ্যাসিড’ যেমন পায়ের পাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে, ‘চর্বি’ জমার প্রবনতা বেশি হয় পেট, কোমর ও থাইতে, টক্সিন যখন রক্তবাহী নালিতে তখন তার পরিচিতি ‘কোলেস্টেরল-ট্র
াইগ্লিসারাইড’, কিডনি বা ব্লাডারে জমে যখন শক্ত হয়ে যায় তখন পরিচিত ‘ষ্টোন’ নামে, ফুসফুসে জমলে বলা বুকে ‘শ্লেষ্মা’ জমেছে, হাটু-কোমর ইত্যাদি জয়েন্টে জমলে রোগের নাম ‘আর্থারাইটিস’, শিড়দাড়ার ক্ষেত্রে ‘স্পন্ডেলাইটিস’, ত্বকের ক্ষেত্রে ‘ফোঁড়া/ পিমপল’ বা অন্যান্ন চর্মরোগ, লিভারের ক্ষেত্রে ‘ফ্যাটি লিভার’, গ্ল্যান্ডে জমলে ‘সুগার’ ইত্যাদি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরনের ফলে রক্তনালির বাইরে জমে যাওয়া রক্ত, সেটাও টক্সিন, নিষ্কাসিত না হলে প্যারালাইসিসের সম্ভাবনা। মানবদেহে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে টক্সিন জমতে পারেনা। সামান্য সর্দি-জ্বর-মাথাব্যথা থেকে শুরু করে স্ট্রোক-প্যারালসিস, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস, সায়টিকা ছাড়াও বেশিরভাগ শারীরিক-মানসিক রোগের জন্য টক্সিন ভিলেন রোল পালন করে। কাজেই সব সমস্যার একটাই সমাধান টক্সিন মুক্ত করে শরীর রক্ষা করা।
টক্সিন মুক্তির উপায় কি?
সবচেয়ে ভাল শরীরে টক্সিন জমতে না দেওয়া। এজন্য জিভের বা মনের প্রয়োজনে খাবার না খেয়ে শরীরের প্রয়োজনে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত প্রাণায়াম, শরীরচর্চা বা খেলাধূলা করা। সর্বদাই রোগ নিরাময় অপেক্ষা প্রতিরোধ শ্রেষ্টতর। আর কোন ভাবে যদি টক্সিন জমে যায়, তবে তা নিষ্কাশন করাই সর্বোত্তম উপায় এর মধ্যে একটি হল কাপিং থেরাপি (Cupping Therapy)। বাইতুল হিজামার দক্ষ থেরাপিস্টের হাতে কাপিং থেরাপি গ্রহণ করুন সুস্থ থাকুন ।
read more
images (3)

সুন্নাহ পয়েন্টে হিজামা

সুন্নাহ পয়েন্টে হিজামা কী এবং কেন?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজামা করার হাদিস গুলো যদি আমরা পর্যালোচনা করতে যাই তাহলে দেখা যাবে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজামা পয়েন্টগুলো ছিল:

• ১. ঘাড়ের ৭ নাম্বার হাড়ের স্পাইনের উপর (কাহিল এরিয়া)
• ২. ঘাড়ের দুই পাশে, কানের ঠিক পেছনের জায়গাটায়। (আখদায়িন এরিয়া)
• ৩. দুইটা স্ক্যাপুলার বা, সোল্ডার ব্লেডের মাঝের জায়গা
• ৪. মাথায় সবচেয়ে উঁচু জায়গাটায় (ভার্টেক্স)
• ৫. মাথার পেছনের দিকে ঘাড় এবং ভার্টেক্সের মাঝের জায়গা থেকে একটু উপরে (ইয়াফুখ এরিয়া)
• ৬. দুই ঊরুতে
• ৭. দুই পায়ের উপরের পাতায়।

মানবদেহের এই এরিয়াগুলোর গুরুত্ব নিয়ে যদি আমরা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে দেখতে যাই তাহলে দেখতে পাবো এই সুন্নাহ পয়েন্টগুলোর মাধ্যমে একাধিক রোগের চিকিৎসা কাভার করা যায়। এবং সত্যি কথা হচ্ছে হিজামা এমন একটা treatment procedure যেখানে আমরা আসলেই একের অধিক রোগের চিকিৎসা করে থাকি।

আমরা যখন হিজামা করে রক্ত এবং রক্তের সাথে রোগসৃষ্টিকারী পদার্থগুলো বের করে আনি, তখন কিন্তু শুধু নির্দিষ্ট কোন একধরণের রোগ সৃষ্টিকারী পদার্থ বের হয় না। বরং, হিজামা পয়েন্টে থাকা যাবতীয় রোগ সৃষ্টিকারী পদার্থ বেরিয়ে আসে। অর্থাৎ, আপনি যদি কোন একটা নির্দিষ্ট রোগের জন্য হিজামা করেন, তাহলে হিজামা সেই রোগের জন্য তো উপকার দেবেই, সাথে সাথে সেই পয়েন্টে যদি অন্য কোন রোগ সৃষ্টিকারী পদার্থ জমতে থাকে সেটাও বের করে দেবে। যদিও রোগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট রয়েছে, তবে মোটা দাগে বিষয়টা এমনই।

যেমন ধরুন এজমার জন্য নির্দিষ্ট হিজামা পয়েন্ট রয়েছে। যিনি এজমা রোগের জন্য হিজামা করছেন তিনি বাকি যেসব রোগের জন্য এইসব পয়েন্টগুলো কমন সেগুলোর জন্যেও উপকার পাচ্ছেন। হিজামাতে এটাই non specific রোগ সৃষ্টিকারী পদার্থ বের করে দেয়ার সুবিধা। এছাড়া সুন্নাহ কাপিং এ একটা বেসিক ডিটক্সিফিকেশান হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

** হিজামা (CUPPING) করাতে যোগাযোগ করুন **

Hotline : 01711 532 483
Mobile : 01975 532 483

Chamber :
Baitul Hijama - বাইতুল হিজামা
Section-12, Avenue-4, Road-11, House-737
Mirpur-DOHS, Dhaka, Bangladesh.
facebook.com/baitul.hijama.bd
www.baitulhijama.com

(মহিলাদের জন্য মহিলা থেরাপিষ্ট রয়েছে)

read more
Atherosclerosis

কোলেস্টেরলের সমস্যার হিজামা 

"হিজামা করালে কি কোলেস্টেরলের সমস্যার কোন উপকার হয়?"

রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকা একটা বড় ধরণের স্বাস্থ্য ঝুকি। এই কোলেস্টেরল গুলোই একসময় রক্ত নালীতে জমা হয়ে হয়ে স্ট্রোকস বা হার্ট এ্যটাকের মত বড়সড় ঘটনা ঘটে যায়।

আমাদের পরিবার, পরিচিত সার্কেলে কোলেস্টেরল নিয়ে সমস্যায় থাকেন এমন কাউকে খুঁজে পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। সমস্যাটা এতটাই কমন। কোলেস্টেরলের সমস্যার জন্য তারা নিয়মিত ঔষধ খেয়ে যাচ্ছেন, খাবার নিয়ন্ত্রন করছেন। এর মাধ্যমেই এর নিয়ন্ত্রন নেবার চেষ্টা করছেন। কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে  রাখছেন।

কিন্তু জানেন কি, হিজামার মাধ্যমেও আপনি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন?

কোলেস্টেরলের সমস্যা বলতে আমরা বুঝি রক্তে লিপিডের পরিমাণ বেশি। এর প্রধানত ৪ টা প্যারামিটার আছে। Total cholesterol, Triglyceride(TG), LDL-Cholesterol এবং HDL-Cholesterol. এর মধ্যে প্রথম ৩টা কম থাকা ভালো এবং শেষেরটা বেশি থাকা ভালো।

রিসার্চে দেখা গিয়েছে হিজামার প্রথম ২ সপ্তাহের মধ্যেই প্রথম তিনটা প্যারা মিটার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে এসেছে এবং গুড কোলেস্টেরল বা HDL-Cholesterol এর মাত্রা বেড়েছে।

যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে চান হিজামাকে অবশ্যই অপশন হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।

read more
diabeties-20240715180254

Diabetes (ডায়াবেটিস)

হিজামার মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে ডায়াবেটিসকে অতি সহজে এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন । ডায়াবেটিসকে সহজে এবং সবচেয়ে কার্যকরভাবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করার সর্বাধুনিক ট্রিটমেন্ট হচ্ছে হিজামা । হিজামার মাধ্যমে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে এবং খুব সহজেই এই মরণব্যাধির মারাত্মক পরিনতি থেকে মুক্তি পেতে পারেন । ডায়াবেটিস আপনার যে প্রধান তিনটি ক্ষতি করে তা হল- ১. আপনার শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন আশংকাজনক হারে কমিয়ে ফেলে । ২. শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যাবস্থাকে অকেজো করে দেয় । ৩. এবং রোগ প্রতিরোধক ব্যাবস্থা ভেঙে পড়ার কারনে আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ ইফেক্টেড এবং অকেজো হয়ে আপনার হার্ট, কিডনি, লাঞ্জ একে একে সব ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে । হিজামা এমন এক চিকিৎসা, যার কোন প্রকার সাইড ইফেক্ট নেই, এর জন্যে কোন মেডিসিন নিতে হয়না এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ২য় সেশন বা ২য় বার হিজামা নেয়ার পর থেকেই আপনার ডায়াবেটিস কমে আসতে শুরু করে । এবং পর পর ৫ থেকে ৭টি সেশন নিলে ডায়াবেটিস পুরোপুরি নির্মূল হয় । প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় ডায়াবেটিস ভাল হবার কোন নজির নেই । প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিন্তু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন বা ইনসুলিন নেয়া থেকে বিরত থাকা সম্ভব না । আর এ জন্যেই আমাদের প্রায় সবারই এই বিশ্বাস মনের মাঝে গেথে গিয়েছে যে একবার ডায়াবেটিস হলে সারাজীবন এই রোগ বয়ে বেড়াতে হবে, এর থেকে মুক্তি নেই বরং দিন দিন ডায়াবেটিসের কারনে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে সহজেই আমরা নানান জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হব । এবং সত্যি বলতে তাই হচ্ছে। আর এ কারনেই প্রচলিত এই বিশ্বাসকে ভেঙ্গে নতুন বিশ্বাসের সূচনা করা বেশ মুশকিল ।

#চলুন জেনে নেই ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিস্তারিত ♥️ আমাদের প্রধান খাদ্য উপাদান হলো শর্করা । এই শর্করা ভেঙে হয় গ্লুকোজ। আবার আমিষ বা চর্বিজাতীয় খাবার ভেঙেও বিশেষ অবস্থায় গ্লুকোজে পরিণত হয় । গ্লুকোজ শরীরের প্রধান জ্বালানি । এসব গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে যে হরমোন তার নাম ইনসুলিন । ইনসুলিন আসে অগ্ন্যাশয় (প্যানক্রিয়াস) থেকে । এটি রক্ত থেকে গ্লুকোজকে কোষে সরিয়ে নেয় । কিন্তু যদি কোনো কারণে অগ্ন্যাশয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি না হয় অথবা শরীরের কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি যথেষ্ট সাড়া না দেয় তাহলে রক্তে গ্লুকোজের এই মাত্রা বাড়তে থাকে । এ অবস্থাকেই আমরা বলি ডায়াবেটিস, যাকে বাংলায় বলে বহুমূত্র রোগ । বিশ্বে ৪১৫ মিলিয়ন লোক ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত । ২০৪০ সালে ৬৪০ মিলিয়নে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । ডায়াবেটিসের সমপরিমাণ লোক প্রাক-ডায়াবেটিসে ভুগছে। বাংলাদেশের মতো স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এর প্রবণতা বেশি । *** ডায়াবেটিসের লক্ষণ *** বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুরুতে রোগীরা বুঝতেই পারে না যে তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে । কারো কারো ক্ষেত্রে ঘন ঘন পিপাসা লাগা, দুর্বল লাগা, ঠোঁট ও মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা, শরীর শুকিয়ে যাওয়া—এসব লক্ষণ দেখা যায় । কেউ কেউ ডাক্তারের কাছে আসেন পায়ে, নখে, চামড়ায় বা যৌনাঙ্গে বিভিন্ন রকম ইনফেকশন নিয়ে । ডায়াবেটিস হলে মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে, মুড ওঠানামা করে । হাত-পা জ্বালাপোড়া করাও ডায়াবেটিসের লক্ষণ । তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অথচ উপসর্গহীনতা বা অসচেতনতার কারণে ৫০ শতাংশ রোগীই জানেন না যে তাদের ডায়াবেটিস আছে । বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের এ সমস্যা বেশি। ** কারণ- প্রধানত দুটি কারণে এ রকম অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে ।

টাইপ-১ : শরীরে অগন্যাশয় গ্রন্থিতে ইনসুলিন হরমোন নিঃসরণকারী বিটা সেলের পরিমাণ ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়া এবং বিটা সেল থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন যদি কোষের ওপর সঠিকভাবে কাজ করতে না পারে । এ ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় গ্রন্থিতে বিটা সেলের পরিমাণ শূন্যের কোঠায় পৌঁছলে তখন ইনসুলিন বাইরে থেকে নেওয়া (ইনজেকশনের মাধ্যমে) ছাড়া কোনো উপায় থাকে না । এ ধরনের ডায়াবেটিসকে টাইপ-১ বা ইনসুলিননির্ভর ডায়াবেটিস বলে । টাইপ-২ : শরীর যখন ইনসুলিন তৈরি করতে পারে, অর্থাৎ সামান্য পরিমাণ বিটা সেল উপস্থিত থাকে, কিন্তু শর্করার বিপাকের জন্য তা পর্যাপ্ত নয়, এ ধরনের ডায়াবেটিসকে টাইপ-২ ডায়াবেটিস বলে ।

টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সঙ্গে স্থূলতার একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে । শিশুদেরও এ রোগ হতে পারে । তবে চল্লিশোর্ধদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি (৯০ শতাংশ) । আরেক ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাকে বলে গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস । যখন কোনো মায়ের গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মতো ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তখন তাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলে । এ ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ রোগী পরবর্তী সময় স্থায়ীভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় । বাংলাদেশে এর প্রবণতা অনেক বেশি। ** প্রচলিত ধারনা হচ্ছে ডায়াবেটিস একবার হলে আজীবন এই রোগ বয়ে বেড়াতে হবে। এর কোন প্রতিকার নেই, কেবল নিয়ন্ত্রণ সম্ভব । তাই যিনি একবার এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি জীবন ভর এই রোগ বয়ে বেড়াচ্ছেন । জীবন যাপনে নিয়ে এসেছেন নানান পজেটিভ পরিবর্তন যা তাকে অন্য রোগ হওয়ার হাত থেকে বাচাঁবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে । ** আপনি জেনে আনন্দিত হবেন, হিজামার মাধ্যমে এই রোগ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব ।পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন মানে হচ্ছে আপনার ইনসুলিন নেয়া লাগবেনা কোন মেডিসিন নেয়া লাগবেনা আপনার বরের কোন পার্টস যেমন হার্ড কিডনি এগুলো ইফেক্ট এড হবে না এবং আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস হবে এবং সঠিকভাবে কাজ করবে ।   হিজামার মধ্যমে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি চাইলে এবং আজীবন মুক্ত থাকতে চাইলে আপনাকে কিছুটা ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে । সেক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ টি সেশন হিজামা নিতে হবে । 

read more
xr:d:DAEoOlbbZcA:1069,j:43210891869,t:23031320

Anatomy of Hijama Therapy 

কিছু ধারনা দেয়া :

Incision এর জন্য সার্জিক্যাল ব্লেড ও নিডল এই দুটি ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। এখন incision কোথায় করা হয়? নিশ্চয়ই স্কিনে, এবং স্কিন হতে টেনে Blood (আপাতত Blood ই বলি, এবিষয়ে বিস্থারিত আলোচনা হবে) টেনে রেব করা হয়, তাহলে চলেন স্কিন, Blood ও এ সম্পর্কিত কিছু তথ্য্ জেনে নিই।
স্কিনঃ স্কিন বা ত্বক মানবদেহের( Integumentary system) আচ্ছাদন তন্ত্রের অংশ । এটি দেহের সবচেয়ে বৃহত্তম এবং ভারী অঙ্গ, যা মানবমানব দেহের বাহ্যিক অঙ্গসমুহ আচ্ছাদন করে থাকে, এবং আভ্যন্তরীন অঙ্গ সমূহকে প্রতিরক্ষা প্রদান করে। এছাড়া ত্বক দেহ হতে ঘাম ও তেল নিঃসরণের মাধ্যমে দেহে অভ্যন্তর পরিশোধন করে। যদি ত্বক পুষ্টি হারিয়ে ফেলে এবং রুদ্ধ (ব্লক) হয়ে যায় তাহলে এটি যথাপোযুক্ত কার্যকারিতা হারিয় ফেলবে ফলে দেহের অভ্যন্তরে Toxic উপদান আটকা পড়বে ফলে চুলকানির মত রোগ যেমন ব্রণ, ফুস্কুড়ি, ত্বক লালচে ফুস্কুড়ি হওয়া ও এলর্জি হতে পারে। কারণ দেহের অভ্যন্তরে Toxic উপদান গুলি আটকা পড়ার ফলে দেহের উক্ত স্থান গুলিতে অক্সিজেন যুক্ত রক্ত পৌছাতে পারেনা।
ত্বক তিনটি স্তরে বিভক্ত:
১) ইপিডার্মিস, ২) ডার্মিস , ৩) হা্ইপেডার্মিস


এপিডার্মিসঃ তিন স্তর বিশিষ্ট ত্বকের প্রথম স্তর এটি । এই স্তরের curved আকৃতির অংশ থাকে যা ডার্মিস লেয়ারের অভ্যন্তরে শেকড়ের ন্যায় প্রবেশ করানো থাকে (চিত্রঃ৪)এগুলিকে এপিডার্মিস রিজেস (Epidermis ridges) বলে। এই লেয়ার ৩/৪ সপ্তাহ অন্তর অন্তর পূনর্গঠিত হয়। ত্বকের তিনটি স্তরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে পাতলা স্তর তাই এটিকে ত্বকের সুপারফেশিয়াল স্তর বলা হয়।
মুলত, হিজামায় যেহেতু এই স্তরই কাটা হয় তাই হিজামার incision কে সুপারফেশিয়াল কাট বলা হয়।



ডার্মিসঃ ত্বকের ২য় স্তর এটি । এই স্তরের curved আকৃতির অংশ থাকে যা এপিডার্মিস লেয়ারের অভ্যন্তরে শেকড়ের ন্যায় প্রবেশ করানো থাকে(চিত্রঃ৪)এগুলিকে ডার্মাল প্যাপিলা(Dermal papillae)বলে। হাইপোডার্মিস লেয়ার হতে আসা উপশিরার মাইক্রোভেসেলস্ গুলি ডার্মাল প্যাপিলার ভিতরে Capillaries bed এ রুপান্তরিত হয়ে (চিত্রঃ২)ডার্মিস ও এপিডার্মিস লেয়ারস্থ সেল গুলিতে পুষ্টি সরবরাহ করে।
এই ডার্মাল প্যাপিলা ও এপিডার্মিস রিজেট এর সমন্বয়ে আমাদের হাতের তুলুর রেখা ও ত্বকের ভাঁজ সৃষ্টি হয়।

হিজামা Incision কোন ক্রমেই এই স্তরের ডার্মাল প্যাপিলা (Dermal papillae) লেয়ার অতিক্রম করা উচিৎ নয়। কেন? সে বিষয়ে হিজামা অংশে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
হাইপোডার্মিস বা সাবকিউটানিয়াসঃ এটি সর্বশেষ ত্বকের স্তর। এই স্তরের শিরা গুলি উপশিরায় বিভক্ত হয়ে ডার্মিস লেয়ারের দিকে যায়। এখানে আরও অনেক বিষয় আছে তবে হিজামার বেসিক ধারণার জন্য্ আপতত এগুলোই যথেষ্ট্।
হিজামার প্রক্রিয়ায় ত্বকের ওপর কাপ বসিয়ে নেগেটিভ সাকশন দিয়ে কিছুক্ষণ (৫/৭মিনিট) রেখে দিলে জায়গাটি ফুলে যায় ও লাল আকার ধারণ করে এটিকে হাইপারোমিয়া বলে যা হিজামায় কৃত্রিম ভাবে সৃষ্টি করা হয়, এর মধ্যেই হিজামার রহস্য লুকায়িত আছে।
এপর্যায়ে চলুন আরো কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয় জেনে নেওয়া যাকঃ-
হাইপারোমিয়া কি?
দেহের রক্ত সরবরাহকারী অঙ্গ কর্তৃক কোন শিরা-উপশিরায় মাত্রাতিরিক্ত রক্ত সরবরাহ করা হলে উক্ত স্থানের ত্বকের উপরিভাগ লাল আকার ধারণ করে একেই হাইপারোমিয়া বলে।
হাইপারোমিয়া কিভাবে সংগঠিত হয়?
হাইপারোময়া হল দেহের সয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার লক্ষন।
দেহে হাইপারোমিয়া দুটি ভাবে হতে পারে
১) দেহের সয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার ফলে।
২) কৃত্রিম ভাবে। (যেমন কাপিং থেরাপীতে হয়)
হাইপারোমিয়ার প্রক্রিয়া জানতে হলে Blood capillary ও Lymphatic System সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
হৃদপিন্ডি হতে বিশুদ্ধ রক্তবাহী ধমনী বিভিন্ন শিরা-উপশিরায় বিভক্ত হতে পর্যায়ক্রমে অতিক্ষুদ্র রক্ত নালীতে পরিণত হয় এবং শেষভাগে জালের মত আকৃতি ধারণ করে। এই সূক্ষ রক্ত নালীকে Capillary ও সূক্ষ রক্ত নালীর দ্বারা গঠিত জালের মত অংশকে Capillary bed বলে (চিত্রঃ৭)। কারণ এটি দেখতে দুটি গাছের সাথে নেটের তৈরি ঝুলন্ত বিছানার মত।


Capillary bed এর সম্প্রসারিত সারফেস এরিয়া, রক্ত এবং কোষের মধ্যে অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই অক্সাইড আদান প্রদানের উপযুক্ত পরিবেশ প্রদান করে। হৃদপিন্ড হতে অক্সিজেন যুক্ত রক্ত Capillary bed এ আসে এবং কোষ রক্ত হতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহন করে এবং কার্বন-ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে যা রক্তের সাথে মিশ্রিত হয়ে পূনরায় হৃদপিন্ডে যায় এবং হৃদপিন্ড হতে পূনরায় অক্সিজেন যুক্ত রক্ত সারাদেহে প্রবাহিত হয়। হৃদপিন্ড হতে সারাদেহে রক্ত সার্কুলেটিং ব্যবস্থাকে সার্কুলেটিং সিষ্টেম বা কার্ডিওভাসকুলার সিষ্টেম বলে। বুঝার সুবিধার জন্য (চিত্রঃ৭)এ অক্সিজেন যুক্ত রক্ত শিরাকে লাল দেখান হয়েছে এবং অক্সিজেন হারানোর পরে কার্বন-ডাই অক্সাইড যুক্ত রক্তকে নীল দেখান হয়েছে। তাই Capillary bed এ একপাশ লাল এবং অন্য পাশ নীল।


Capillary গুলোর প্রাচীর Endothelial cells দ্বারা গঠিত (চিত্রঃ৮)। এই সেল গুলির মাঝে Slit বা ফাটল থাকে যাকে Interstitial space বলে।
আমাদের হৃদপিন্ড অতি উচ্চচাপে রক্ত পাম্প করে যাতে দেহের সর্বত্র রক্ত পৌছাতে পারে। এই উচ্চ চাপের ফলে capillaries এর Interstitial space দিয়ে কিছু Lymph বা ফ্লুইড চুইয়ে পরে, সারাদেহে যার পরিমাণ দৈনিক গড়ে ২০লিটার, আবার প্রায় ১৭ লিটার পূনরায় Interstitial space দিয়ে capillaries দ্বারা শোষিত হয় এবং প্রায় ৩লিটার বা ১৫% রক্তরস অবশিষ্ট থাকে যেটা Lymphatic system দ্বারা শোষিত হয় এবং Lymph node এর মাধ্যমে পরিশোধিত হয়ে পূনরায় মূল রক্ত প্রবাহের সাথে মিলিত হয়। ফলে দেহে ফ্লুইডের ভারসাম্য বজায় থাকে।এটাই হচ্ছে Lymphatic systemএর কাজ। (আর এজন্যই হিজামার পরে প্রচুর পানি পান করা উচিত, যেহেতু হিজামা করার ফলে দেহ ফ্লুইড হারায় তাই পানি পান করার ফলে দেহে ফ্লুইডের ভারসাম্য পূনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, অন্যাথায় শরীর সাময়িক ভাবে দূর্বল হয়ে পরতে পারে, তবে সল্প সংখ্যক জায়গায় হিজামা করা হলে এই দূর্বলতা অনুভব হয় না। )
এখানে প্রশ্ন জাগতে পারে যে রক্তরস যেহেতু পূণরায় মূল রক্তপ্রবাহের সাথে মিলিত হয় তাহলে Capillaries দিয়ে চুইয়ে পরার দরকার কি? Capillaries এর Slit বা Interstitial space এর প্রয়োজন কি? তাইনা…..!!!!!????
মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টিতে কোন ভুল বা অসঙ্গতি নেই। তিনি সকল জ্ঞানের সৃষ্টিকর্তা।
ফ্লুইড চুইয়ে পরার প্রয়োজনীয়তাঃ হৃদপিন্ড উচ্চচাপে ফ্লুইড Capillaries এর Slit বা Interstitial space দিয়ে চুইয়ে পরে এই ফ্লুইডটি মূলত রক্ত নয় কারণ লোহিত রক্ত কণিকা সহ অন্যান্য্ কণিকা গুলোর আকার Interstitial space এর চাইতে অনেক বড় তাই উক্ত চাপে ফ্লুইডের সাথে কোন রক্ত চুইয়ে পড়েনা (এ বিষয়ে পরে আলোচনা আছে)। ফ্লুইডের সাথে মূলত কিছু প্লাজমা, কিছু প্রটিন ও নিউট্রিশন উপাদান বাহির হয় যা Capillaries এর আশেপাশের কোষ গুলির সুস্থতার জন্য অপরিহার্য্ । সেই সাথে কোষে কোন ভাইরাস বা ব্যকটেরিয়ার আক্রমন হলে জীবানু গুলো উক্ত ফ্লুইডের সাথে মিশ্রিত হয়ে Lymph node এ যায় যেখানে Immune cell থাকে, উক্ত জীবাণু ‍গুলি Immune cell দ্বারা ধ্বংস প্রাপ্ত হয় এবং জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলে ফলে কোষ ইনফেকশনের হাত হতে রক্ষা পায় ।
Slit বা Interstitial space এর প্রয়োজনীয়তাঃ
আবার, যখন কোন কোষে ইনফেকশন হয়ে যায় তখন Immune cell গুলি (Local immune cell বা Macrophage) (Macrophages শব্দটি এসেছে গ্রীক makrós ও phagein থেকে যেখানে makrós অর্থ বিশাল এবং অর্থ phagein খাদক তাহলে একত্রে শব্দটির অর্থ দাড়ায় বিশাল খাদক বা মহাখাদক । makrós ও phagein একত্রে Macrophages হয়েছে। এটি এরুপ নামকরণ করা হয়েছে এর কাজের সাথে মিল রেখেই।
ম্যাক্রফেজ হ'ল এক ধরণের শ্বেত রক্ত ​​কণিকা, যাহা দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ, এটি মৃত কোষ বা কোষের ধ্বংসাবশেষ, বহিরাগত পদার্থ, জীবাণু, ক্যান্সার কোষ এবং প্রটিন বর্জিত অন্য যে কোন কিছু গিলে হজম করে ফেলে, এই প্রক্রিয়া কে ফাগোসাইটোসিস বলে) ইনফেশনের জীবাণুদের গিলতে শুরু করে এবং দেহের Immune system কে এক প্রকার Chamical signal প্রেরণ করে। WBC (White Blood Cell) হচ্ছে দেহের Immune system এর অংশ। এবিষয়ে পরবর্তী আলোচনায় যাওয়ার পূর্বে রক্ত সম্পর্কে একটু ধরণা নেওয়া যাকঃ-
রক্ত কি?
রক্ত হল উচ্চশ্রেণীর প্রাণিদেহের এক প্রকার কোষবহুল, বহু জৈব ও অজৈব পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত সামান্য লবণাক্ত, আঠালো, ক্ষারধর্মী ও লালবর্ণের ঘন তরল পদার্থ যা হৃৎপিন্ড, ধমনী, শিরা ও কৈশিক জালিকার মধ্য দিয়ে নিয়মিত প্রবাহিত হয়। রক্ত একধরণের তরল যোজক কলা।

রক্তের উপাদানঃ
১) প্লাজমাঃ নির্দিষ্ট আয়তনের রক্তে উক্ত আয়তনের ৫৫% প্লাজমা থাকে। এটি পানি, আয়রন, প্রটিন, নিউট্রিয়েন্টস, বর্জ্য ও গ্যাসীয় (অক্সিজেন, কার্বন-ডাইঅক্সাইড ও নাইট্রজেন) উপাদনে মিশ্রিত একটি তরল।
২) প্লাটিলেস(অণুচক্রিকা ): নিউক্লিয়াসবিহীন, গোলাকার বা ডিম্বাকার বা রড্ আকৃতির বর্ণহীন সাইটোপ্লাজমীয় চাকতি বিশিষ্ট রক্তের ক্ষুদ্রতম কোষকে প্লাটিলেস বা অণুচক্রিকা বলে। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায়তা করে। এর আকার(2-4mm)
৩) White Blood Cell (WBC)বা শ্বেত রক্ত কণিকা: শ্বেত রক্তকণিকা ( White blood cell or Leucocytes) মানবদেহের রক্তে বর্নহীন,নিউক্লিয়াসযুক্ত এবং তুলনামূলকভাবে স্বল্পসংখ্যক ও বৃহদাকার কোষ ।WBC রক্ত্ শিরা-উপশিরার মধ্যেদিয়ে সারাদেহে সর্বদা টহল দিয়ে বেড়ায় এবং Immune system থেকে সংকেত গ্র্হন করে দেহকে সংক্রমন থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।নির্দিষ্ট আয়তনের রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকা বা Leucocytes ও প্লাটিলেস এর পরিমাণ উক্ত আয়তনের ১%। Leucocytes এর ৫টি উপসেল আছে:-
ক) Neotrophil (12-15mm)
খ) Eosinophil (12-15mm)
গ) Basophil (12-15mm)
ঘ) Lymphocytes (6-18mm) (T cell & B cell)
ঙ) Monocyte (12-20mm)
৪) RBC বা লোহিত রক্ত কণিকাঃ লোহিত রক্তকণিকারক্তের সর্বপ্রধান কোষ বা কণিকা যা মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহের কলাগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহের প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

ফুসফুস বা ফুলকার মধ্যের কৈশিক নালির মধ্যে সংবহণের সময় শ্বাসবায়ু থেকে লোহিত রক্তকণিকাতে অক্সিজেন সংগৃহীত হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড পরিত্যক্ত হয়। অন্যান্য কলায় কৈশিকনালীর মাধ্যমে রক্ত সংবাহনের সময় লোহিত রক্তকণিকা থেকে অক্সিজেন কলাকোষে স্থানান্তরিত হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বিপরীতে অর্থাৎ লোহিত রক্তকণিকাতে প্রবাহিত হয়।
লোহিত রক্তকণিকার সাইটোপ্লাজম হিমোগ্লোবিন নামক এক ধরনের প্রোটিন অণুতে পূর্ণ থাকে। হিমোগ্লোবিন ‘হিম’ ও ‘গ্লোবিন’ এর সমন্বয়ে গঠিত। একটি হিমোগ্লোবিন অণুর মধ্যে চারটি হিম ও চারটি গ্লোবিন নামক জৈব রঞ্জক পদার্থ থাকে । হিম যৌগের মধ্যে লোহার পরমাণু উপস্থিতির কারণে লোহিত রক্তকণিকা ও রক্তের রঙ লাল। প্রতিটি লোহিত রক্তকণিকাতে প্রায় ২৭০ মিলিয়ন হিমোগ্লোবিন অণু থাকে। সব মিলিয়ে মানবদেহের সমস্ত হিমোগ্লোবিনে অবস্হিত লোহার পরিমাণ প্রায় ২.৫ গ্রাম। এই হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমেই দেহের ৯৮% অক্সিজেন পরিবাহিত হয়। বাকী ২% বহন করে রক্তরস। অক্সিজেন হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সি-হিমোগ্লোবিন গঠন করে। লোহিত রক্তকণিকার আকার (6.5-8mm)।
এখন WBC ও RBC এর তুলনামূলক পার্থক্য দেখিঃ-
ও ভাই একটু দাড়ান, একটা প্রশ্ন ??? উপরে আলোচনা করলাম রক্ত কণিকা গুলোর আকার Interstitial space এর চাইতে অনেক বড় তাই ফ্লুইডের সাথে Interstitial space দিয়ে Capillary হতে কোন রক্ত চুইয়ে পড়েনা, কিন্তু এখানে বলা হচ্ছে WBC Capillary এর বাইরে আসতে পারে, যেখানে RCB বের হতে পারেনা সেখানে RBC এর চাইতে অনেক বড় আকারের রক্ত কণিকা WBC কিভাবে Interstitial space দিয়ে Capillary এর বাইরে আসে????? এর উত্তর হচ্ছে,
১) দেহসুস্থ অবস্থায় Capillaries এর Interstitial space দিয়ে কোন রক্ত কণিকা বের হতে পারেনা।
২) দেহ অসুস্থ অবস্থায় Capillaries এর Interstitial space দিয়ে WBC বের হতে পারে।
তাহলে, দেখে নেওয়া যাক- দেহসুস্থ অবস্থায় Capillaries এর Interstitial space দিয়ে কোন রক্ত কণিকা কেন বের হতে পারেনাঃ
এই সাথে আমরা এর উত্তরও পেয়ে যাব যে, হিজামাতে কেন রক্ত বের হয় না যদি সঠিক ভাবে incision করা হয়।

এজন্য আমাদের Capillary এর গঠন নিয়ে একটু আলেচনা করতে হবে, চিত্রঃ১১ তে দেখা যায় যে Interstitial space এর gap এর পরিমান 40Å। এখন 40Å আসলে কতখানি পরিমান সেটা বুঝতে পারলেই সমাধান পাওয়া যাবে।
Å -অ্যাংস্ট্রম
অ্যাংস্ট্রমকে স্ক্যান্ডিনেভীয় বর্ণ Å এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। দৈর্ঘ্যের অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি একক হচ্ছে অ্যাংস্ট্রম। আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য, অণু-পরমাণুর মধ্যকার দূরত্ব বা ব্যাস, ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের তলগুলোর মধ্যকার দূরত্ব, কোষের বিভিন্ন পরিমাপ, ইত্যাদি ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য প্রকাশের জন্য অ্যাংস্ট্রম একক ব্যবহার করা হয়। যেমন আমরা বলি, বেগুনী আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৪,০০০ অ্যাংস্ট্রম। সুইডেনের বিজ্ঞানী অ্যান্ডার্স জোনাস
অ্যাংস্ট্রমের (Anders Jonas Ångström) নামানুসারে অ্যাংস্ট্রম এককের নামটি এসেছে। বিকিরণ বিশ্লেষণে বর্ণালিবীক্ষণ যন্ত্র বা স্পেকট্রোস্কোপ ব্যবহারের পথিকৃৎ ছিলেন তিনি। সূর্যে যে হাইড্রোজেন আছে সেটা সূর্যের আলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে তিনিই জানিয়েছিলেন।
এক অ্যাংস্ট্রম হচ্ছে এক মিটারের দশ বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ বা 0.0000000001 মিটার। অর্থাৎ
১Å = ০.১ ন্যানো মিটার
তাহলে 40Å = (0.1 x 40) = 4 nano meter or 4nm.
অর্থাৎ Interstitial space এর gap এর পরিমান 4 ন্যানো মিটার, যেখানে সবচাইতে ক্ষুদ্রতম রক্ত কণিকা প্লাটিলেট এর ক্ষুদ্রতম সাইজ এর পরিমান ২মাইক্রোমিটার চিত্রঃ১০। যা capillaries এর Interstitial space এর চাইতে ৫০০ গুন বড় । তাহলে চিত্রঃ১০ থেকে রক্ত কণিকা গুলোর সাইজ দেখে সহজেই ধারণা করা যায় যে, বাকি রক্ত কণিকা গুলির আকার Capillaries এর Interstitial space এর চাইতে কতগুন বড় (আল্লাহু আকবার)।
তাই স্বাভাবিক ভাবে সুস্থদেহে কোন রক্ত কণিকা Capillaries এর Interstitial space দিয়ে ফ্লুইডের সাথে চুইয়ে পরে না এমনকি হিজামাতে যে নেগেটিভ প্রেসার দেওয়া হয় তাতেও কোন রক্ত কণিকা বের হয়না।
হিজামাতে ত্বকের সুপারফেশিয়াল স্তর কাটা হয়, এর আরবী টার্ম হল ” shartat mihjam ” । shartat mihjam এর সংগায় ত্বকের সুপারফেশিয়াল incision এর গভীরতা বলা আছে ~০.১ মি.মি mm এবং দৈর্ঘ্য ~১-২মি.মি। এই পরিমাপে কাটা হলে incision এর গভীরতা ত্বকের প্রথম স্তর ইপিডার্মিস লেয়ার অতিক্রম করবে না আর চিত্রঃ১ এ দেখা যায় যে ইপিডার্মিস লেয়ারে কোন রক্তবাহী শিরা বা উপশিরা নাই আর শিরা-উপশিরা কাটা না হলে রক্ত বাহির হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। চিত্রঃ২ হতে দেখা যায় যে ডার্মিস লেয়ারের ডার্মাল পাপিলার ভিতরে Blood capillaries বিদ্যমান তা্ই যদি incision এর গভীরতা ত্বকের ডার্মিস লেয়ারে পৌছে যায় তাহলে Blood capillaries ক্ষতি গ্রস্থ হয়ে রক্ত বের হবে এবং স্কার মার্কস তৈরি হবে যে দাগ অনেকদিন স্থায়ী হয় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সারা জীবন থেকে যায়।
এখন দেখা যাক দেহ অসুস্থ বা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে কিভাবে এত বড় বড় Immune cells গুলি এদের চাইতে হাজার গুন ছোট Capillaries এর Interstitial space দিয়ে বের হয়ে আসে এবং জীবাণুর সাথে যুদ্ধ করে।
এবিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিজ্ঞানী Alan Finkel এর প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান ভিত্তিক ম্যাগাজিন “Cosmos (The science of everything)” এ প্রকাশিত একটি আর্টিকেল বিশ্লেষন করিঃ-
আমাদের দেহের বিভিন্ন অর্গান সমূহকে পাহারা দেওয়া ও রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু গুলিকে আক্রমান করার জন্য Immune cells গুলিকে bloodstream বা রক্তবাহী শিরা-উপশিরার বাইরে আসতে হয়। কিন্তু তারা কিভাবে এই কাজটি সম্পন্ন করে তা আজও সম্পূর্ণরুপে জানা যায়নি। (Allah knows the best)
Israel এবংUK এর একটি গবেষক দল পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান যে দেহের প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের Immune cells গুলির শরীর ঝাঁকাতে-ঝাঁকাতে শিরার প্রাচীর ভেদ করে চলাচল করে, এবং শিরার প্রাচীর সেগুলিকে বাধা দেওয়ার পরিবর্তেImmune cells গুলিকে চলাচলের সুযোগ করে দেয় ফলে Immune cells গুলি শিরার প্রাচীরের কিছু সেল ভেঙ্গে বের হয়ে আসে এবং এই ভাঙ্গা সেলগুলি খুব দ্রুত প্রতিস্থাপিত হয়।
প্রতি সেকেন্ডেই সহস্রাধিক Immune cells যেমন WBC (Leukocytes) রাস্তা খুঁজে বের করার জন্য blood vessels এর প্রাচীরে ঝাঁকাতে থাকে। যখন দেহের কোন অংশ আক্রান্ত হয় তখন তৎক্ষনিক ভাবে লোকাল Immune cell সাহায্যের জন্য একপ্রকার molecules signal প্রেরণ করে নিকটস্থ blood vessels দিয়ে চলাচলকারী Leukocytes এর দিকে। যখন Leukocytes কোন স্থান থেকে সাহায্যের বার্তা পায় তখন তারা সেখানেই থেমে যায় এবং capillaries এর প্রাচীর দিয়ে বের হয়ে আসে।

Leukocyte একটি পাতলা আবরন endothelial cells এর মধ্য দিয়ে প্রসারিত করে এবং বাইরে বের হতে থাকে পরিশেষে নিউক্লিয়াসের লুব সহ সম্পূর্ণ immune cell টিই capillaries এর বাইরে বের হয়ে আসে। এ অবস্থায় নিউক্লিয়াসের লুব deformed হয়, এবং যখন নিউক্লিয়াসের লুব deformed হয় তখন endothelial cell scaffolding যাদেরকে Actin snapped এবং Stress fibres stretchedনামে ডাকা হয়, তারা্ endothelial cells গুলিকে Interstitial space বড় করার জন্য সংকেত প্রদান করে। এবং leukocyte এর নিজস্ব পুশিং ব্যবস্থা
আছে যার মাধ্যমে নিউক্লিয়াসকে সামনের দিকে ধাক্কা দিতে থাকে যে পর্যন্তনা সম্পূর্ণ immune cell টি বাইরে বের হয়ে আসে। এই প্রক্রিয়ায় কিছু endothelial cell ক্ষতি গ্রস্থ হয় যা খুব দ্রুত এবং সহজেই প্রতিস্থাপিত হয়। যখন কোন Immune cell, capillary এর প্রাচীর ঝাঁকাতে থাকে বাইরে বের হওয়ার জন্য তখন T সেল endothelial cell এর পাতলা ফিলামেন্ট বা আবরনকে নিজেদের রাস্তা থেকে দুরে ঠেলতে থাকে কিন্তু এটি খুব দ্রুত পূণঃগঠিত হতে পারে।
আর এভাবেই দেহ অসুস্থ অবস্থায় Capillaries এর Interstitial space দিয়ে WBC বের হতে পারে।(Allah Knows the best) তো এইছিল মোটামুটি রক্ত নিয়ে আলোচনা।
মনে আছেতো !!!!.....রক্ত নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে আমারা আলোচনা করছিলাম Slit বা Interstitial space এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে-
দেহের Immune cell (macrophage) যখন সাহায্যের জন্য signal প্রেরণ করে তখন জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স গুলি থাকে Bloodstream এ Blood vessels এর ভিতরে। সংকেত পাওয়ার পর এগুলো Blood vessels এর বাইরে আক্রান্ত স্থানে আসার জন্য তৎপরতা শুরু করে। এবং উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় বাইরে বের হয়ে আসে। এখন যদি Blood vessels এর capillaries এর endothelial cell গুলির মধ্যে Slit বা Interstitial space না থাকে তাহলে দেহকে প্রতিরক্ষা প্রদানের জন্য Immune cell এর স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স দেহকে রক্ষা করার কোন পথ পাবেনা। ফলে কি হবে তা সহজেই অনুমেয়।....
তাহলে রক্ত, capillary, lymphatic system, immune system সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া গেল তাইনা!!!!!!
তাহলে চলেন শুরুর দিকের আলোচনায় ফিরে যাই, আলোচনা করছিলাম কিভাবে হাইপারোমিয়া সংঘটিত হয়, তাইনা!!!!
হাইপারোময়া হল দেহের সয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার লক্ষন। এবং দেহে হাইপারোমিয়া দুটি ভাবে হতে পারে:-
১) দেহের সয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার ফলেঃ দেহের সয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হলে জীবাণু আক্রান্ত কোষের নিকটস্থ Blood vessels এ অধিক পরিমাণে রক্ত সঞ্চালিত হয়, ফলেঃ-
> জীবাণু আক্রান্ত কোষের নিকটস্থ Blood vessels এ অধিক পরিমাণে রক্ত সঞ্চালিত হলে অধিক WBC, Blood Capillaries এর endothelial cell প্রাচীর ভেদকরে আক্রান্ত কোষে পৌঁছাতে পারে এবং জরুরী প্রতিরক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারে।
> জীবাণু আক্রান্ত কোষের নিকটস্থ Blood vessels এ অধিক পরিমাণে রক্ত সঞ্চালিত হলে Blood Capillaries এর উপর রক্তের চাপ বাড়ে ফলে অধিক পরিমানে ফ্লুইড বা (Lymph) Blood Capillaries এর endothelial cell এর Slit বাInterstitial space দিয়ে চুইয়ে পরে, এবং তা Lymphatic system কর্তৃক শোষিত হয়। এই চুইয়ে পরা ও শোষিত হওয়ার কার্যক্রমটি উক্ত স্থানে অধিক হারে সংঘটিত হয়, ব্যপারটা এরকম যে কোন জিনিসে ময়লা লাগলে তা বারবার ধোয়ার ফলে একটা পর্যায়ে উক্ত জিনিসটি সম্পূর্ণরুপে পরিষ্কার হয়ে যায়। জীবাণু আক্রান্ত কোষের Blood vessels এ অধিক পরিমাণে রক্তচাপ থাকার ফলে উক্ত ধৌত কার্যক্রমটিই অধিক হারে সংঘটিত হয় ফলে জীবাণু আক্রান্ত কোষ জীবাণু মুক্ত হয় এবং অধিক হারে প্রয়োজনীয় নিউট্রিশনস প্রাপ্ত হয়। আমাদের দেহে কোন কিছু কামড়ালে বা আঘাত লাগলে অসংখ্য নিউরনের মাধ্যমে সবার আগে আমাদের ব্রেইন সিগনাল প্রাপ্ত হয়ে হৃদপিন্ডকে সিগনাল প্রদান করে আক্রান্ত স্থানে দ্রুত রক্ত সরবরাহ বাড়ানোর জন্য, আমাদের হৃদপিন্ড সেন্ট্রাল নার্ভাস সিষ্টেম থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে আক্রান্ত স্থানে দ্রুত রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে ফলে উক্ত স্থানে হাইপারোমিয়া হয় এবং উক্ত স্থানটি ফুলে যায়। এজন্যই আমাদের দেহে কোন কিছু কামড়ালে বা আঘাত লাগলে উক্ত স্থান ফুলে যায় আঘাতের তীব্রতা বেশী হলে হাইপারোমিয়া বেশী হয়, তীব্রতা কম হলে হাইপারোমিয়া কম হয়। ইপারোমিয়া হলেই যথারীতি দেহের ডিফেন্স সিষ্টেম তার কার্যক্রম শুরু করে। ইপারোমিয়া হ্ওয়া ছাড়াও ডিফেন্স সিষ্টেম সক্রিয় হতে পারে, যদি কোন Immune cell কোন জীবানুকে অথবা বহিরাগত কোন কিছুকে বিপদজনক হিসাবে চিহ্নিত করে তখন সে সাথে সাথে Immune system কে সংকেত প্রদান করে। এজন্যই আমরা যখন কাউকে রক্ত প্রদান করি তখন একই গ্রুপ হওয় সত্ত্বেও রক্ত গ্রহীতা ও প্রদান কারীর রক্তকে ক্রসম্যাচ করা হয় যদি মিয়ে যায় কেবল মাত্র তখনই উক্ত রক্ত রোগীর দেহে পুশ করা হয় আর যদি না মিলে যায় তার পরও যদি ঐ রক্ত রোগীর দেহে পুশ করা হয় তাহলে রোগী দেহের Immune cell বহিরাগত রক্তকে জীবানু হিসাবে ও দেহের জন্য ক্ষতিকর হিসাবে চিহ্নিত করে এবং সাথে সাথে Immune system কে সংকেত প্রদান করে ফলে রোগীর দেহের Immune cell গুলি বহিরাগত রক্তের সেল গুলির সাথে তুমুল যুদ্ধ শুরু করে যার ফলে রোগীর অবস্থা আরও বেশী খারাপ হয়ে যায়। একই ভাবে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের সময় যদি আগত কিডনি দেহের সাথে ম্যাচ না করে তখন রোগীর দেহের Immune cell গুলি ঐ কিডনিকে দেহের জন্য ক্ষতিকর হিসাবে বিবেচনা
করে এবং নতুন কিডনিকে আক্রমান করে। অর্থাৎ দেহের অভ্যন্তরে অনাকাঙ্খিত যেকোন কিছু প্রবেশ করলে দেহের ডিফেন্স সিষ্টেম সক্রিয় হয়ে যায়।
২) কৃত্রিম ভাবে সৃষ্ট হাইপারেমিয়াঃ কাপিং থেরাপীতে নেগেটিভ সাকশন দেওয়া হয়, এবং এই নেগেটিভ প্রেসার ত্বকের ডার্মিস লেয়ারে ছিদ্রযুক্ত ডার্মাল capillaries এর উপর গিয়ে পরে, ফলে উক্ত স্থানের ডার্মাল capillaries এ রক্তের চাপ বৃদ্ধি পায়। ফলে endothelial cell এর Slit বা Interstitial space দিয়ে অধিক মাত্রায় Lymph বাহির হয়ে কোষের উপর জমা হতে থাকে ফলে জায়গাটি ফুলে যায়। অধিক মাত্রায় Lymph বাহির হয়ে কোষের উপর জমা হতে থাকলে Lymphatic system এর কাজের গতিও বেড়ে যায় অর্থাৎ উক্ত স্থানের কোষগুলো ধৌতকরার কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এখন ড্রাই কাপিং এর পরে যদি হিজামা করা হয় তাহলে ত্বকে incision করার সাথে সাথে আমাদের ব্রেইন থেকে Immune system এ signal চলে যায় এবং Immune system তার কার্যক্রম শুরু করে। এটা অনেকটা ম্যনুয়ালি বা কৃত্রিম ভাবে দেহের ডিফেন্স সিষ্টেম কে খোঁচা মেরে উত্তেজিত করার মত, Immune system কে যেভাবেই সক্রিয় হোকনা কেন প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে কোন গাফিলতি হয়না। কৃত্রিম ভাবে দেহের Immune system সচল করা বিষযটা এমন যে কোন যন্ত্র বা গাড়ীকে নির্দিষ্ট সময় পরপর সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে সার্ভিসিং করা। আমাদের দেহও একটি জটিল যন্ত্র, মহান আল্লাহ আমাদের দেহের মধ্যে সকল ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে দিয়েছেন যেমন ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, বায়োকেমিক্যাল, স্ট্রাকচারাল, কমিউনিকেশন ইত্যাদি আরও জটিল কার্যাদি সম্পন্ন হয় আমাদের দেহে এছাড়াও আরও এমন অনেক জটিল কার্যক্রম সম্পন্ন হয় যা বর্তমান বিজ্ঞান এখনও আবিষ্কার করতে পারে নাই। সাধারন একটি গাড়ীকে যদি আমরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সার্ভিসিং সেন্টারে নিতে পারি তাহলে এতো মূল্যবান আমাদের দেহ যার মধ্যে এতো জটিল কার্যক্রম সম্পন্ন হয় সেটার কি সাভিসিং এর প্রয়োজন নেই। অব্যশ্যই আছে, আর আছে বলেই এ সংক্রন্ত বিভিন্ন সহিহ হাদিস বর্ণনা আছে, যেমন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হিজামাকারী কতই উত্তম লোক। সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।” সুনানে তিরমিযী, হাদীছ নম্বর : ২০৫৩
আর এজন্যই একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষের বছরে ২/৩ বার হিজামা ডিটক্স থেরাপী নেওয়া উচিত।
এখন হিজামা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও তার সম্ভাব্য উত্তর নিয়ে আলোচনা করবঃ-
যেকোন জিনিস কে ভাল বা মন্দ আক্ষা দিতে গেলে অবশ্যই তার পিছনে যৌক্তিক কারণ থাকা লাগবে। অযৌক্তিক ভাবে কোন জিনিসকে ভাল বা মন্দ বলা জ্ঞানীর লক্ষণ নয়। হিজামার থেরাপীর খেত্রেও কিছু বিষয়ে আমাদের থেরাপীস্ট্ দের মতবিরোধ দেখা যায়। এই আলোচনার মধ্যে তেমন কিছু বিষয় তুলে ধরে যৌক্তিক আলোচনা উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। (ওয়ামা তৌফিকী ইল্লা বিল্লাহ)।
Ø হিজামা কিভাবে কাজ করে এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি?
উত্তরঃ হিজামা মূলত কি করে সেটা আগে বুঝতে হবে। উপরের আলোচনা থেকে একটা উদাহারণ দেওয়া যায়, যেমন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত সৈন্যদের তেজদীপ্ত ভাষণ দিয়ে তাদের অধিকতর উজ্জীবিত ও উত্তেজিত করা হয়, ফলে তার জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধের ময়দানে ঝাপিয়ে পরে, ঠিক তেমনি হিজামার মাধ্যমে আমাদের দেহে অভ্যন্তরস্থ সৈন্যদের উত্তেজিত করা হয় ফলে তারাও আমাদের দেহ প্রতিরক্ষায় ঝাঁপিয়ে পরে। উপরে আলোচিত হাইপারোমিয়া বুঝে আসলে আশা করি হিজামার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বুঝে আসবে।
Ø Incision বা স্ক্রাচ এর জন্য ব্লেড নাকি সুই কোনটা উত্তম?
উত্তরঃ হিজামা করার জন্য হিজামা পেন নাকি ব্লেড কোনটি ভাল, এটা নিয়ে অনেকের মাঝেই মতভেদ আছে। যেহেতু নবী সাঃ এর সময় থেকেই ব্লেড জাতীয় জিনিস দিয়ে হিজামা করা হচ্ছে তাই হিজামার জন্য ব্লেডের ব্যপারে কারো কোন মতভেদ নেইকিন্তু মতভেদ আছে পেন বা সুইয়ের ব্যপারে।
পেন নিয়ে অনেকের আপত্তি আছে যেমনঃ-
১) পেনদিয়ে থেরাপী দেয়া হলে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হয়, এবং স্থায়ী Scar marks বা দাগ তৈরি হয়।
২) পেনদিয়ে থেরাপী দেয়া হলে উপকারীতা কম হয়।
৩) অনভিজ্ঞ ও নতুন থেরাপীষ্টরা পেন দিয়ে থেরাপী দেয়।
৪) মাথায় পেনদিয়ে থেরাপী দেয়া হলে বেশী ব্যাথা পাওয়া যায়।
৫) রক্ত সংক্রামক জনিত ব্যাধি ছড়ানোর আশংকা থাকে।
৬) পেন হিজামার কোন উপকরনই না।
আবার পেন এর পক্ষেও অনেক মত আছে, যেমনঃ-
১) পেন দিয়ে থেরাপী দেয়া সহজ।
২) পেন দিয়ে সময় কম লাগে।
৩) Incision এর প্রশিক্ষণ ছাড়া যে কেউ পেন দিয়ে সহজেই থেরাপী দিতে পারে।
৪) একাধিক কাপ একটি জায়গায় বসানো হলে পেন দিয়ে সহজেই সংকীর্ণ জায়গায় incision করা যায় এক্ষেত্রে আশেপাশের অন্য কোন কাপ তোলার প্রয়োজন হয় না, এবং প্রতিটি পয়েন্টে একটি একটি করে কাপ তুলে incision করে সাথে সাথেই কাপটি বসানো যায়। কিন্তু ব্লেড দিয়ে সংকীর্ণ জায়গায় incision করা সম্ভব হয় না এক্ষেত্রে হিজামা করার জন্য আশেপাশের সকল কাপ তুলে সবগুলো পয়েন্টে incision করে পূনরায় কাপগুলো বসানো হয় ফলে কিছু পয়েন্টে incision করার পর কাপ বসাতে খানিক বিলম্ব হয় ফলে Incision করার সাথে সাথে কাপ বসানোর যে শর্ত আছে তাতে ব্যঘাত ঘটে।
৫) পেন দিয়ে অতি ক্ষুদ্র incision করা যায় ফলে ডায়াবেটিকস রোগীদের ইনফেকশনের আশংকা কমে যায়।
৬) পায়ের গোড়ালীতে মোটা চামড়ায় পেন দিয়ে থেরাপী দেয়া সহজ।
এরকম আরও অনেক মত থাকতে পারে পেন এর পক্ষে-বিপক্ষে। তাই আমরা একটু যুক্তি দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বুঝার চেষ্টা করিঃ-
> পেন দিয়ে থেরাপী দেয়া হলে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হয়, এবং স্থায়ী Scar marks বা দাগ তৈরি হয়ঃ-
হিজামায় ত্বকের প্রথম স্তর কাটা হয়, আমাদের ত্বকের প্রথম স্তর হল এই ইপিডার্মিস লেয়ার, এটি একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর পূণঃগঠিত হয়। ইপিডার্মিস লেয়ারটি ত্বকের তিনটি স্তরের মধ্যে সবচাইতে পাতলা তাই একে সুপারফেশিয়াল স্তরও বলা হয় এবং হিজামায় এই স্তরেই incision করা হয় বলে হিজামার incision কে সুপারফেশিয়াল কাট বলা হয়, এর আরবী টার্ম হল ” shartat mihjam ” । shartat mihjam এর সংগায় ত্বকের সুপারফেশিয়াল incision এর গভীরতা বলা আছে ~০.১ মি.মি mm এবং দৈর্ঘ্য ~১-২মি.মি। চিত্রঃ১ এ দেখা যায় যে ইপিডার্মিস লেয়ারে কোন রক্তবাহী শিরা বা উপশিরা নাই আর শিরা-উপশিরা কাটা না হলে রক্ত বাহির হওয়ার প্রশ্নই আসেনা।
তাই incision পেন অথবা ব্লেড যা দিয়েই করেন না কেন সেই incision যদি এই স্তরে মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে তবে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। আর যদি incision এর গভীরতা এই স্তর অতিক্রম করে পরের স্তর ডার্মিস লেয়ারে যায় তবে ডার্মাল প্যাপিলার ভিতরে থাকা capillaries গুলি (চিত্রঃ২)ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে রক্ত বের হবে এবং স্কার মার্কস তৈরি হবে যে দাগ অনেকদিন স্থায়ী হয় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সারা জীবন থেকে যায়।
স্কার মার্কস কিভাবে তৈরি হয়ঃ দেহের ক্ষত সারাতে বায়োলজিক্যাল প্রক্রিয়ার ফলাফল হিসাবে স্কার তৈরি হয়। প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের ত্বক গঠিত হয় কোলাজেন নামক এক প্রকার প্রটিন দ্বারা। দেহের ত্বক গঠনের জন্য টিস্যুতে থাকা প্রটিন গুলির মধ্যে এটি প্রধান প্রটিন। প্রাকৃতিক ভাবে অথবা কোন ক্ষত সারোনোর সময় যখন ত্বক গঠিত হয় উভয় ক্ষেত্রেই এই কোলাজের প্রটিন ফাইবার দ্বার ত্বক গঠিত হয়। প্রাকৃতিক ভাবে যখন ত্বক গঠিত হয় তখন টিস্যুতে থাকা কোলাজেন এর প্রটিন ফাইবার গুলি basket weave এর মতে সজ্জিত হয়, এটি হচ্ছে ত্বক গঠনের প্রকৃতিক ও স্বভাবিক বিন্যাস, কিন্তু যখন দেহে কোন ক্ষত হয় এবং সেই ক্ষত যদি ত্বকের ডার্মিস লেয়ারের ডার্মাল ক্যাপিলারিজ পর্যন্ত বা তার বেশী গভীর হয়, তখন ক্ষত সারানোর সময় টিস্যুতে থাকা কোলাজেন এর প্রটিন ফাইবার গুলি, টিস্যু ক্ষতি গ্রস্থ হওয়ার কারণে, ত্বক গঠনের প্রকৃতিক বিন্যাস ধরে রাখতে পারেনা, ফলে ফাইবার গুলি একমুখী ভাবে বিন্যস্ত হয়, এই বিন্যাসটি ত্বকের সাধারন ও স্বাভাবিক বিন্যাস থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হওয়ার কারণে এটিকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়, যা দাগ আকারে ত্বকের মধ্যে স্পষ্ট দেখা যায় একেই স্কার বা ক্ষতচিহ্ন বলে। ক্ষত সারানোর সময় যদি অতিরিক্ত মাত্রায় কোলাজেন উৎপন্ন হয় তখন স্কারটি ফুলে ওঠে এবং বিবর্ণ আকার ধারণ করে।



”পেন দিয়ে থেরাপী দিলে উপকারীতা কম হয়” এই বক্তব্যের কোন দালিলিক প্রমান পাওয়া যায় নাই।(কারো কাছে থাকলে শেয়ার করবেন।)
”অনভিজ্ঞ ও নতুন থেরাপীষ্টরা পেন দিয়ে থেরাপী দেয়” এটি সত্য নয়, আমাদের দেশে সহ বিভিন্ন দেশের অনেক অভিজ্ঞ থেরাপীষ্টগন পেন দিয়ে হিজামা করে থাকেন। এবং এটি ধীরে ধীরে অনেকের কাছেই জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
”মাথায় পেনদিয়ে থেরাপী দিলে বেশী ব্যাথা পাওয়া যায়” সত্যতা প্রমানিত। তবে Needle throw এর পরিমাণ কম বা বেশী সেট করা যায়। ফলে বেশী ব্যাথা অনুভুত হয়না।
রক্ত সংক্রামক জনিত ব্যাধি ছড়ানোর আশংকা থাকে” উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বন না করলে উক্ত আশংকা বিদ্যমান।

 
Ø হিজামাতে রক্ত বের হয় কি?
উত্তরঃ হিজামাতে রক্ত বের হয় কি হয়না, সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনার দরকার। তবে উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে হিজামায় কোন রক্ত বের হয়না যদিনা ডার্মাল ক্যাপিলারিজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়, অথবা যদিনা কোন Traumatized capillaries থেকে থাকে। অনেকেই বলেন যে হিজামায় দূষিত রক্ত বের হয়, আসলে কথাটা এমন নয় কারন রক্ত দূষিত হয়ে গেলে তা সারাদেহে ছড়িয়ে পরবে এবং সমস্ত শরীর রোগাক্রান্ত হয়ে পরবে। আসলে কথাটা এমন হবে যে হিজামায় দেহ হতে দূষিত উপাদান সমূহ বের হয়ে আসে যা বিভিন্ন ইনফেকশনের জন্য দায়ী, যেগুলোকে একত্রে CPS বলা হয়। অধিকাংশ ইনফেকশনই হয় দেহের কোষে, খেয়াল করে দেখবেন দেহের কোন অংশে ইনফেকশন হলে তা নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, কিন্তু যদি ইনফেকশন রক্তে হয় তাহলে অবস্থা অতীব মারাত্বক হয়ে যায় কারণ তখন রক্তের মাধ্যমে ইনফেকশন সমস্ত দেহে ছড়িয়ে পরে। সাধারণত অধিকাংশ ইফেকশনই হয় কোষের নির্দিষ্ট জায়গা জুড়ে। এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, যেহেতু দূষিত উপাদান বের হয়, তাহলে এগুলো ভিতরে থাকা অবস্থায় রক্ত দূষিত হয় না কেন? কারণ, রক্ত প্রবাহিত হয় শিরা-উপশিরা দিয়ে আর অধিকাংশ ইফেকশন হয় কোষে, এছাড়া, দেহের জন্য ক্ষতিকর জিনিসি গুলিকে দেহের Immune cell গুলি ব্লক করে রাখে এবং খতম করতে থাকে, তাই অধিকাংশ ইনফেকশন রক্তে ছড়াতে পারেনা এবং কেষের নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে। ফলে উক্ত জায়গায় হিজামা করানো হলে সেগুলো বের হয়ে আসে। হিজামা করার ফলে শরীর থেকে যা বের হয়ঃ-
১) Blood from traumatized Capillarise (If any)
২) CPS(Causative Pathological Substance),DCS(Disease Causing Substance)& DRS(Disease Related Substance)
DCS এবং DRS উভয়ই CPS এর অন্তর্ভূক্ত। অর্থাৎ অসুস্থতার জন্য দায়ী যাবতীয় উপাদানই CPS এর অন্তর্ভূক্ত।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু CPS এর নাম উল্লেখ করা হল যেগুলো ব্যাপক ভাবে হিজামায় আগত রক্তে উপস্থিত থাকেঃ-
১) Metaboic waste‍
২) Toxic Gases
৩) Hemolyzed Blood
৪) ইউরিক এসিড
৫) Stagnent blood
৬) ক্রিয়েটিনিন
৭) Lymph
৮) ইউরিয়া
৯) ট্রাইগ্লিসারাইড
১০) Low Density Lipid (LDL)
ইত্যাদি...
Blood from traumatized Capillaries (If any) Blood Capillaries গুলোতে ক্ষত হলে বা কোন কারণে ক্ষতি গ্রস্থ হলে সেগুলিকে Traumatized capillaries বলে। এধরনেরcapillaries হতে Colloieds বের হয়ে আসে যা ইরেজীতে Capillaries leake syndrome In trauma নামে পরিচিত। হিজামা চলাকালে নেগেটিভ প্রেসারের কারনে এধরনের capillary হতে Blood বের হয়ে আসে।

Metabolic waste‍
মেটাবলিজমঃ- মেটাবলিজম বা বিপাক হ'ল রাসায়নিক বিক্রিয়ার সিরিজ, যা, শরীরের কাঠামো এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে দেহের কোষ সমূহের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়।
এর মূলত দুটি ধাপ:-
১) Catabolism: ক্যাটাবোলিজম, এটি প্রাথমিকভাবে আমাদের খাদ্য থেকে অণুগুলিকে ছোট ছোট অংশে বা শক্তিতে ভেঙে দেয় যা কোষগুলি ব্যবহার করতে পারে (উদাহরণস্বরূপ একটি স্যান্ডউইচ যা ভেঙে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট এ রুপান্তরিত হয়)।
২) Anabolism: এটি খাদ্য হতে প্রাপ্ত প্রটিন দিয়ে দেহের কাঠামো তৈরি করার সাথে জড়িত থাকে। (উদাহরণস্বরূপ স্যান্ডউইচ থেকে প্রাপ্ত প্রোটিনগুলি পেশী তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়)।
Metabolic waste বা মেটাবলিক বর্জ্য:
মেটাবলিজম প্রক্রিয়ায় রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন বাইপ্রডাক্ট যেমন, লবণ, ফসফেট, সালফেট, অন্যান্য অতিরিক্ত পদার্থ এবং ইউরিয়ার মতো নাইট্রোজেনাস বর্জ্য যা মূত্রের মাধ্যমে নির্গত হয়। কোষ হতে এসকল বর্জ্য পদার্থ অবশ্যই প্রক্রিয়াজাত হয়ে দেহ হতে অপসারন হবে অন্যথায় এগুলোর বিষ তৈরি করে এবং দেহর কোষ সমূহ কে মেরে ফেলে। নাইট্রোজেনাস বর্জ্য হল DRS যা সঠিক ভাবে দেহ হতে নির্গত না হলে রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি করবে। ইউরিক এসিড হল DCS যা মানবদেহে Gout সৃষ্টি করে। হিজামা করার ফলে ইউরিক এসিড বের হয়ে আসে।
Hemolyzed Blood:
Hemolysis or haemolysis -“Lysis” শব্দটি গ্রীক ভাষা থেকে এসেছে যার অর্থ হল বাধন মুক্ত হওয়া, লোহিত রক্ত কণিকা বিদীর্ণ হয়ে বা ফেটে গিয়ে, এর ভিতরের cytoplasm বের হয়ে যাওয়াকে বুঝায়। আর এধরনের Blood কে Hemolyzed Blood বলে।
(cytoplasm-কোষ বিজ্ঞানে কোষের নিউক্লিয়াস ব্যতীত কোষের অভ্যন্তরস্থ সমস্থ উপাদান কেই cytoplasm বলে)
Hemosysis এর কারণ হল কিছু CPS বা রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের দ্বারা সংঘটিত hemolysins প্রক্রিয়ায় একপ্রকার Toxins উৎপন্ন হয় লোহিত রক্ত কণিকার সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন বিনষ্ট করে ফলে লোহিত রক্ত কণিকা ভেঙ্গে যায় ফলস্রুতিতে সেল মারা যায়।

আবার, অতিরিক্ত মাত্রায় শরীর চর্চার ফলে Hemolysis হতে পারে।
হিজামায় Hemolyzed Blood কিভাবে বের হয়ে আসে তা Stagnant blood অংশে আলাচনা করা হয়েছে।
stagnant (স্থবির বা নিশ্চল) blood:
Heart, lung, liver and spleen এদের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেলে দেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ব্যহত হয় আর সঞ্চালন প্রক্রিয়া ব্যহত হলে Stagnant blood সৃষ্টি হয়। Stagnant blood এর জন্য দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যহত হয়। দেহের প্রতিটি অংশকে সুস্থভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য অক্সিজেন আবশ্যক। অন্যান্য অঙ্গেরমত Endothelial cell গুলিরও অক্সিজেন দরকার সঠিক ও স্বাভাবিক ভাবে কাজ করার জন্য। কিন্তু যদি capillaries এ Stagnant blood থাকে তবে সেখানে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যহত হয় ফলে Endothelial cell গুলিতে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয় ফলে Endothelial cell গুলি তাদের নিজেদের মধ্যকার Interstitial space এর স্বাভাবিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় ফলে Interstitial space এর পরিমাণ বেড়ে যায় ফলে crystalloid fluid (crystalloid fluid হল রক্ত ঘনত্বকারী তরল) এবং colloids (colloid হল রক্তের পরিমান বাড়ানোর জন্য প্লাজমা বা রক্তরস প্রসারক) নির্গত হয়। পরবর্তীত এগুলো Lymphatic vessels এ যায় এবং জমা হয়ে Lymphatic vessels ব্লক করে দেয়। ফলে দেহে Edema (Edema-শরীলে পানি জমা) হয়।
আবার
দেহের লোহিত রক্ত কণিকা যার আয়ু ১২০দিন। ১২০ পর মৃত লোহিত রক্ত কণিকা গুলি ২ভাবে দূরীভূত হয়।
১) লিভার, স্প্লিন ও লিম্ফ নোডে ৯০% লোহিত রক্ত কণিকা দূরীভূত হয় ।
২) বাকী ১০% Blood circulation এ হিমোলাইজ হয়, পরে কণিকা গুলির খন্ডিত অংশ গুলিকে ম্যাক্রফেজ খেয়ে ফেলে।

এখন যদি কোন কারণে উক্ত দুটি পদ্ধতীতে মৃত লোহিত রক্ত কণিকা দূরীভূত করা সম্ভব না হয় তাহলে মৃত রক্ত কণিকা গুলি ব্লকেজ সৃষ্টি করে ফলে শরীর অসুস্থ হয়ে যায়।
এ অবস্থায় কাপ বসিয়ে নেগেটিভ পেসার দেওয়া হলে Endothelial cell গুলির Interstitial space দূর্বল হওয়ার কারণে (কারণ পূর্বে বর্ণিত) নেগেটিভ প্রেসারে Lymph এর সাথে Dead RBC ও Hemolyzed Blood এর বিদীর্ণ অংশ গুলি কাপের নিচে জমা হয় এবং ত্বকের রং কালচে হয়ে যায় যাকে সিভিয়ার স্ট্যাগনেশন বলে। পরবর্তীতে সেখানে স্ক্র্যাচ করা হলে দেখা যায় Stagnent Blood কালচে রক্ত আকারে বের হয়ে আসে। নিচের চিত্রে দেখান হলঃ-

তাহলে হিজামায় আগত রক্তের CBC test করলে রক্ত কণিকার উপস্থিতি পাওয়া যায় কেন?
আমাদের দেহ একটি অত্যান্ত জটিল মেশিন একে সঠিক ভাবে পরিচালিত করার জন্য প্রতিটি মুহূর্তেই দেহের অভ্যন্তরের প্রতিটি কোষে-কোষে প্রতিরক্ষা, সংরক্ষণ ও মেরামত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আর, মহান আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় এর এগুলো পরিচালিত হচ্ছে রক্তের বিভিন্ন উপাদান দ্বারা। এক মুহূর্তের জন্য যদি এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় তাহলে মানবদেহ নিষ্প্রাণ হতে সময় লাগবেনা। তাই আমরা যখনই দেহের কোন স্থানে হিজামা করি (সুস্থ বা অসুস্থ) মনে রাখতে হবে উক্ত স্থানে দেহের নিজস্ব প্রতিরক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে। আমাদের দেহে প্রতি সেকেন্ডে ২মিলিয়ন RBC উৎপন্ন হচ্ছে, এবং প্রতি এক কিউবিক মিলিমিটার রক্তে ৫মিলিয়ন RBC থাকে তাহলে কল্পনা করেনতো, সারাদেহে কি পরিমাণ RBC আছে??? এবং এগুলে মাত্র ১২০দিন বাচেঁ তাহলে, আপনিকি ধারনা করতে পারেন যে কি পরিমান RBC প্রতি মুহূর্তে মারা যাচ্ছে?????? (আল্লাহু আকবার)।
এই মৃত RBC গুলো যদি শতভাগ দেহের নিজস্ব system দ্বারা প্রক্রিয়াজাত হতে না পারে তাহলে অপ্রক্রিয়াজাত মৃত RBC গুলি stagnant blood আকারে দেহের সার্কুলেটিং system এ ঘুরতে থাকে এবং দেহের বিভিন্ন অর্গানে-কোষে জমতে থাকে এবং Block তৈরি করে। এগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করতে WBC এর ম্যক্রোফেজ Dead RBC গুলিকে খেতে থাকে অথবা অন্য যেকোন প্রতিরক্ষার কারণে আমরা যে স্থানে হিজামা করি সেই স্থানে চলমান প্রতিরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে WBC সহ রক্তের অন্যান্ন উপাদান আগে থেকেই মজুদ থাকে। ফলে হিজামা করা হলে উক্ত উপাদান সমূহও বের হয়ে আসে তাই ‍হিজামার মাধ্যমে বাহির হওয়া রক্তের CBC test করলে উক্ত উপাদান সমূহের উপস্থিতি পাওয়া যাবে। তার মানে এই নয় যে হিজামার incision এর জন্যই উক্ত উপাদান বা কণিকা গুলি বের হয়েছে।
Lymph
Lymph যেহেতু capillaries চুইয়ে পরে, এবং Lymphatic system এর মাধ্যমে পূনরায় রক্তে ফেরত যায় এবং এই প্রক্রিয়া সারাদেহে চলমান তাই হিজামা করা হলে Lymph বের হয়ে আসে।
হিজামাতে নির্গত বর্জ্য, টক্সিন এগুলো কি নির্দিষ্ট একটি জিনিসের নাম নাকি একাধিক জিনিসের নাম?
আগে আমাদের বুঝতে হবে বর্জ্য কি আর টক্সিন কি??? চলেন একটু জেনে নিই -----
বর্জ্যঃ- বর্জ্য হল দেহের বিপাক ক্রিয়ায় উৎপন্ন কিছু বাই-প্রডাক্ট, যেগুলো দেহ সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য কোন প্রয়োজন নাই। দেহের বর্জ্য পদার্থ গুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেহ হতে বাহির হওয়া আবশ্যক অন্যথায় বর্জ্য গুলি টক্সিন উৎপন্ন করে।
টক্সিনঃ- দেহের কোষ গঠন ও কোষের সুস্থ স্বাভাবিক ক্রিয়ায় বাধা প্রদানকারী সকল উপাদানই টক্সিন এর অন্তর্ভূক্ত।
সুতরাং বর্জ্য আর টক্সিন নির্দিষ্ট কোন উপাদানের নাম নয়।
read more
service5
Read More Button

এক কথায় হিজামার সায়েন্টিফিক সংজ্ঞা হল - ' Hijamah is a skin based excretory procedure ' এখন প্রশ্নটা হল - সেটা কীভাবে? আমরা সবাই জানি আমাদের শরীরের ক্ষতিকর পদার্থগুলো বের করে দেয়ার দ্বায়িত্বে যারা যারা নিয়োজিত তাদের মধ্যে কিডনীর কাজটাই প্রধান এবং সবচেয়ে বেশি। কিডনিকে ডাক্তাররা বলে থাকেন শরীরের ছাঁকনি। ছাঁকনি যেমন ছেঁকে ছেঁকে ভালো যা

read more
images (2)

সাইনোসাইটিসের প্রদাহজনিত কারণ ও সমাধান

সাইনোসাইটিস ও হিজামা:

সাইনোসাইটিস আমাদের দেশে খুবই সাধারণ একটি রোগ। এ রোগে অল্প বয়সীরা খুব দ্রুত আক্রান্ত হন। শীত ও বর্ষাকালে এর প্রকোপ বেড়ে যায়। সাইনোসাইটিস খুব মারাত্মক কোনো রোগ নয়। কিন্তু এর কারনে আক্রান্ত ব্যক্তির ভোগান্তির শেষ থাকে না। সাইনোসাইটিস জনিত মাথা ব্যথাকে প্রায়ই টেনশনের কারণেই হয় বলে ধারনা করা হয়।

সাইনোসাইটিস অনেক কারণে হয়ে থাকে। সাধারণভাবে যে সব কারণে হতে পারে সেগুলো হচ্ছে-নাকের ইনফেকশন, নাকের প্যাক, নাকের বাঁকা হাড়, নাকের মাংস ফুলে বড় হয়ে যাওয়া, নাকের পলিপ ইত্যাদি। দূষিত পানি কিংবা উচ্চমাত্রার ক্লোরিনযুক্ত পানিতে গোসল করলে পানি সাইনাসে প্রবেশ করে ইনফেকশন করতে পারে। আবার যে কোন আঘাতের কারণে সাইনাস ছিদ্র হয়ে উন্মুক্ত হলে ইনফেকশন হতে পারে।

দাঁতের ইনফেকশন মাড়ির একদম শেষ প্রান্তের দুটি দাঁত তুলে ফেলার সময় দাঁতের গোড়া দিয়ে সাইনাস উন্মুক্ত হয়ে পড়তে পারে এবং ইনফেকশন হতে পারে।

সাইনোসাইটিস-এর মূল উপসর্গ মাথা ব্যথা। এই ব্যথা চোখের নিচে এবং কপালে থাকে। এছাড়া মুখমন্ডল ও মাথার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যথা হতে পারে। কোন সাইনাসে ইনফেকশন হয়েছে সে অনুযায়ী এই ব্যথার অঞ্চল পরিবর্তিত হয়। তবে ব্যথা নাকের গোড়ায়, উপরের চোয়ালের উপরে, চোখের নিচে, কপালে ও মাথার পিছন দিকে যে কোন স্থানে হতে পারে। ফুলে যেতে পারে চোখের নিচের কিংবা উপরের অংশের পাতা। চিবুক কিছুটা লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে। নাকের ভিতরের পুঁজ একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যাবে। নাকের ভিতরের মাংসগুলো ফোলা থাকতে পারে। নাকের হাড় বাঁকা থাকতে পারে। শারীরিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে- গা ম্যাজম্যাজে ভাব, জ্বর, শরীর ব্যথা ইত্যাদি।

সাইনোসাইটিস এর চিকিৎসা:

-সাইনোসাইটিস এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় হাই পাওয়ারের এন্টিবায়োটিসহ নানা ধরণের পাওয়ারফুল ওষুধ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যথানাশক ওষুধ (পেইন কিলার) ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ঝুকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল অপারেশনের। অনেকক্ষেত্রে অপারেশন করেও ভাল ফলাফল পাওয়া যায় না। আবার সাইনাস ফিরে আসে।

সাইনোসাইটিস এর চিকিৎসায় হিজামা :

* সাইনোসাইটিসের ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য অত্যান্ত কার্যকরি চিকিৎসা হচ্ছে হিজামা।* হিজামা বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে শরীরের নিদৃষ্ট পয়েন্টে থেরাপি নেওয়া।

* ঝুকিহীন ও সাইডএফেক্ট মুক্ত হিজামা ব্যবহার করুন। ব্যথামুক্ত জীবন যাপন করুন।

* রোগ ও রোগীভেদে একাধিক সেশনের হিজামা থেরাপী দরকার হয়।

__________________________________________________________________________________________________________________________________

সাইনোসাইটিসের ব্যথা মূলত কোনো সাইনাস আক্রান্ত হয়েছে, তার ওপর অনেকাংশ নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ম্যাক্সিলারি সাইনাসের ব্যথা ও ম্যাক্সিলারি সাইনাসের অবস্থানের ওপর, অর্থাৎ নাকের পাশে, গাল, দাঁত কিংবা মুখ বা মুখমণ্ডলের আশপাশেও ব্যথা হয়ে থাকে। এ ধরনের মাথাব্যথার সঙ্গে সঙ্গে মাথার মধ্যে হালকা শূন্যতা অনুভূত হয়ে। সাইনাস যখন আক্রান্ত হয়, তখন তার নিঃসৃত পুঁজজাতীয় পদার্থ নাকের মধ্যে এসে প্রদাহের সৃষ্টি করে। সাইনাস ফুলে অনেক সময় নাক বন্ধের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। নাকের মধ্যে কোনো বাধা, যেমন—ডিএনএস বা নাকের মাংস বড় হয়ে যাওয়া সাইনোসাইটিসের কারণে হতে পারে। সুতরাং এসব কারণ উদঘাটন সাইনোসাইটিস রোগের মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে থাকে।

সাইনোসাইটিসের প্রদাহজনিত কারণে নাক থেকে পুঁজ বা পুঁজজাতীয় পদার্থ বের হয়। এ উপসর্গ ছাড়াও শিশু-কিশোরদের সাইনোসাইটিসের বাড়তি কিছু উপসর্গ দেখা যায়। বিশেষ করে তাদের চোখ ও চোখের পাতা ফোলা ফোলা থাকে, মাঝেমধ্যে নাক বন্ধ, মুখ হাঁ করে ঘুমানো, মুখ ও নাক থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া, নাক ডাকা, অত্যধিক লালাঝরা, ঘন ঘন কাশি, আবার কোনো কোনো সময় বমি ইত্যাদি নিয়মিত হতে থাকে। প্রায়ই এমন অনেক রোগী দেখা যায় যারা সব সময়ই অস্বস্তি অনুভব করেন । মাথাব্যথা, ভারি আর নাক জ্বালাপোড়া করে কিন্তু জানেন না কেন? এ ধরনের রোগীর সাইনোসাইটিস হতে পারে। এটি অতি পরিচিত রোগ। শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আমাদের নাকের চারপাশের অস্থিগুলোর পাশে বাতাসপূর্ণ কুঠরি থাকে। এদের সাইনাস বলে।

মুখমন্ডলের হাড়ের ভিতরে কতগুলো ফাঁপা জায়গা আছে তাকে সাইনাস বলে। সাইনাসের কাজ হলো মাথাকে হালকা রাখা, মাথাকে আঘাত থেকে রক্ষা করা, কণ্ঠস্বরকে সুরেলা রাখা, দাঁত ও চোয়াল গঠনে সহায়তা করা। যদি কোনো কারণে এ সাইনাসগুলোয় প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তখন তাকে সাইনোসাইটিস বলে। সাইনোসাইটিস ব্যাকটেরিয়া-জনিত ইনফেকশন, অ্যালার্জি অথবা অটোইমিউন ডিজিজ ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে। বৈশ্বিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ১০০ জনের মধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে ঠাণ্ডার দেশে এই রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়।

সমস্যা বা রোগের কারণ
দাঁত, চোখ, নাকের অসুখ থেকে সাইনোসাইটিস হতে পারে
ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা এলার্জির কারণেও সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে

রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ
সাইনোসাইটিস রোগে প্রচন্ড মাথাব্যথা হয়। সকালে কম থাকে, দুপুরের দিকে ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায় আবার বিকেলের দিকে সামান্য কমে যায়
মাথা নাড়াচাড়া করলে, হাঁটলে বা মাথা নিচু করলে ব্যথার তীব্রতা আরো বেড়ে যায়
জ্বর জ্বর ভাব থাকে, কোনো কিছুতেই ভালো লাগে না এবং অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়
নাক বন্ধ থাকে। পরীক্ষা করলে নাকের ভেতর পুঁজ পাওয়া যেতে পারে
সাইনাস এর এক্স রে করলে সাইনাস ঘোলাটে দেখায়।

সাইনাসের ইনফেকশন 
নাকের এলার্জি থাকলে, নাকের হাড্ডি বাঁকা থাকলে, নাকের ভেতর বাইরের কিছু ঢুকলে এবং এডিনয়েড (নাকের পেছনের টনসিল) বড় হলে
দাঁতের ইনফেশন থেকে বা দাঁত তুলতে গিয়েও সাইনাসে ইনফেকশন হতে পারে
সাইনাসের হাড্ডি ফেটে গেলেও এরূপ হতে পারে
ময়লা পানিতে ঝাঁপ দিলে ঐ পানি নাকের ভেতর দিয়ে সাইনাসে ঢুকেও এ ধরণের সমস্যা তৈরি করতে পারে
এছাড়াও অপুষ্টি, আবহাওয়া দূষণ এবং ঠান্ডা স্যাঁতসেতে আবহাওয়ায় এই রোগ বেশি হয়।

সাইনোসাইটিস-এর জটিলতা 
সাইনাসগুলো চোখ এবং ব্রেইনের পাশে থাকে বলে সাইনাসের ইনফেকশন হলে তা চোখ এবং মস্তিষ্কেরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন-
অরবিটাল সেলুলাইটিস এবং এবসেস বা চোখের ভেতরের ইনফেকশন।
মেনিনজাইটিস বা ব্রেইনের পর্দার প্রদাহ।
এক্সট্রাডুরাল এবং সাবডুরাল এবসেস।
অস্টিওমায়েলাইটিস (মাথার অস্থির প্রদাহ)।
কেভেরনাস সাইনাস থ্রম্বোসিস প্রভৃতি।

কাজেই দেখা যাচ্ছে, সাইনোসাইটিসের কারণে চোখের ভেতরে ইনফেকশন ঢুকে চোখটি নষ্ট করে দিতে পারে, আবার মাথার ভেতর ইনফেকশন ঢুকে মেনিনজাইটিস এমনকি ব্রেইন এবসেসের মতে মারাত্মক জটিল রোগের জন্ম দিতে পারে।

আপনারা সাইনোসাইটিসের জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন, কেউ কেউ অপারেশনও করেছেন, কিন্তু ফলাফল শূণ্য। তাই হিজামাই একমাত্র সাইনোসাইটিসের সঠিক চিকিৎসা। এ চিকিৎসায় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

read more
Depiction_of_a_hypotension_(low_blood_pressure)_patient_getting_her_blood_pressure_checked

বিশ্বাসের সাথে একবার হিজামা করেই দেখুন

একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যদি আমাকে বলে যে, আপনার এই সমস্যা হয়েছে আপনার ইসিজি, আল্ট্রা, এনজিওগ্রাম,এম আর আই,সিটিস্ক্রিন, হরমোন টেস্ট ইত্যাদি করাতে হবে। আমি ডাক্তারের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। এরজন্য ঋণ করে হাজার হাজার টাকা ব্যয় করি। কারন, ডাক্তারের কথায় আমার বিশ্বাস আছে। উনি বাংলাদেশের অনেক বড় ডাক্তার। উনার চিকিৎসা কি ভুল হতে পারে?

অথচ…
আমার আপনার সকলের সৃষ্টিকর্তা, সকল রোগের সৃষ্টিকর্তা এবং রোগ থেকে শিফা দানকারী আমার আপনার অতি আপনজন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার প্রিয় হাবীব রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানিয়েছেন:

★ মধুর মধ্যে শিফা নিহিত ।
★ কালোজিরায় শিফা নিহিত ।
★ হিজামায় শিফা নিহিত ।
★ সূরা ফাতিহায় শিফা নিহিত ।
★ ইস্তিগফারে শেফা নিহিত।
★ সাদাক্বাহয় শেফা নিহিত।

কিন্তু আমরা এর কোনোটাতেই বিশ্বাস করতে পারিনা। কিছুটা বিশ্বাস যদিও আছে তাও সন্দেহের সমুদ্রে টলমান। এই সন্দেহ সহজে দূর হওয়ার নয়, তবে দূর করতে হবে। হাজার হাজার টাকা খরচ করে চিকিৎসা নেয়ার আগে একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চিকিৎসা ইয়াক্বীনের সাথে গ্রহণ করে দেখতে পারি। আল্লাহ চাহেতো সুন্নাত এবং আরোগ্য দুটোই হাসিল হবে ইনশাআল্লাহ।
মনে রাখবেন হিজামা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি হারানো সুন্নাহ।

হিজামা সমাচার:

হিজামা কী?

হিজামা হল এমন একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যাতে মানুষের সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতা বিদ্যামান রয়েছে। যাকে বাংলায় শিঙ্গা এবং ইংরেজিতে Cupping therapy বলা হয়।

হিজামার পদ্ধতি:

শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ থেকে মেশিনের সাহায্যে অথবা শিঙ্গার সাহায্যে রক্ত চুষে নেয়া বা বের করে ফেলা। এরদ্বারা ভেতরের দূষিত রক্ত দূর হয়ে যায়। যারফলে মানুষ প্রশান্তি অনুভব করে।

কেন হিজামা করাবেন?

আপনার রোগ হলে যেমন ডাক্তারের কাছে যান। তারপর প্রয়োজন পড়লে অস্ত্রপোচারও করান। তেমনি আপনার রোগের জন্য হিজামা করাবেন। তাহলে ফায়দা স্বরূপ রোগ থেকে ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবেন এবং রাসূল সাঃ এর একটি সুন্নাতের উপরও আমল করা হলো।

হিজামা সংক্রান্ত হাদীসঃ

★ হযরত আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জিবরীল আমাকে জানিয়েছেন যে, মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব উপায় অবলম্বন করে, তম্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম।” আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর: ৭৪৭০

★ হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ হিজামা করতে চাইলে সে যেন আরবী মাসের ১৭, ১৯ কিংবা ২১ তম দিনকে নির্বাচিত করে। রক্তচাপের কারণে যেন তোমাদের কারো মৃত্যু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৬

★ হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর: ২০৫৩

★ হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও। কারণ, কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে।” আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর : ৭৪৮২
★ হযরত জাবির রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় শেফা রয়েছে।” সহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর: ২২০৫

★ হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম। এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বোধ ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৭

★ হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হিজামাকারী কতইনা উত্তম লোক। সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।” 
সুনানে তিরমিযী, হাদীছ নম্বর: ২০৫৩

হিজামা (CUPPING) এর মাধ্যমে যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকেঃ

★ মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা
★ রক্তদূষণ
★ উচ্চরক্তচাপ
★ ঘুমের ব্যাঘাত (insomnia)
★ স্মৃতিভ্রষ্টতা (perkinson’s disease)
★ অস্থি সন্ধির ব্যাথা/ গেটে বাত
★ ব্যাক পেইন
★ হাঁটু ব্যাথা
★ দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথা ব্যাথা
★ ঘাড়ে ব্যাথা
★ কোমর ব্যাথা
★ পায়ে ব্যাথা
★ মাংসপেশীর ব্যাথা (muscle strain)
★ দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা
★ হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা
★ থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
★ সাইনোসাইটিস
★ হাঁপানি (asthma)
★ হৃদরোগ (Cardiac Disease)
★ রক্তসংবহন তন্ত্রের সংক্রমন
★ টনসিল
★ দাঁত/মুখের/জিহ্বার সংক্রমন
★ গ্যাস্ট্রিক পেইন
★ মুটিয়ে যাওয়া (obesity)
★ দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseses)
★ ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিষ্কাশন
★ ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ।
★ ডায়াবেটিস (Diabetes)
★ ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান
★ চুল পড়া (Hair fall)
★ মানসিক সমস্যা (Psycological disorder)…সহ আরও অনেক রোগ।

আরব দেশ সমূহ এবং ভারত পাকিস্তানে হিজামার বহুল প্রচলন থাকলেও আমাদের দেশে হিজামা লাগানোর খুব একটা প্রচলন নেই। জাপান, আমেরিকা, চীনেও আধুনিক পদ্ধতিতে হিজামা/cupping চিকিৎসা গ্রহন করা হচ্ছে। রাসূল সাঃ এর যুগে এই চিকিৎসা খুব বেশি প্রচলিত ছিলো। রাসূল সাঃ একদিন ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে সাথে সাথে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে হিজামা করিয়েছেন। যেহেতু আল্লাহ তায়ালার রাসূল হিজামা নিজে করেছেন এবং অন্যদের করতে উৎসাহ প্রদান করেছেন তাহলে নিশ্চয়ই এরমধ্যে বহু উপকার রয়েছে। যার কিছু নমুনা উপরেও পেশ করা হয়েছে। তাই হিজামা করুন, অন্যকে করতে উৎসাহ দিন। একটা সুন্নাতকে জীবিত করুন। আমি নিজে হিজামা করেছি।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই চিকিৎসা গ্রহন করার এবং ইখলাসের সাথে একটি সুন্নাতকে জীবিত করার তাউফিক দান করুন। আমীন।

read more
bald8

টাক সমস্যার সমাধানে হিজামা

যাদের চুল পড়ছে,অল্প বয়সেই টাক পড়ে মাথার তালু ফাঁকা হচ্ছে তাদের কাছে যদি চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়,তাহলে শতকরা ৯৫ ভাগ রোগীই বলবেন চুলের জন্যে যেসব চিকিৎসা তারা নিয়েছেন তাতে তারা সন্তুষ্ট ছিলেন না!

New York Times এর একটা প্রতিবেদনে উঠে এসছে চুলের পেছনে যে পরিমাণ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার গড়ে আমেরিকানরা খরচ করেন তার তুলনায় যে উপকার তারা পান সেটা অত্যন্ত নগন্য এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষণস্থায়ী!

 পুরুষদের ক্ষেত্রে অল্প বয়সেই মাথার তালু থেকে চুল পড়ে যাওয়ার প্রধান কারন মাথার তালুর চুলের গোড়ায় যে Hair follicle রয়েছে তাতে মাত্রাতিরিক্ত Dihydrotestosterone (DHT) জমা হওয়া।

FDA approved যে দু'টো drug চুল পড়া বন্ধে বহুল ব্যবহার হয় তার একটি Minoxidil, যা চুলের গোড়ার blood circulation উন্নত করে। কিন্তু প্রতিদিন ২ বার ১০ চাপ করে স্প্রে নিয়ম মেনে দেওয়া আসলে কঠিন! আবার সবার জন্যে যে এটি ফলদায়ক তাও কিন্তু নিশ্চিত না!

আরেকটি ড্রাগ Fenesteride DHT উৎপাদনে বাঁধা দেয়।কিন্তু sexual desire কে ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি এর ব্যবহারের জনপ্রিয়তা কমিয়েছে।

PRP (Platelet rich plasma) চুল পড়া সমাধানে বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা FDA কিন্তু PRP কে Hair Transplantation এর medication হিসেবে এখন ও স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু efficacy- র বিবেচনায় ব্যয়বহুল হলেও এই চিকিৎসা পদ্ধতিকেই এখন সবাই গ্রহণযোগ্য ভাবছেন।

অনেকেই আজকাল জানতে চান আমাদের কাছে --"হিজামার সাথে কী চুল গজানোর কোন যোগসূত্র আছে ?"

মাথায় বিভিন্ন রোগের জন্যেই দেখা যায় হিজামা পয়েন্টস রয়েছে। আমরা যেহেতু বিভিন্ন রোগের জন্যেই হিজামা করি তাই মাথাতেও সংশ্লিষ্ট রোগের জন্যে হিজামা করা হয়েছে বিভিন্ন রোগীর!

আমরা দেখলাম, রোগীদের ভাষ্যমতে এসব জায়গাগুলোতে নাকি খুব দ্রুত চুল গজাচ্ছে এবং আশেপাশের জায়গাগুলোতেও চুল পড়ে যাওয়ার মাত্রা বেশ কমে যাচ্ছে!

থিওরিটিক্যালি চুল গজানোর ক্ষেত্রে হিজামার উল্লেখযোগ্য অবদান আছে। এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত অনেক আগে থেকেই ! যেভাবে হিজামা কাজ করে তা সত্যিই ভীষণ আশান্বিত হবার মত!

১) Androgenic Alopecia তে Causative pathologic substance হল DHT(Dihydrotestosterone), প্রতি সেশন হিজামা তে মাথার তালুর আক্রান্ত জায়গা থেকে কাপিং ব্লাড এর সাথে প্রচুর DHT বের হয়ে আসে।এটি হিজামার excretory benefit এর একটা উদাহরণ।

২) অন্যদিকে হিজামার মাধ্যমে তৈরি হওয়া নাইট্রিক অক্সাইড একটি potent vasodilator, তাই হিজামা local healthy blood circulation promote করে।

চুলের চিকিৎসায় সব প্রচলিত পদ্ধতিগুলোর ব্যর্থতা বা অনিশ্চয়তা দেখে হিজামা কে এদের মাঝে নিয়ে আসার কোন ইচ্ছে ছিল না আমাদের। এর একটা কারন বেশিরভাগ রোগে এই সুন্নাহ চিকিৎসাটি এরই মাঝে আমাদের রোগীদের মাঝে তার নির্ভরতার জায়গা করে নিয়েছে! সেটা ধরে রাখাটা আমাদের জন্যে দরকার! Hairfall এর চিকিৎসায় কথা দেয়ার ঝুঁকি আছে,অনিশ্চয়তা আছে!

পরে আমরা ভেবে দেখলাম যদি কারো উপকারে আসে তার জন্যে হলেও আমরা চেষ্টা করে দেখতে পারি!
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজামাকে 'সর্বোৎকৃষ্ট' চিকিৎসা বলেছেন। তাহলে চুলের চিকিৎসাতেই বা কেন নয়?

মাথায় হিজামা করালে যে লাভগুলো  হবে :


১) এটি একসাথে দুটি pathologic target কে cover করে। তাই চুল পড়া বন্ধে প্রতিদিন শ্যাম্পু, লোশন, স্প্রের অত্যাচার থেকে বাঁচতে হিজামা নতুন আশা বয়ে নিয়ে আসবে।

২) খরচের দিক বিবেচনায় হিজামা PRP এর তুলনায় অনেক বেশি সহজলভ্য।

৩) Prophetic Medicine এর অংশ হিসেবে হিজামা একদম নিরাপদ।

৪) চিকিৎসা হিসেবে একটা সুন্নাহকে বেছে নেওয়ার spiritual benefits and rewards তো আছেই!

৫) মাথা ব্যথা বা রিলাক্সেশন এ মাথায় হিজামা অত্যন্ত উপকারী। চুলের জন্যে চিকিৎসা নিলেও এই উপকারগুলো বাড়তি পাওয়া।

হিজামা সেশন প্ল্যান :
মোট সেশন : ৪ টি

প্রথম সেশন এর ১৫ দিন পর ২য় সেশন।
২য় সেশন এর ১ মাস পর ৩য় সেশন এবং এর ঠিক ১ মাস পর ৪র্থ সেশন।
এরপর চুলের যত্নে ৩ মাস পর পর অথবা রেসপন্স এর উপর নির্ভর করে ৬ মাস পর পর হিজামা/কাপিং করানো যেতে পারে।

যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে :
১) একটা লজিক্যাল এক্সপেক্টেশন রাখবেন। Response vary from person to person! It widely dependent on existing damage to the hair follicles!
হিজামা করে সাথে সাথেই অজস্র চুল আশা করবেন ব্যাপারটা একদম সেরকম না! হিজামা ন্যাচারাল গ্রোথ বুস্ট আপ করে। তাই হিজামা করে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টেশন এর মত কৃত্রিম পরিবর্তন আশা করা যাবেনা।

প্রতিটা সেশনেই পরিবর্তন আসে। তাই ধৈর্য্য রাখতে হবে কমপক্ষে ৩ মাস। চুল পড়ার হার যে কমে যাচ্ছে এই পরিবর্তন টা সবার আগে বুঝতে পারা যাবে।

২) ট্রিটমেন্ট শিডিউল মেনে চলার মানসিকতা থাকতে হবে। মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ করবেন না। সেক্ষেত্রে বুঝে শুনে প্ল্যান করুন।

৩) হিজামার ব্যাপারে যেটা ভাল দিক সেটা হল এর কোন সাইড এফেক্ট নেই যা ওষুধগুলোতে আছে! তাই দীর্ঘদিল বিনা সংকোচে হিজামার উপর নির্ভর করা যায়। রোজ রোজ চুলের পেছনে সময় দেয়ার ঝামেলাও নেই।

তাই চুলের চিকিৎসায় যারা হাঁপিয়ে উঠেছেন তারা এই সুন্নাহ চিকিৎসা পদ্ধতিটি বেছে নিতে পারেন। আমরা বিশ্বাস করি যেকোন চিকিৎসা পদ্ধতির চেয়ে কাপিং/হিজামা আপনার কাছে অনেক বেশি কার্যকর ও সহজতর মনে হবে।

read more
Orthomoleculair-Specialist-Hormonen-1

হিজামার ব্যপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 

Read More Button

হিজামার ব্যপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে এই যে:- নাইট্রিক অক্সাইড থিউরি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু সৃষ্টি করার পাশাপাশি তা সঠিকভাবে তার কার্যক্রম পরিচালিত করতে পারে, সেজন্য এমন কিছু বস্তুও ঠিক করেছেন, যা পরিচালিত হতে ঐ বস্তুগুলোর প্রয়োজন। ঐ বস্তুগুলো ছাড়া পরিচালিত হওয়া তো দূরের কথা, ঐ বস্তুটিও সঠিকভাবে থাকতে পারবে না। তেমনি হচ্ছে মানব দেহ। এই দেহের মাঝেও আল্লাহ তাআলা এমন কিছু জিনিস রেখেছেন যার মাধ্যমে মানব দেহ বেঁচে থাকে।

read more
service6

ল্যাব টেস্টঃ হিজামার বিজ্ঞানভিত্তিক উপকারিতা

দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের (Damascus University) সাবেক ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাবীল আল শরীফ এর অধীনে ২০০১ সালে হিজামার উপকারিতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষাগারে বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরীক্ষাটি ৩০০ জন ব্যক্তির উপর পরিচালিত হয়। পরিচালিত পরীক্ষায় নিম্নোক্ত তথ্যসমূহ বেরিয়ে আসে; যা হিজামার উপকারিতার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বহন করে-

১. উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে রক্তচাপ কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

২. নিম্ম রক্তচাপের ক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

৩. ECG এর পূর্বের গ্রাফের তূলনায় পরের গ্রাফে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

৪. ESR কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

৫. RBC এর সংখ্যা স্বাভাবিক হয়েছে।

৬. Polycythemia এর ক্ষেত্রে Hemoglobin কমে স্বাভাবিক হয়েছে।

৭. Hemoglobin স্বল্পতার ক্ষত্রে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক হয়েছে। এটি নতুন নতুন স্বাভাবিক RBC উৎপন্ন হওয়ায় ইংগিত প্রদান করে; যা শরীরের কোষ সমূহে অক্সিজেনের প্রবাহ বৃদ্ধি করে থাকে।

৮. হিজামা গ্রহনকারীদের ৬০% ক্ষেত্রে রক্তে Leukocyte বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছেছে।

৯. সকল Rheumatic রোগাক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে Neutrophil বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

১০. রক্তের শ্বেতকণিকা (WBC) ৭১.৪% ক্ষেত্রে বেড়েছে। এটি প্রমান করে যে Rheumatic ও অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগ হিজামা করার পর সেড়ে গেছে।

১১. হাঁপানি রোগীদের ৮৩.৩% ক্ষেত্রে Neutrophil এর সংখ্যা বেড়েছে।

১২. হিজামা করানোর কারনে Neutrophil এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কমে গিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

১৩. হৃদরোগীদের ৭৬.৯% ক্ষেত্রে Neutrophil সংখ্যা কমে স্বাভাবিক হয়েছে।

১৪. রক্তের Thrombocyte ৫০.৬% ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৫. অনুচক্রিকার স্বল্পতার সকল ক্ষেত্রে তা বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছেছে।

১৬. Essential Thrombocythemia এর ৫০% ক্ষেত্রে Thrombocytes কমে গিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

১৭. ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ ৯২.৫% ক্ষেত্রে কমেছে।

১৮. রক্তের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত Creatinine ৬৬.৬৬ ক্ষেত্রে কমেছে।

১৯. সকল ক্ষেত্রে হিজামার মাধ্যমে বের হওয়া রক্তে Creatinine এর পরিমান খুবই বেশী ছিল।

২০. যেসকল রোগীদের রক্তে Creatinine বেশী ছিল, হিজামার পর তাদের ৫৭% ক্ষেত্রে রক্তে এর মাত্রা কমে গিয়েছিল।

২১. ৬৬.৬৬% ক্ষেত্রে রক্তে Uric acid এর মাত্রা কমে গিয়েছে।

২২. Uric acid বৃদ্ধির ফলে যেসকল অসুবিধা দেখা দিয়েছিল, ৭৩.৬৮% ক্ষেত্রে সেসকল অসুবিধা দূর হয়েছে।

২৩. যাদের রক্তে Urea level বেড়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে ৮০% ক্ষেত্রে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

২৪. যাদের রক্তে SGPT বেড়ে গিয়েছিল, ৮০% ক্ষেত্রে তাদের উক্ত মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে গিয়েছে। এটি হিজামা করানোর দ্বারা যকৃতের কার্যকারিতা বৃদ্ধির ইংগিত বহন করে।

২৫. হিজামার পর কেন ECG এর উন্নতি হয়েছিল; SGPT এর নিম্নগামীতার মাধ্যমে তার ব্যাখ্যা পাওয়া গেল।

২৬. Alkaline phosphate এর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত মাত্রা ৬২.৮২% ক্ষেত্রে কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে।

২৭. ৫৪.৯% ক্ষেত্রে Amylase এর মাত্রা কমেছে।

২৮. সকল ক্ষেত্রে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত Albumin কমে স্বাভাবিক হয়েছে।

২৯. রক্তের বর্ধিত Cholesterol এর মাত্রা ৮৩.৬% ক্ষেত্রে কমেছে।

৩০. যাদের রক্তে Triglyceride অধিক ছিল, হিজামা করানোর পর তাদের ৭৫% ক্ষেত্রে তা কমেছে।

৩১. Ca, Na, K আয়নের মাত্রা ৯০% ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।

৩২. বর্ধিত CPK ৬৬.৬৬% ক্ষেত্রে কমে স্বাভাবিক হয়েছে।

৩৩. হিজামার মাধ্যমে বের হওয়া রক্তে সকল RBC-ই ছিল অস্বাভাবিক আকৃতির। যেমনঃ Hypochromic, Burr, Target, Crenated, Spherocytes, Poikilocytes, Anisocytes, Schistocytes, Acanthocytes ইত্যাদি।

৩৪. বের হওয়া রক্তে Leukocyte এর সংখ্যা শিরার রক্তের ১০% এরও কম ছিল। এটি শরীরের Immunity রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান; যা হিজামার মাধ্যমে বের না হওয়ার ইংগিত বহন করে।

৩৫. ৬৬% ক্ষেত্রে রক্তে লৌহের ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।

৩৬. প্রায় ৯৩% ক্ষেত্রে CPK এবং LDH স্বাভাবিক মাত্রায় ছিল।

৩৭. শিরার রক্তে TIBC এর স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ২৫০-৩৭০ মাইক্রো গ্রাম। কিন্তু হিজামার মাধ্যমে বের হওয়া রক্তে TIBC এর মাত্রা ছিল প্রতি ডেসিলিটারে ৪২২-১০৫৭ মাইক্রো গ্রাম অর্থাৎ খুবই বেশী।
পরীক্ষাটি এই ইংগিত দেয় যে হয়তো এমন বিশেষ কোন কারণ রয়েছে; যার ফলে হিজামার কর্তিত অংশের মাধ্যমে পর্যাপ্ত লৌহ অণু বেরিয়ে আসতে পারেনা। বরং লৌহ অণুগুলো রক্তনালীতে রয়ে যায়; যাতে নতুন নতুন RBC উৎপাদনে ব্যবহৃত হতে পারে।

সুতরাং, উপরোক্ত Laboratory Test থেকে এটা দিবালাকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে হিজামা গ্রহণের জন্য যে তাগিদ দিয়েছেন; তা সত্যিই আমাদের জন্য অত্যন্ত কল্যানকর।

read more
science-behind-hijama
ল্যাবরেটরি টেস্টঃ হিজামার বিজ্ঞানভিত্তিক উপকারিতা

দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের (Damascus University) সাবেক ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাবীল আল শরীফ এর অধীনে ২০০১ সালে হিজামার উপকারিতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষাগারে বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরীক্ষাটি ৩০০ জন ব্যক্তির উপর পরিচালিত হয়। পরিচালিত পরীক্ষায় নিম্নোক্ত তথ্যসমূহ বেরিয়ে আসে; যা হিজামার উপকারিতার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বহন করে-

১. উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে রক্তচাপ কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

২. নিম্ম রক্তচাপের ক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

৩. ECG এর পূর্বের গ্রাফের তূলনায় পরের গ্রাফে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

৪. ESR কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

৫. RBC এর সংখ্যা স্বাভাবিক হয়েছে।

৬. Polycythemia এর ক্ষেত্রে Hemoglobin কমে স্বাভাবিক হয়েছে।

৭. Hemoglobin স্বল্পতার ক্ষত্রে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক হয়েছে। এটি নতুন নতুন স্বাভাবিক RBC উৎপন্ন হওয়ায় ইংগিত প্রদান করে; যা শরীরের কোষ সমূহে অক্সিজেনের প্রবাহ বৃদ্ধি করে থাকে।

৮. হিজামা গ্রহনকারীদের ৬০% ক্ষেত্রে রক্তে Leukocyte বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছেছে।

৯. সকল Rheumatic রোগাক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে Neutrophil বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

১০. রক্তের শ্বেতকণিকা (WBC) ৭১.৪% ক্ষেত্রে বেড়েছে। এটি প্রমান করে যে Rheumatic ও অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগ হিজামা করার পর সেড়ে গেছে।

১১. হাঁপানি রোগীদের ৮৩.৩% ক্ষেত্রে Neutrophil এর সংখ্যা বেড়েছে।

১২. হিজামা করানোর কারনে Neutrophil এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কমে গিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।

১৩. হৃদরোগীদের ৭৬.৯% ক্ষেত্রে Neutrophil সংখ্যা কমে স্বাভাবিক হয়েছে।

১৪. রক্তের Thrombocyte ৫০.৬% ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৫. অনুচক্রিকার স্বল্পতার সকল ক্ষেত্রে তা বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছেছে।

১৬. Essential Thrombocythemia এর ৫০% ক্ষেত্রে Thrombocytes কমে গিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

১৭. ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ ৯২.৫% ক্ষেত্রে কমেছে।

১৮. রক্তের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত Creatinine ৬৬.৬৬ ক্ষেত্রে কমেছে।

১৯. সকল ক্ষেত্রে হিজামার মাধ্যমে বের হওয়া রক্তে Creatinine এর পরিমান খুবই বেশী ছিল।

২০. যেসকল রোগীদের রক্তে Creatinine বেশী ছিল, হিজামার পর তাদের ৫৭% ক্ষেত্রে রক্তে এর মাত্রা কমে গিয়েছিল।

২১. ৬৬.৬৬% ক্ষেত্রে রক্তে Uric acid এর মাত্রা কমে গিয়েছে।

২২. Uric acid বৃদ্ধির ফলে যেসকল অসুবিধা দেখা দিয়েছিল, ৭৩.৬৮% ক্ষেত্রে সেসকল অসুবিধা দূর হয়েছে।

২৩. যাদের রক্তে Urea level বেড়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে ৮০% ক্ষেত্রে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

২৪. যাদের রক্তে SGPT বেড়ে গিয়েছিল, ৮০% ক্ষেত্রে তাদের উক্ত মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে গিয়েছে। এটি হিজামা করানোর দ্বারা যকৃতের কার্যকারিতা বৃদ্ধির ইংগিত বহন করে।

২৫. হিজামার পর কেন ECG এর উন্নতি হয়েছিল; SGPT এর নিম্নগামীতার মাধ্যমে তার ব্যাখ্যা পাওয়া গেল।

২৬. Alkaline phosphate এর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত মাত্রা ৬২.৮২% ক্ষেত্রে কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমেছে।

২৭. ৫৪.৯% ক্ষেত্রে Amylase এর মাত্রা কমেছে।

২৮. সকল ক্ষেত্রে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত Albumin কমে স্বাভাবিক হয়েছে।

২৯. রক্তের বর্ধিত Cholesterol এর মাত্রা ৮৩.৬% ক্ষেত্রে কমেছে।

৩০. যাদের রক্তে Triglyceride অধিক ছিল, হিজামা করানোর পর তাদের ৭৫% ক্ষেত্রে তা কমেছে।

৩১. Ca, Na, K আয়নের মাত্রা ৯০% ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।

৩২. বর্ধিত CPK ৬৬.৬৬% ক্ষেত্রে কমে স্বাভাবিক হয়েছে।

৩৩. হিজামার মাধ্যমে বের হওয়া রক্তে সকল RBC-ই ছিল অস্বাভাবিক আকৃতির। যেমনঃ Hypochromic, Burr, Target, Crenated, Spherocytes, Poikilocytes, Anisocytes, Schistocytes, Acanthocytes ইত্যাদি।

৩৪. বের হওয়া রক্তে Leukocyte এর সংখ্যা শিরার রক্তের ১০% এরও কম ছিল। এটি শরীরের Immunity রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান; যা হিজামার মাধ্যমে বের না হওয়ার ইংগিত বহন করে।

৩৫. ৬৬% ক্ষেত্রে রক্তে লৌহের ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।

৩৬. প্রায় ৯৩% ক্ষেত্রে CPK এবং LDH স্বাভাবিক মাত্রায় ছিল।

৩৭. শিরার রক্তে TIBC এর স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ২৫০-৩৭০ মাইক্রো গ্রাম। কিন্তু হিজামার মাধ্যমে বের হওয়া রক্তে TIBC এর মাত্রা ছিল প্রতি ডেসিলিটারে ৪২২-১০৫৭ মাইক্রো গ্রাম অর্থাৎ খুবই বেশী।
পরীক্ষাটি এই ইংগিত দেয় যে হয়তো এমন বিশেষ কোন কারণ রয়েছে; যার ফলে হিজামার কর্তিত অংশের মাধ্যমে পর্যাপ্ত লৌহ অণু বেরিয়ে আসতে পারেনা। বরং লৌহ অণুগুলো রক্তনালীতে রয়ে যায়; যাতে নতুন নতুন RBC উৎপাদনে ব্যবহৃত হতে পারে।

[লিখাটি 'হিজামা; রক্তমোক্ষণ Cupping Therapy (শুধু চিকিৎসা গ্রহণই নয়, সুন্নতও বটে)' কিতাব থেকে সংকলিত]

সুতরাং, উপরোক্ত Laboratory Test থেকে এটা দিবালাকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে হিজামা গ্রহণের জন্য যে তাগিদ দিয়েছেন; তা সত্যিই আমাদের জন্য অত্যন্ত কল্যানকর।

read more
hijama scintific
জেনে রাখুন

হিজামা নিয়ে অপচিকিৎসার ব্যাপারে আমাদের একটু সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া উচিত। ভুলভাবে হিজামা কে মানুষ চিনুক সেটা যেমন চাই না, তেমনি ভাবে চাই না কারো কারো স্বেচ্ছাচারিতার জন্যে যারা সঠিকভাবে হিজামা করছেন এবং একটা হারানো সুন্নাহকে পুণরায় জাগ্রত করার চেষ্টা করছেন তাদের প্রচেষ্টাটাও প্রশ্নবিদ্ধ হোক।

হিজামা একটি সুন্নাহ। একটি পূর্ণাংগ 'চিকিৎসা' ব্যবস্থা। একে 'অপচিকিৎসা' হিসেবে রূপ দেয়াটা দুঃখজনক।

ভাবছেন হিজামা তে আবার 'অপচিকিৎসা'র সুযোগ কোথায়?

চলুন জেনে নেই এর কয়েকটি...

 চাইনিজ কাপ সেট এর প্যাকেট এ দেয়া লিফলেটে বিভিন্ন রোগের জন্যে কাপিং পয়েন্ট কি হবে সেগুলো দেয়া আছে। চাইনিজ ট্রেডিশনাল ড্রাই কাপিং এ যেটা ওরা ফলো করে।
আমরা কিন্তু সবাই জানি সুন্নাহ হিজামা আর এই ড্রাই কাপিং এক না। তাই বিস্মিত হই যখন দেখি হিজামা পয়েন্ট এর রেফারেন্স হিসেবে এসব লিফলেট এদেশে দেদারসে ব্যবহৃত হয়!
প্রতিটা রোগের প্যাথলজি বলে যে একটা ব্যাপার আছে, সেটা নিয়ে যদি আলাদা গুরুত্ব না দেয়া হয় তাহলে সেটা হিজামার সুফল বয়ে আনার ক্ষেত্রে সত্যিই ভালো না।
তাই অপচিকিৎসার শুরুটা হয় প্যাথলজি নিয়ে না ভেবে কাপিং শুরু করায়!

 তবে সত্যি বলতে পয়েন্ট নয় বরং হিজামাতে যে স্ক্র্যাচ বা scarification করা হয় সেটাতেই হয় সবচেয়ে বড় গাফিলতি!!
অথচ হিজামার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ধাপ নিয়ে বিন্দুমাত্র হেলাফেলা পুরো উদ্দেশ্যটা ব্যাহত করতে পারে!

 'রক্ত' বের হওয়াই যদি হিজামার মূল কথা হয় তাহলে খুব সহজেই সেটা করা সম্ভব! এক্সপার্ট না হয়েও সেটা সম্ভব!

যিনি হিজামা করছেন তিনি ব্লেড টাতে সামান্য একটু প্রেশার দিলেন তো সরাসরি পৌঁছে গেলেন আপনার স্কিন এর Dermis এর blood capillaries (রক্তনালী) এ। তখন সবার অগোচরে কিন্তু এগুলোই কাটা পড়বে। কাপ রক্তে ভরে যাবে! আর আপনি ভাববেন সফলভাবে আপনার হিজামা শেষ হয়েছে!
এভাবে যেই প্রসিডিউর করা হয় সেটা কে হিজামা না বলে 'রক্তক্ষরণ' বলাই ভালো।

 হিজামা যেই তায়্যিবাহ মেকানিজম (Taibah theory) এ কাজ করে তাতে এই রক্তক্ষরণ এর কোন স্থান নেই। খুব programmed way তে স্কিন এর একদম বাইরের লেয়ার (Epidermis) হলো এর টার্গেট। যেখানে কোন রক্তনালী নেই। আর তাই এগুলো কাটা পড়ার সুযোগও নেই! কাপ এ ব্লাড এর মত দেখতে ফ্লুইড জমবে। কিন্তু এর পুরোটাই Dermal vessels থেকে suction এ আসা প্লাজমা এবং সাথে অল্প কিছু Red cell ভেঙে এসে মেশা হিমোগ্লোবিন (Haemoglobin)।
শুধু এই Epidermis আর Dermis এর মাঝে তফাত মিস করা মানেই হেরে যাওয়া।

 হিজামাতে করা এইসব ছোট ছোট স্ক্র্যাচ গুলোর এরাবিক নাম 'Shartat Mihjam'। এটার ৫/৭ টা criteria আছে। আর স্পষ্ট কথায়, এই criteria যদি পূরণ না হয় তবে সেই হিজামা 'অপচিকিৎসা'র নামান্তর হবে।

এরকম আরো অসংখ্য টেকনিক্যাল দিক আছে যা না মানলে হিজামার উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।
তাই ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখে কখনোই হিজামা শেখায় পূর্ণতা আনা সম্ভব না। সম্ভব না যদি স্কিন এর গঠন নিয়ে কোন ধারণা না থাকে তখনও!

হিজামা এক্সপার্ট এর পক্ষে সব স্ক্র্যাচ এর length & depth প্রায় একই রাখা, সমান্তরাল রেখায় রাখা, একই distance বজায় রেখে একটার পর একটা করে যাওয়া সম্ভব বলেই তারা এক্সপার্ট। আর সেটা একদিনে হয়না!আর হিজামাতে এই এক্সপার্টাইজ এর কোন বিকল্প নেই!

 আর আমাদের বাইতুল হিজামায় রয়েছে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মহিলা এবং পুরুষ হিজামা থেরাপিষ্ট। আমাদের প্রতিষ্ঠানটির বৈশিষ্ট হচ্ছে পেশেন্টদের আতঙ্ক দূর করার লক্ষে আমরা সার্জিকাল ব্লেডের পরিবর্তে থ্রি নিডেল পেন ডিভাইস ব্যবহার করে থাকি। আমাদের এই সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানটিতে আপনারা সকলেই আমন্ত্রীত।

read more
Physicians-Active-care-BD-scaled

পেশেন্টদের নিয়মিত জিজ্ঞাসা ?

 ---"হিজামাও করাব আবার ঔষধও খাবো? এতে ঔষধের গুণাগুণ কমে যাবে না?" 
---"অন্য কোন রিয়্যাকশান হবার সম্ভাবনা নেই তো?"
---"কীভাবে বুঝব যে, হিজামা থেকে উপকার পাচ্ছি নাকি ওষুধে?"

তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের কথা:

হিজামা সত্যিকার অর্থেই খুবই চমৎকার এবং ফলপ্রসূ একটা চিকিৎসা ব্যাবস্থা। এবং হ্যা, হিজামাকে একক চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবেই নেয়া যেতে পারে। কিন্তু যারা বিভিন্ন রোগে নানান ধরনের ওষুধ খান তাদেরকে আমরা চট করেই বলি না যে শুধু হিজামা করান আর ঔষধপত্র সব বাদ দিয়ে দিন!

বরং আমরা বলি আপনি প্রয়োজনে ঔষধ ও হিজামা একই সাথে করে যেতে পারেন। হিজামা থেকে উপকার পেতে শুরু করলে আস্তে আস্তে প্র‍য়োজনে ওষুধের প্রতি নির্ভরতা কমাতে পারবেন।

হিজামা এবং ড্রাগ ফার্মাকোলজির উপরে অসংখ্য রিসার্চ হয়েছে। রিসার্চ বলছে হিজামা করার কারণে কয়েকটি ফলাফল পরিলক্ষিত হয়-

- হিজামা যেভাবে কাজ করে তাতে Drug interaction এর কোন সুযোগ নেই। 
-হিজামা কোন ঔষধেরই কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় না।
-হিজামার মাধ্যমে প্লাজমা ক্লিয়ারেন্স হয়। রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন উপাদান শরীর থেকে বের করে ফেলা সম্ভব হয়। তাতে দেখা যায় হিজামার কারনে মূল Disease burden টা অনেকটাই কমে যায়।
আর সেকারনেই হিজামা করার পরে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ঔষধের ডোজের পরিমাণ কমানোটা সম্ভব হয়।

সেটা কীরকম? 
আরেকটু ভেঙে বলি:

আগে হয়তো কোন নির্দিষ্ট ব্যথার রোগে ব্যথাটা ওষুধ ছাড়া কমতোই না, দেখা গেল হিজামা যোগ করার পর ব্যথা কমতে শুরু করল। আগে হয়তো দিনে ২ টা পেইন কিলার লাগতো বাধ্যতামূলক ভাবে, এখন লাগে দিনে ১ টা, অথবা ২ দিনে ১ টা বা মাসে একটা! এরপর হয়তো রোগী দেখলেন প্রতি ২ মাসে ১ বার হিজামা নিলে মাঝখানে আর পেইন কিলার লাগছেই না। এভাবে আমরা ড্রাগ ডোজ কমিয়ে, ড্রাগ উইথড্রয়ালে যাই।

তবে নির্দিষ্ট কয়েকটা রোগের ক্ষেত্রে যেকোন Disease Modifying ড্রাগ যদি রোগী পেয়ে থাকেন সেটা সাধারণত বন্ধ করার কোন প্ল্যান আমাদের থাকেনা। সেক্ষেত্রে সিম্পটম যথাসাধ্য নিয়ন্ত্রণে এনে যত কম থেরাপিউটিক ডোজে ড্রাগটি রাখা যায় সেটার ব্যাপারে খেয়াল রাখা হয়।

প্রশ্নের শেষ অংশ-

"কীভাবে বুঝব যে, হিজামা থেকে উপকার পাচ্ছি নাকি ওষুধে?"

ড্রাগ আর হিজামা একসাথে চললে যদি কনফিউজড হন উপকার পাচ্ছেন কীসে তাহলে মিলিয়ে দেখুন শুধু ওষুধ পাবার সময় আপনি কেমন ছিলেন, আর হিজামা যোগ করার পর কি কি পজিটিভ চেঞ্জ আপনি বুঝতে পারছেন। তাতেই আপনি নিজেই বুঝবেন এফেক্টটা আসলে কার।

তার মানে দাঁড়াচ্ছে, হিজামা শুধু নিজেই একটা চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবেই নয়, বরং তা প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির কাজকেও সহজ ও ফলপ্রসূ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

read more
Email_1_600x600

হিজামার রক্ত টা আসলে আসে কোথা থেকে


" হিজামার রক্ত টা আসলে আসে কোথা থেকে ? হিজামা করতে যেয়ে শিরা বা ধমনী এসব আবার কাটা পড়বে নাতো ?"

হিজামার নাম অনেকেই নতুন শুনছেন।
এতে রক্ত বের করার একটা ব্যাপার আছে, সেটা শুনলেই সবার মাঝে কিছু জল্পনা-কল্পনা আপনা আপনিই শুরু হয়ে যায় !! ব্যাপারটা অনেকটা - 'রক্ত' আছে যেখানে 'ভয়' যেন সেখানের মত!

আমরা মনে করি যৌক্তিকভাবে এই ভয়টা দূর করা দরকার। নতুবা অহেতুক নানা 'শংকা' তৈরি কখনোই থেমে থাকবেনা।

আসুন একটু মিলিয়ে দেখি।

Skin আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় organ। এর নিচে জালের মত বিছানো রক্ত পরিবহন তন্ত্রটি থাকে চামড়ার দ্বিতীয় লেয়ারে। এগুলো আমাদের শরীরের সবচেয়ে সূক্ষ্ম রক্তনালী। বড় বড় শিরা বা ধমনীর থেকে এর গঠন একদম আলাদা। এগুলো এতটাই সূক্ষ্ম যে খালি চোখে দেখা মুশকিল!

এখন হিজামার স্ক্র‍্যাচ এর কথা যদি ধরা হয় তাহলে দেখবেন, এই স্ক্র‍্যাচও অনেক সূক্ষ্ম। এতটাই যে, এতে চামড়ার বড়জোর প্রথম লেয়ারে আঁচড়গুলো পড়ে (ছবিতে গোলাপি রং চিহ্নিত লেয়ারটা)। এর আরো গভীরে থাকা এইসব ক্যাপিলারিগুলো কাটা পড়ে না। আর এটাই হল হিজামার স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিউর।

যদি স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিউর ফলো করা হয় তাহলে একটু মিলালেই দেখবেন, হিজামা করা যখন শেষ হয় তখন প্রায় প্রতিটি স্ক্র‍্যাচ পয়েন্টে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে, যেটা আসলে প্লাজমা। আর এই যে প্লাজমা টা বের হচ্ছে, এটা নিশ্চিত করা কিন্তু হিজামার জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ।

এই ধাপ শেষে এবার আপনি যতই সাকশন দেন না কেন প্রতিবার বড়জোর শুধু পানির মত প্লাজমাই বের হবে, লাল রক্ত আর আসবে না।

প্রশ্ন হল- আসেনা কেন?

আসেনা কারন হিজামাতে Dermal Capillaries কাটা পড়েনা। হিজামার সাকশন এর জন্যে এগুলোর ছিদ্র দিয়ে প্লাজমা আর নগন্য কিছু ভেঙে যাওয়া রক্তকণিকা বের হয়ে আসে। আর সেগুলো প্রথম লেয়ার এর skin surface এর ঠিক নিচে জমা হয়। যা স্ক্র‍্যাচ পয়েন্ট দিয়ে পুনরায় সাকশনে বেরিয়ে আসে (এটাই তাইয়্যেবাহ থিওরি)!

যদি হিজামাতে Deep Cut ( যেটা একদম নিষিদ্ধ) হয় তাহলে দেখবেন বেশিরভাগ পয়েন্টে সেই ট্রান্সপারেন্ট ফ্লুইড এর অস্তিত্ব আর পাওয়া যাবেনা সহজে!! প্রতি সাকশনে রক্তই আসতে থাকবে। যা একটা ভুল পন্থা।

যারা ভাবেন হিজামা করলে এইসব বড় বড় শিরা বা ধমনীর এর মত Structure কাটা পড়ে তাদের বলছি -শিরা বা ধমনী আমাদের চামড়া ভেদ করে আরো অনেক অনেক ভেতরে থাকে!

সঠিকভাবে হিজামা করা হলে Dermal Capillaries ই যেখানে কাটা পড়ে না সেখানে শিরা/ধমনী কাটা পড়বে সেটা কি যৌক্তিক হয় কোনভাবে??

তাইতো বলছি ভয়ের আসলে কিচ্ছু নেই!

read more
1200px-Polycystic_Ovaries

PCOS


PCOS হল মহিলাদের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেন এর মাত্রা বেড়ে যাবার জন্য কিছু উপসর্গের সমাহার। একটি হরমোনজনিত ব্যাধি।

সাধারণত সুস্থ মহিলাদের ডিম্বাশয় প্রত্যেক মাসে একটি করে ডিম্বানু ছেড়ে থাকে। এটি গর্ভদশা চলাকালীন পরিণত হয় নতুবা নির্মূল হয়ে একটি সাধারণ মাসিক চক্রের রূপ নেয়। কিন্তু যখন মেয়েদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে যায় তখন অ্যান্ড্রোজেন হরমোন আধ্যিকের কারনে ডিম্বাশয়ের আশপাশে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়। ফলে ডিম্বাশয় থেকে যে ডিম্বাণু বড় হয়ে ডিম বের হওয়ার কথা, তাতে বাধা সৃষ্টি হয় এবং এভাবে একসময় ডিম বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

PCOS এ আক্রান্ত মহিলাদের ডিম্বানুগুলি সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠে না অথবা নিয়মিত ডিম্বস্ফোটন চক্রের সময় ডিম্বানু ছাড়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়। এর ফলে নিয়মিত ঋতুচক্র বাধাগ্রস্থ হয়।

ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কারো কারো একটি দুটি উপসর্গ থাকতে পারে আবার কারো অনেকগুলো উপসর্গ থাকতে পারে। এমনকি একজন মেয়ের মধ্যেই ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ বেড়ে যেতে বা কমে যেতে দেখা যায়।

ঋতুস্রাবের ব্যাধি: অধিকাংশ সময়ে পিসিওএস এর জন্য দেখা যায় অলিগোমেনোরিয়া (এক বছরে নয়ের কম ঋতুচক্র) বা অ্যামেনোরিয়া (পর পর তিন বা তার বেশি মাস ধরে কোন ঋতুস্রাব না হওয়া), কিন্তু অন্য কিছু কিছু ঋতুস্রাবের ব্যাধিও দেখা দিতে পারে।

উচ্চ বা হাইপারঅ্যান্ড্রোজেনিজম : নারীর শরীরে উচ্চ মাত্রায় পুরুষালী হরমোন নিসৃত হওয়ার ফলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমন:

~~ব্রণ - ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে বা পূর্বে তুলনায় বেড়ে যেতে পারে বা নতুন করে দেখা দিতে পারে।

~~হিরসুটিজম - শরীরে পুরুষের মত লোম, যেমন গালে এবং বুকে লোম ওঠা। তবে অন্য জাতির থেকে পিসিওএস আক্রান্ত এশিয়ানদের হিরসুটিজম হবার সম্ভাবনা কম।

~~হাইপারমেনোরিয়া - অতিরিক্ত এবং বেশিদিন চলা রক্তস্রাব,

~~অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া - চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা বিক্ষিপ্তভাবে চুল উঠে যাওয়া।

উপর্যুক্ত লক্ষণগুলো ছাড়াও আরো অন্য কিছু লক্ষণ ও আসতে পারে।

পিসিওএস আক্রান্ত (এনআইএইচ/এনআইসিএইচডি ১৯৯০ এর রোগনির্ণয়ের মানদণ্ড দ্বারা) তিন চতুর্থাংশ মহিলার হাইপারঅ্যান্ড্রোজেনিমিয়া পাওয়া গেছে।

বিপাকীয় লক্ষণ: পিসিওএসে আক্রান্তদের মধ্যে দেখা গেছে সেন্ট্রাল ওবেসিটি বা শরীরের মধ্যাঞ্চলে মেদ জমার প্রতি প্রবণতা এবং ইনসুলিন রেজিট্যান্স তৈরী হওয়ার মত কিছু লক্ষণ।

পিসিওএস আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে সিরাম ইনসুলিন, ইনসুলিন রেজিট্যান্স, এবং হোমোসিস্টাইন এর মাত্রা বেশি থাকে।

~~>অ্যাকান্থোসিস_নাইগ্রিকান্স - ঘাড়ের পেছনে, হাতের নিচে কালো ছোপ, বগলের ত্বক গাঢ় হওয়া ও পুরু হয়ে যাওয়া।

~~>স্বর - গলার স্বর পুরুষালী হওয়া বা মোটা (অনেক কম দেখা যায়)

ডিম্বাশয়ে একাধিক সিস্ট, বড় ডিম্বাশয় এবং তলপেটে ব্যাথা ।

গর্ভধারণে ব্যর্থতা: এটি সরাসরি দীর্ঘস্থায়ী অ্যান ওভ্যুলেশন (ডিম্বপাত না হওয়া) থেকে আসে।

পিসিওএস সঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে এবং রোগী যদি মোটা হতে থাকেন, তাহলে দীর্ঘকালীন জটিলতা দেখা দিতে পারে।

পিসিওএসের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য যে লক্ষনগুলো জটিলতর অবস্থায়

দেখা যায় সেগুলো হলঃ

-টাইপ-২ বহুমূত্র রোগ(ডায়াবেটিস)

-গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস

-অতিস্থূলতা

-অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া

-হৃদরোগ মেটাবলিক সিনড্রোম - স্থুলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং

-মেজাজ পরিবর্তন - যেমন ডিপ্রেশন, এঙ্গজাইটি অতবা খাদ্য গ্রহণে ব্যতয় ইত্যাদি

-জরায়ুর ক্যান্সার।

-গর্ভপাত হবার সম্ভবনা দেখা দেয়।

-প্রি-একলাম্পশিয়া

-উচ্চ রক্তচাপ
read more